1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অস্ট্রেলিয়ায় ঝুলন্ত পার্লামেন্টের আভাস

২০ আগস্ট ২০১০

অস্ট্রেলিয়ার সাধারণ নির্বাচনে কে জিতবে বোঝা যাচ্ছে না৷ জনগণ পুরোপুরি দ্বিধাবিভক্ত৷ যার পরিণতি হতে পারে ঝুলন্ত পার্লামেন্ট৷ দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী জুলিয়া গিলার্ডের টিকে থাকা নির্ভর করছে শনিবারের এই ভোটাভুটির ওপরই৷

https://p.dw.com/p/OsSS
অস্ট্রেলিয়ার প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী জুলিয়া গিলার্ডছবি: AP

ক্ষমতাসীন দল লেবার পার্টির জন্য এ এক অগ্নিপরীক্ষা৷ জনপ্রিয়তা নিয়ে বছরটি শুরু করলেও এর পর ধস নামতে শুরু করে৷ এক পর্যায়ে দলে সমালোচনার মুখে পড়ে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ান কেভিন রাড৷ আর তারপরই ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে আসেন জুলিয়া৷ তবে অবস্থা সামাল দিতে যে তিনি পুরোপুরি পারছেন না, তা জনমত জরিপের ফলাফলেই স্পষ্ট৷ আর রক্ষণশীল জোটের নেতা টনি অ্যাবোটও তাঁর ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলতে শুরু করেছেন৷

ভোটের একদিন আগে যে জনমত জরিপের ফলাফলগুলো প্রকাশ হয়ে সেগুলো বলছে, ঝুলন্ত পার্লামেন্টের দিকেই এগোচ্ছে অস্ট্রেলিয়া৷ সংবাদপত্র দি অস্ট্রেলিয়ানের জরিপ বলছে, দেশের অর্ধেক ভোটার লেবার পার্টির দিকে, আর বাকি অর্ধেক বিরোধী জোটের দিকে ঝুঁকে আছে৷ আরেকটি জরিপে অবশ্য সামান্য এগিয়ে আছে ক্ষমতাসীনরা৷ তাদের পক্ষে আছে ৫২ শতাংশ ভোটার, রক্ষণশীলদের পক্ষে ৪৮ শতাংশ৷

বৃহস্পতিবার নির্বাচনী প্রচারেই ব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন জুলিয়া ও অ্যাবোট৷ অ্যাবোট জানালেন, একদিনেই তিনি ছয়টি টিভিতে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন৷ ১৪টি রেডিওতেও৷ আর কথা বলেছেন ১০ জন ভোটারের সঙ্গে৷ অ্যাবোট বললেন, ‘‘দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদটির জন্য লড়ছি আমি৷ আর বড় কিছু পাওয়ার জন্য মেহনত তো একটু হবেই৷'' অন্যদিকে ১ কোটি ৪০ লাখ ভোটারদের প্রতি জুলিয়ার আহ্বান, ‘‘রোববার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অ্যাবোটকে দেখার ঝুঁকির মধ্য আছেন আপনারা৷ তাই যা করার আগামীকালের মধ্যেই করতে হবে৷'' লেবার পার্টির মুখপাত্র ক্রিস বোয়েন স্বীকার করলেন, লড়াই হবে হাড্ডাহাড্ডি৷

Australien Wahl Protest Aktion Flash-Galerie
নির্বাচনে মুখোমুখি টনি অ্যাবোট ও জুলিয়া গিলার্ডছবি: AP

গত ৭০ বছরে ঝুলন্ত পার্লামেন্ট হয়নি অস্ট্রেলিয়ায়৷ আর ১৯৩১ সালের পর সব সরকারই দুই মেয়াদে ছিল৷ এবার দুটো ক্ষেত্রেই নতুন ইতিহাস হতে যাচ্ছে বলে আভাস পাওয়া যাচ্ছে৷ স্পষ্টবাদী বলে পরিচিত জুলিয়ার অবিবাহিত থাকা নিয়ে আকারে-ইঙ্গিতে কটাক্ষ করছে বিরোধীরা৷ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় তার নীতি নিয়ে রক্ষণশীলদের আপত্তি আছে৷ আবার কেভিন রাডের বিদায়ের পথটি প্রশস্ত করার জন্য জুলিয়াকে দায়ী করে অনেকে বলেন, ৪৮ বছর বয়সি এই নারী উচ্চাভিলাষী৷

অন্যদিকে, জুলিয়ার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাবোট এক সময় ধর্মযাজক হওয়ায় প্রশিক্ষণ নেওয়ায় রক্ষণশীলদের সমর্থন কুড়াচ্ছেন৷ অস্ট্রেলিয়ায় রাজনীতিতে তাঁর উত্থান হঠাৎই৷ সরকারের বাজেট ঘাটতি এবং জীবনাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি ঠেকাতে না পারার জন্য সরকারের কড়া সমালোচনা করে আসছেন অ্যাবোট৷

জয়ের জন্য দুই পক্ষ আশাবাদী হলেও ফলাফলে অশনি সঙ্কেত দেখছে অস্ট্রেলিয়ার জনগণ৷ তারা বলছে, যদি ঝুলন্ত পার্লামেন্ট হয়, তবে সরকারি সিদ্ধান্ত গ্রহণ হবে কঠিন৷ এতে বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হয়ে অর্থনীতিতে স্থবিরতা দেখা দেবে৷

প্রতিবেদন: মনিরুল ইসলাম

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ