1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অলিম্পিকে প্রথম রূপান্তরকামী ভারোত্তোলক হুবার্ড

২১ জুন ২০২১

নিউজিল্যান্ডের লরেল হুবার্ডই হবেন অলিম্পিকের প্রথম রূপান্তরকামী ভারোত্তোলক।

https://p.dw.com/p/3vGOV
হুবার্ডই হবেন অলিম্পিকে প্রথম রূপান্তরকামী ভারোত্তলোক। ছবি: Paul Childs/REUTERS

হুবার্ড মেয়েদের ৮৭ কেজি সুপার হেভিওয়েট বিভাগে নামবেন। তার বয়স এখন ৪৩ বছর। তিনিই হবেন টোকিও অলিম্পিকের সব চেয়ে বেশি বয়সী প্রতিদ্বন্দ্বী।

সোমবারই অলিম্পিকে যাওয়ার জন্য ছাড়পত্র পেয়েছেন হুবার্ড। তারপর তিনি জানিয়েছেন, নিউজিল্যান্ডের এত মানুষ তাকে সমর্থন করেছেন দেখে তিনি কৃতজ্ঞ ও আপ্লুত। এই রূপান্তরকামী অ্যাথলিট বলেছেন,  তিন বছর আগে কমনওয়েলথ গেমসে যখন তার হাত ভেঙেছিল, তখন অনেকেই বলেছিলেন, তার কেরিয়ার শেষ হয়ে গেল। কিন্তু মানুষের সমর্থনে তিনি আবার ফিরে আসতে পেরেছেন।

রূপান্তরকামী অ্যাথলিটদের জন্য আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির কিছু শর্ত আছে। হুবার্ড সেই সব শর্ত পূরণ করছেন। তিনি ২০১৩ সালে ৩৫ বছর বয়সে লিঙ্গ পরিবর্তন করেন।

বেলজিয়ান ভারোত্তোলকের সমালোচনা

নিউজিল্যান্ড অলিম্পিক কমিটির সিইও কেরেয়ন স্মিথ বলেছেন, হুবার্ড অলিম্পিক ও ইন্টারন্যাশনাল ওয়েটলিফটিং ফেডারেশনের সব শর্ত পূরণ করেছেন। তিনি বলেছেন, ''আমরা  স্বীকার করি যে, জেন্ডার আইডেনটিটি হলো খুব জটিল ও স্পর্শকাতর বিষয়। এর সঙ্গে মানবাধিকার, সকলের জন্য সমান সুযোগের বিষয়টিও জড়িত। আর নিউজিল্যান্ড টিমে সকলকে নিয়ে চলার, সকলকে শ্রদ্ধা করার ঐতিহ্য আছে।''

তবে কিছু নারী অ্যাথলিটের মতে, এর ফলে তাদের মেডেল জেতার সুযোগ কমে গেল। বেলজিয়ান ওয়েটলিফটার অ্যানা বলেছেন, হুবার্ডকে টোকিওতে সুযোগ দেয়া নারী অ্যাথলিটদের কাছে একটা বড় প্রহসনের মতো।

তার মতে, ''রূপান্তরকামীদের জন্য গাইডলাইন তৈরি করাটা কঠিন। কিন্তু যারা এই সর্বোচ্চ পর্যায়ের জন্য নিজেকে তৈরি করেছে, তারা জানেন, হুবার্ডের অন্তর্ভুক্তি কতটা অন্যায়।''

এর আগে হুবার্ড বলেছিলেন, ''আমি জানি, সকলে আমাকে সমর্থন করবেন না। কন্তু আমি আশা করি, মানুষ খোলা মনে বিচার করবেন। আমার এই জায়গায় আসতে অনেক সময় লেগেছে।''

জিএইচ/এসজি(রয়টার্স, এপি)