1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সুপার বোল

১ ফেব্রুয়ারি ২০১৪

এই টাকাটা খরচ করতে হবে সেসব প্রতিষ্ঠানকে, যারা সুপার বোল-এর সময় বিজ্ঞাপন দিতে আগ্রহী৷ সুপার বোল হলো অ্যামেরিকান ফুটবলের প্রতিযোগিতা এনএফএল-এর ফাইনাল ম্যাচ৷

https://p.dw.com/p/1B0IJ
ফাইল ছবিছবি: Reuters

অনেকেই হয়ত জানেন, সারা বিশ্ব ফুটবল বলতে যা বোঝে, অ্যামেরিকান ফুটবল খেলাটা তার চেয়ে অন্যরকম৷ মার্কিনিদের কাছে এই খেলাটা সাধারণ ফুটবলের চেয়ে বেশি জনপ্রিয়৷ শুধু তাই নয়, যুক্তরাষ্ট্রে অন্য যে-কোনো খেলার চেয়ে অ্যামেরিকান ফুটবলের জনপ্রিয়তা বেশি৷

ফলে সুপার বোল নিয়ে অ্যামেরিকায় যে মাতামাতি হবে, তাতে মার্কিনিদের অবাক হওয়ার কিছু নেই৷ তবে বাকি বিশ্ব তথা বাংলাদেশের মতো দেশের মানুষের কাছে সুপার বোল সংক্রান্ত কিছু তথ্য অবাক করার মতোই৷ রবিবার ৪৮তম সুপার বোলের আগে তাই জেনে নেয়া যাক এ সম্পর্কিত কিছু তথ্য৷

সুপার বোল প্রথম অনুষ্ঠিত হয় ১৯৬৭ সালে৷ বর্তমানে ‘থ্যাংকসগিভিং ডে'-র পর সুপার বোলের দিনেই মার্কিনিরা খাদ্য ও পানীয়র পেছনে সবচেয়ে বেশি অর্থ খরচ করে৷ এই ম্যাচের জনপ্রিয়তার কথা বিবেচনা করে বিভিন্ন কোম্পানি ম্যাচ চলাকালীন সময়ে বিজ্ঞাপন প্রচারে আগ্রহী৷ সেজন্য এ বছর তাদের প্রতি ৩০ সেকেন্ডের জন্য খরচ করতে হবে চার মিলিয়ন ডলার বা প্রায় ৩১ কোটি টাকা!

Michael Jackson Auftritt Konzert 1993
১৯৯৩ সালে সুপার বোলের বিরতির সময় পারফর্ম করেন মাইকেল জ্যাকসনছবি: Getty Images/Rick Stewart/Allsport

২৫টি ভাষায় প্রায় ১৮০টি দেশে ম্যাচটি সরাসির সম্প্রচারিত হবে৷ অতীতে মাইকেল জ্যাকসন, ম্যাডোনা, ইউটু ও পল ম্যাকার্টনির মতো শিল্পীদের সুপার বোলের সময় পারফর্ম করতে দেখা গেছে৷ এবার ম্যাচ শুরুর আগে জাতীয় সংগীত গাইবেন রিনি ফ্লেমিং আর বিরতির সময় গান গাইবেন দু'বার গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড জয়ী শিল্পী ব্রুনো মার্স৷

আনুষ্ঠানিকভাবে সুপার বোলের বিভিন্ন টিকিটের মূল্য ৫০০ থেকে ২,৬০০ ডলারের মধ্যে৷ তবে তিন-চার হাত বদলিয়ে একেকটি টিকিটের দাম তিন-চারগুণ বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে৷

এবার আসা যাক পুরস্কারের কথায়৷ ডেনভার ব্রঙ্কোস আর সিয়াটল সিহকস-এর মধ্যে যে দল রবিবার জয় পাবে, সে দলের একেকজন খেলোয়াড় ‘প্রাইজ মানি' হিসেবে পাবেন ৯২ হাজার ডলার, বাংলাদেশ মুদ্রায় সেটা প্রায় সাড়ে ৭১ লক্ষ টাকা৷ আর রানার আপ দলের সদস্যরা পাবেন তার অর্ধেক পরিমাণ অর্থ৷

সুপার বোল নিয়ে এবার যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে ফেসবুক আর টুইটারও৷ এর আগে দেখা গেছে ম্যাচ নিয়ে মন্তব্য করতে, বিরতির সময় চলা অনুষ্ঠান ও বিজ্ঞাপন নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গতবার মার্কিনিরা টুইটারকেই বেশি বেছে নিয়েছিল৷ তবে এবার ফেসবুক টুইটারের সঙ্গে পাল্লা দিতে চাইছে৷

জেডএইচ/ডিজি (রয়টার্স, এপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য