অনলাইন পাঠকদের উপর ফি বসাতে যাচ্ছে নিউ ইয়র্ক টাইমস
২০ ফেব্রুয়ারি ২০১০এর ফলে একদিকে যেমন অনলাইন সংস্করণের জন্য বিজ্ঞাপন থেকে আয় হবে তেমনি পাঠকের কাছ থেকেও আয় করতে পারবে বিশ্বের বৃহত্তম এই পত্রিকাটি৷ এমন কথা বেশ জোর দিয়েই বললেন টাইমস-এর ডিজিটাল কার্যক্রমের উপ-প্রধান মার্টিন নিসেনহোল্জ৷ তিনি বলেন, ‘‘আমরা বর্তমানে এবং দীর্ঘদিন ধরেই বিশ্বের বৃহত্তম পত্রিকার ওয়েবসাইট হিসেবে পরিষেবা দিয়ে আসছি৷ তবে আমরা এই কৃতিত্ব ধরে রাখতে চাই৷'' শুক্রবার ‘পেইড-কনটেন্ট ২০১০' শীর্ষক দিনব্যাপি সম্মেলনের বক্তৃতায় নিসেনহোল্জ এসব কথা বলেন৷
২০১১ সালের শুরুর দিকে মাশুল আদায়ের একটি বিশেষ মডেল চালু করার মধ্য দিয়ে নিউইয়র্ক টাইমস এর অনলাইন সংস্করণের পাঠকদের কাছে একটা নির্ধারিত হারে ফি নেওয়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘আমরা এমন একটি পর্যায়ে পৌঁছেছি যেখানে আমাদের জন্য পর্যাপ্ত সুযোগ এবং মাত্রা রয়েছে এই প্রক্রিয়া চালু করার জন্য৷'' এর ফলে সার্বিক রাজস্ব আয় বাড়বে এমন লক্ষ্যই বিবেচ্য বলে উল্লেখ করেন নিসেনহোল্জ৷ অবশ্য টাইমস-এর পাঠকরা পয়সা দিয়ে পুরো পত্রিকা পড়ার আগে বেশ কিছু প্রবন্ধ-নিবন্ধ বিনামূল্যেই পড়তে পারবে - এমন সুযোগ থাকবে বলে আগেই ঘোষণা দিয়েছে পত্রিকাটি৷
নিসেনহোল্জের প্রত্যাশা, ‘‘মিটার্ড মডেল আমাদেরকে সবচেয়ে বড় পত্রিকা হিসেবে বিদ্যমান থাকতে সহায়ক হবে এবং নতুন আয়ের পথও সৃষ্টি হবে৷'' প্রশ্নোত্তর পর্বে নিসেনহোল্জ বলেন, ‘‘গবেষণায় দেখা গেছে যে, উল্লেখযোগ্য সংখ্যক পাঠকই আমাদের এই মডেলকে যথার্থ এবং প্রয়োগযোগ্য বলেই মনে করেন৷'' নিলসেন ফিগার উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘‘শুধুমাত্র আমেরিকাতেই প্রতি মাসে দুই কোটি ১০ লাখ পাঠক নিউইয়র্ক টাইমস ডট কম ওয়েবসাইটটি ভিজিট করে এবং তাদের অধিকাংশই এটির জন্য ফি দেবে কারণ তারা এই সাইটটির বেশ ভক্ত পাঠক৷
প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই, সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন