1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অবহেলিত পশ্চিম বলকানে আশার আলো দেখালো ইইউ

৭ ডিসেম্বর ২০২২

ইউরোপের দক্ষিণ পূর্ব অঞ্চলের দেশগুলিকে ইইউ সদস্য করার আশ্বাস দিলেও এতকাল তেমন অগ্রগতি দেখা যায়নি৷ এবার ইইউ নেতারা সেই প্রক্রিয়ায় গতি আনার পক্ষে সওয়াল করলেন৷

https://p.dw.com/p/4KaDn
ব্রাসেলসে ইইউ কমিশন প্রধান কার্যালয়ের সামনে ইইউ-এর পতাকা
ব্রাসেলসে ইইউ কমিশন প্রধান কার্যালয়ের সামনে ইইউ-এর পতাকাছবি: Yves Herman/REUTERS

বিশ্বে চলমান একাধিক সংকট নিয়ে ব্যস্ত থাকলেও পশ্চিমা বিশ্ব, রাশিয়া ও চীনের মতো প্রধান শক্তিকেন্দ্রগুলি অন্যান্য দেশের উপর রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের ক্ষেত্রে অবহেলা করতে পারছে না৷ বরং কূটনৈতিক ও অন্যান্য হাতিয়ার প্রয়োগ করে প্রভাব-প্রতিপত্তি বাড়ানোর জোরালো চেষ্টা চলছে৷ সক্রিয় না হলেই অন্য কেউ সেই শূন্যস্থান পূরণ করতে এগিয়ে আসবে, এমন আশঙ্কা মনে দানা বাঁধছে৷ ইউরোপীয় ইউনিয়নের দোরগড়ায় বলকান অঞ্চলের পশ্চিমের ‘অবহেলিত' দেশগুলিও তাই বাড়তি মনোযোগ লক্ষ্য করছে৷ তাছাড়া ইউরোপে বেআইনি অনুপ্রবেশ মোকাবিলা করতেও এই অঞ্চলের সহযোগিতার প্রয়োজন বাড়ছে৷

ইইউ ও বলকান অঞ্চলের পশ্চিমের দেশগুলির শীর্ষ সম্মেলনে ইউরোপের ভবিষ্যৎ নিয়ে কিছুটা আশার আলো দেখা গেল৷ ইইউ সদস্য হবার লক্ষ্যে বহু বছর ধরে এই দেশগুলির উদ্যোগ সত্ত্বেও এখনো তেমন অগ্রগতি না হওয়ায় নৈরাশ্য বাড়ছিল৷ গত জুন মাসে আঞ্চলিক সম্মেলনে আলবেনিয়া, বসনিয়া, কসোভো, মন্টেনেগ্রো, নর্থ ম্যাসিডোনিয়া ও সার্বিয়ার নেতারা প্রকাশ্যে সে বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন৷ এবারের সম্মেলনে জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস-সহ উপস্থিত ইইউ নেতারা কিছুটা আশার আলো দেখাতে পারলেন৷ ইইউ দেশগুলির সরকার পরিষদের প্রধান শার্ল মিশেল বলেন, আগামী ১৫ ও ১৬ই ডিসেম্বর ইইউ শীর্ষ সম্মেলনে বসনিয়ার যোগদানের আবেদন গ্রহণের ক্ষেত্রে ‘ইতিবাচক সংকেত' দেখা যাবে বলে তিনি আশা করছেন৷

আসলে ইইউ-র ২৭টি সদস্য দেশের মধ্যে রাষ্ট্রজোটের সম্প্রসারণ নিয়ে নীতিগত মতভেদ তুঙ্গে উঠেছিল৷ ইইউ-র প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার না করে সম্প্রসারণের বিরোধিতা করছে কিছু দেশ৷ কিন্তু ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার হামলার জের ধরে সবার টনক নড়েছে৷ বলকান অঞ্চলের পশ্চিমে রাশিয়া ও চীনের বেড়ে চলা প্রভাব মোকাবিলা করতে ইইউ নেতারা নড়েচ়়ড়ে বসছেন৷ বিশেষ করে সার্বিয়ার সঙ্গে রাশিয়ার ঘনিষ্ঠতা নিয়ে দুশ্চিন্তা বাড়ছিল৷ তাই আলবেনিয়ার রাজধানী টিরানায় শীর্ষ সম্মেলনের শেষে তাঁরা সেই দেশগুলির ইইউ-তে যোগদানের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছেন এবং সেই প্রক্রিয়ার গতি আরও বাড়ানোর পক্ষে সওয়াল করেছেন৷ আলবেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী এডি রামা বলেন, হতাশা সত্ত্বেও অঞ্চলের দেশগুলি ইইউ-র উপর আস্থা কখনো ত্যাগ করে নি৷

ইইউ-তে যোগদানের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সংস্কারের ক্ষেত্রে বলকান অঞ্চলের পশ্চিমের দেশগুলির অগ্রগতির মধ্যে এখনো কিছু ফারাক রয়েছে৷ ইইউ নেতারা তাই সংস্কারের গতি বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন৷ তাছাড়া সার্বিয়া ও কসোভোর মধ্যে উত্তেজনাও যোগদান প্রক্রিয়ার পথে বাধা সৃষ্টি করছে৷ সার্বিয়া এখনো কসোভোর স্বাধীনতাই মেনে নেয় নি৷ দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে ইইউ এক পরিকল্পনা পেশ করেছে৷ কসোভো চলতি বছরেই ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য হবার লক্ষ্যে আনুষ্ঠানিক আবেদন পেশ করবে বলে জানিয়েছে৷ সার্বিয়া এখনো রাশিয়ার সঙ্গে সুসম্পর্কের ঐতিহ্য ত্যাগ না করলেও ইইউ সদস্য হবার লক্ষ্যে অবিচল রয়েছে৷

এসবি/কেএম (রয়টার্স, এএফপি)