1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অবসর ভাতার সংস্কার চূড়ান্ত অনুমোদনের পথে

২২ অক্টোবর ২০১০

ফ্রান্সের বিতর্কিত অবসর ভাতা সংস্কার নিয়ে আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে৷ সার্কোজি সরকার বাজেট ঘাটতি কমাতে এই পরিকল্পনা নিলেও, ছাত্র-শ্রমিকদের তাতে তীব্র আপত্তি৷ এদিকে, আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে সেনেটে অনুমোদন পেতে পারে এটি৷

https://p.dw.com/p/PkXr
ফ্রান্সে সরকারের সংস্কার কর্মসূচির প্রতিবাদে আন্দোলন চলছেছবি: AP

চলছে প্রতিবাদ

টানা আটদিন ধরে প্রতিবাদ, বিক্ষোভ চলছে ফ্রান্সে৷ রাজধানী প্যারিস ছাড়াও আরো কয়েকটি শহরে ছড়িয়ে পড়েছে বিক্ষোভ৷ বৃহস্পতিবার মার্সেই বিমানবন্দর বন্ধ করে দেয় প্রতিবাদকারীরা৷ এসময় প্রায় ১২টি গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়ক আটকে দেয় লরি চালকরা৷ শিক্ষার্থী, শ্রমিক – সবাই সক্রিয়ভাবে অংশ নিচ্ছে প্রতিবাদ কর্মসূচিতে৷ ফলে ফ্রান্স কার্যত এখন অচল৷ সার্কোজি সরকারের অবসর ভাতার সংস্কারের প্রতিবাদে এই বিক্ষোভ৷ সরকার চায় সর্বনিম্ন অবসরের বয়স ৬০ বছরের বদলে ৬২ বছর করতে এবং সর্বোচ্চ সীমা ৬৫ থেকে ৬৭ বছরে বাড়িয়ে দিতে৷ সরকারের বক্তব্য, গড় আয়ু বেড়ে চলায় এবং জনসংখ্যার মধ্যে কর্মক্ষম মানুষের সংখ্যা কমে যাওয়ার ফলেই এই সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে৷ কিন্তু ছাত্র-শ্রমিকরা তাতে রাজি নয়৷

এদিকে, প্রতিবাদরত সংগঠনগুলো আগামী ২৮ অক্টোবর এবং ৬ নভেম্বর জাতীয় পর্যায়ে ধর্মঘট-বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে৷ তাছাড়া চলমান আন্দোলন অব্যাহত থাকবে বলেও মত বিক্ষোভকারীদের৷ ১৫ বছর বয়সি ম্যাথিউ মিশেলের মন্তব্য, সংস্কার পরিকল্পনা আইনে রূপ নেওয়ার পরও আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো৷

Frankreich Proteste Oktober 2010 Flash-Galerie
অবসরের বয়স বাড়ানোর প্রতিবাদে আন্দোলন (ফাইল ফটো)ছবি: AP

সেনেটে ভোটাভুটি

অবসর ভাতা সংক্রান্ত আইনের খসড়া ইতিমধ্যেই নিম্নকক্ষে অনুমোদন পেয়েছে৷ শুক্রবার ফ্রান্স সংসদের উচ্চকক্ষ বা সেনেটে এই সংক্রান্ত আইনের খসড়া নিয়ে ভোটাভুটির কথা রয়েছে৷ বর্তমান রক্ষণশীল সরকারের চাপের কারণেই দ্রুত বিষয়টি সেনেটে পৌঁছায়৷ আর সেখানে রক্ষণশীলদের পাল্লা ভারি হওয়ায় এই আইনের অনুমোদন এখন সময়ের ব্যাপার৷ এরপর আগামী সপ্তাহে সংসদের দুই কক্ষ সম্মিলিতভাবে চূড়ান্ত অনুমোদন দেবে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে৷ তবে বিরোধীরা কিন্তু আইনটি সেনেটে অনুমোদনের বিপক্ষে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে৷

ক্ষয়ক্ষতি'র পরিমাণ

বৃহস্পতিবার বিকেলে সেনেটে ক্ষয়ক্ষতির খানিকটা হিসেব দিয়েছেন সেদেশের পরিবেশমন্ত্রী জঁ-লুই বর্লো৷ তিনি বলেন, ফ্রান্সের ১২,৩০০টি পেট্রল পাম্পের মধ্যে ২,৭৯০টিতে তেল নেই৷ তাছাড়া গুরুত্বপূর্ণ ১৪টি তেল ডিপো বন্ধ রেখেছে আন্দোলনকারীরা৷ তবে সার্কোজির কড়া নির্দেশে অন্য সাতটি তেলডিপো থেকে প্রতিবাদকারীদের জোর করে সরিয়ে নেয়া হয়েছে৷

এছাড়া, এয়ার ফ্রান্সের হিসেব অনুযায়ী, শ্রমিকদের কর্মবিরতির কারণে গত দু'মাসে সংস্থাটির ক্ষতির পরিমাণ আড়াই কোটি ইউরো৷ ধর্মঘট আর প্রতিবাদ বিক্ষোভের কারণে রাসায়নিক উৎপাদকদের দৈনিক ক্ষতির পরিমাণ দশ কোটি ইউরো৷

প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য