খাবারের মিউজিয়াম
৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭উদ্দেশ্য ছিল মহাকাশে খাবার-পানীয়ের ভবিষ্যত সম্পর্কে জানা৷ আরেকবার মাত্র তিন মাসের জন্য একটি অন্যরকম ফুড মিউজিয়াম গড়ে তুলেছিলেন৷ সেখানে একটি ভিডিও ইন্সটলেশন দেখানো হয়েছে৷ ডাক্তাররা যে পিল-সাইজ ক্যামেরা ব্যবহার করেন তা দিয়ে ঐ ইন্সটলেশনের ছবিগুলো তোলা হয়েছিল৷ শরীরে খাবার কীভাবে ঘুরে বেড়ায় তা দেখতে পেয়েছিলেন দর্শকরা৷ ২০১৫ সালের ২৩ অক্টোবর শুরু হয়ে ২০১৬ সালের ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত মিউজিয়ামটি চালু ছিল৷
স্যাম বোম্পাস বলেন, ‘‘জাদুঘর মানেই সেখানে শুধু মূল্যবান জিনিসপত্র থাকার ধারণাটা মান্ধাতার আমলের৷ এই মিউজিয়ামে আপনি শুধু কিছু দেখার জন্য আসবেন না, অন্যরা কী দেখছে সেটা দেখার জন্যও নয়৷ বরং আপনি এখানে আসবেন অন্যদের সঙ্গে কথা বলার জন্য৷''
মিউজিয়ামের আরেকটি ইন্সটলেশনের নাম ছিল ‘দ্য বাটারফ্লাই এফেক্ট'৷ সেখানে গ্রীষ্মপ্রধান অঞ্চলের তাপমাত্রা আর কৃত্রিম রোদের ব্যবস্থা ছিল৷ ঘরে প্রায় ৪০০ প্রজাপতি উড়ে বেড়াত৷
চকলেটপ্রেমীদের জন্যও ছিল একটি ইন্সটলেশন৷ সেখানে দর্শকরা একটি জরিপের অংশ হিসেবে চকলেট খাওয়ার সময় শব্দ শুনতে পেয়েছিলন৷ তারপর তাঁরা স্বাদ কেমন লেগেছে তা জানিয়েছেন৷ অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাদের উপর শব্দের প্রতিক্রিয়া সংক্রান্ত একটি গবেষণার কাজে তথ্যগুলো ব্যবহৃত হচ্ছে৷
স্যাম বোম্পাস আর তাঁর সহযোগী হ্যারি পার গত কয়েক বছর ধরে সৃজনশীলভাবে তাঁদের দর্শন তুলে ধরছেন৷ যেমন ২০০৭ সালে তাঁরা জেলি দিয়ে একটি ছোট্ট স্থাপনা তৈরি করেছিলেন৷ একবার গলিত লাভা দিয়ে বারবিকিউ করেছিলেন৷ হিলিয়াম বেলুনে করে ৩৭ কিলোমিটার উঁচুতে কফির দানাও পাঠিয়েছেন৷ সেই দানা পৃথিবীতে ফিরে হয়ে যায় ‘স্পেস কফি'৷
প্রতিবেদন: ফিলিপ ক্রেচমার/জেডএইচ
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ