1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অভিনব আলোকসজ্জায় দক্ষ এক জার্মান কোম্পানি

২ ডিসেম্বর ২০২১

হোটেল-রেস্তোরাঁ থেকে শুরু করে বসতবাড়িতে প্রবেশ করলে প্রাথমিক অনুভূতির ক্ষেত্রে আলোকসজ্জার বিশাল ভূমিকা থাকে৷ বার্লিনের এক কোম্পানি সর্বাধুনিক প্রযুক্তি প্রয়োগ করে

https://p.dw.com/p/43jJv
DW Sendung Euromaxx | Room Division
ছবি: DW

জার্মানির রাজধানী বার্লিনের এই বোলিং লাউঞ্জ আধুনিক আলোকসজ্জার মাধ্যমে নজর কাড়তে চায়৷ শহরের ‘রুম ডিভিশন' নামের কোম্পানি ৫০ মিটার দীর্ঘ এলইডি প্রাচীরের ডিজাইন ও নির্মাণের কাজ করেছে৷ কোম্পানির প্রধান হিসেবে ডানিয়েল সিমার জটিল এই প্রকল্পের রূপায়ন করেছেন৷ তিনি মনে করেন, ‘‘পরিবেশের অংশ হিসেবে আলোকপাত এই লাউঞ্জের অন্যতম প্রধান উপাদান৷ লাউঞ্জের মালিক আলোর বহুমুখী ব্যবহার চেয়েছিলেন৷ এত বড় আকারের আলোকসজ্জা সত্যি এক চ্যালেঞ্জ ছিল৷ ডিস্কো থেকে থেকে শুরু করে ভেতরের আলো লাগাতে হয়েছে৷ প্রায় দশ বছর ধরে আমরা এই আলোকসজ্জা নিয়ে কাজ করেছি, এখনো করে চলেছি৷''

‘রুম ডিভিশন' কোম্পানি গোটা বিশ্বে বার, দফতর, দোকানপাট ও ক্লাবে অ্যাম্বিয়েন্স আলো লাগায়৷ যেমন সুইজারল্যান্ডের বাসেল শহরে ‘বালৎস ক্লাব'-এ সেই আলোকসজ্জা শোভা পাচ্ছে৷ অথবা বার্লিনে সোনি মিউজিকের নতুন সদর দফতর৷

বার্লিনে নজরকাড়া আলোকসজ্জা

বার্লিনের ‘সেজ রেস্তোরাঁ'-ও এই কোম্পানির পরিষেবা নিয়েছে৷ ওয়াইনসহ বিভিন্ন পানীয়ের গ্লাস, মনিটরেও মানানসই আলো বসানো হয়েছে৷ রেস্তোরাঁর মালিক সাশা ডিসেলকাম্পের কাছে ভালো আলোকসজ্জা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ৷ তিনি বলেন, ‘‘এখানে প্রবেশ করার মুহূর্ত থেকেই আলোর বৈশিষ্ট্য চোখে পড়বে৷ অতিথিদের আন্তরিকভাবে স্বাগত জানানোর মতোই সঠিক আলো থাকাও গুরুত্বপূর্ণ৷ ভেতরে প্রবেশ করে চারিদিক দেখেই যদি মনে হয়, কী সুন্দর! সেই অনুভূতির পেছনে আলোর সবচেয়ে বেশি ভূমিকা থাকে৷ আলোকসজ্জাই সবকিছু৷ সবকিছুর উপর সঠিক আলোকপাত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ৷''

‘রুম ডিভিশন' কোম্পানির কর্মশালায় আলোর শিল্পকীর্তিগুলিসৃষ্টি করা হয়৷ পাঁচ জনের এক টিম গ্রাহকদের কঠিন চাহিদা অনুযায়ী সেগুলি তৈরি করেন৷ পরিশ্রম ও জটিলতার মানদণ্ড অনুযায়ী কোনো প্রকল্পের ব্যয় দুই লাখ ইউরো পর্যন্ত ছুঁতে পারে৷ সিমার বলেন, ‘‘আমাদের বিশ্বে ডিজিটালাইজেশন প্রক্রিয়ার পরিপ্রেক্ষিতে আলোকসজ্জার ক্ষেত্রেও একেবারে নতুন সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে৷ ব্যবহারকারীর চাহিদা ও কোনো জায়গার সৌন্দর্য অনুযায়ী অতীতের তুলনায় আরো কার্যকরভাবে পরিকল্পনা রূপায়ন করা যায়৷ মোটকথা আলো সবাইকে আনন্দ দেয়৷''

সে কারণেই শৈল্পিক আলোকসজ্জা মানুষের মনে উৎসাহ জোগায়, যেমনটা ইউরোপের বিভিন্ন আলোর উৎসবে দেখা যায়৷ যেমন ফ্রান্সের লিয়ঁ শহরে ‘ফেস্টিভাল অফ লাইটস', চেক প্রজাতন্ত্রের রাজধানী প্রাগে ‘সিগন্যাল' উৎসব অথবা ফিনল্যান্ডের রাজধানী হেলসিংকির ‘লুক্স' উৎসব৷

আবার বার্লিনে ফেরা যাক৷ শহরের ক্লাবগুলিতে ‘রুম ডিভিশন' কোম্পানি যথেষ্ট সুনাম অর্জন করেছে৷ বিখ্যাত ‘ব্যার্গহাইন' ক্লাবের আলোকসজ্জার পেছনেও এই কোম্পানির হাত রয়েছে৷ ‘ওয়াটারগেট ক্লাব'-এর এলইডি ইনস্টলেশন ইতোমধ্যেই ইতিহাস রচনা করেছে৷ ক্লাবের প্রধান নির্বাহী নিকলাস আইশস্টেট বলেন, ‘‘সিলিংয়ে আলোকসজ্জার কাজ শেষ হবার পর সবার মুখ হাঁ হয়ে গিয়েছিল৷ এমন এফেক্ট দেখে সবাই মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলেন৷ দর্শকদের প্রতিক্রিয়া দেখেই বোঝা যায় যে সেখানে বিশেষ কিছু রয়েছে৷ সেই আলোকসজ্জা নকল করার অসংখ্য প্রচেষ্টা দেখলেও সেটা স্পষ্ট হয়ে যায়৷ কোথাও আবার নাকি ওয়াটারগেট স্টাইলের সিলিংয়ের আলোও বিক্রি হচ্ছে৷''

খ্যাতির শিখরে পৌঁছেও ডানিয়েল সিমার হাত গুটিয়ে বসে নেই৷ ভবিষ্যতেও তিনি আলোকসজ্জার ক্ষেত্রে নতুন মানদণ্ড স্থির করতে চান৷ তিনি বলেন, ‘‘আমরা টেকসই নির্মাণের বিষয়টিকে আরও গুরুত্ব দিতে চাই৷ সেইসঙ্গে আশেপাশের অনেক মানুষের দারুণ সব আইডিয়া কার্যকর করার চ্যালেঞ্জ নিতে চাই৷''

করোনা সংক্রান্ত বিধিনিয়ম কিছুটা শিথিল হওয়ায় অবশেষে ওয়াটারগেট ক্লাবের দ্বার আবার খুলেছে৷ সংগীতের তালে ও জাদুময় আলোকসজ্জারমাঝে নাচার সুযোগ পাওয়া যাচ্ছে৷

ক্রিস্টিনে লেব্যার্ট/এসবি