অনেক অর্থ চাইল জাতিসংঘ
৫ ডিসেম্বর ২০১৬সোমবার জেনেভায় এক সংবাদ সম্মেলনে এই অর্থ চাওয়া হয়৷ ‘ইউএন অফিস ফর দ্য কোঅর্ডিনেশন অফ হিউম্যানিটেরিয়ান অ্যাফেয়ার্স' বা ওসিএইচএ-এর প্রধান স্টেফান ও'ব্রায়ান জানান, ৩৩টি দেশের প্রায় ৯৩ মিলিয়ন মানুষকে সহায়তার জন্য এই অর্থ প্রয়োজন হবে৷ এর মধ্যে প্রতি তিন জনের একজন মানুষের বাস যুদ্ধবিধ্বস্ত তিনটি দেশে – সিরিয়া, দক্ষিণ সুদান ও ইয়েমেনে৷ ৯৩ মিলিয়ন ছাড়া আরও প্রায় ৩৬ মিলিয়ন মানুষের সহায়তা লাগতে পারে বলে ধারণা করছে জাতিসংঘের ঐ সংস্থাটি৷
ও'ব্রায়ান বলেন, যে পরিমাণ অর্থ চাওয়া হচ্ছে তা থেকে এটা বলা যেতে পারে যে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় যে রকম অবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল এখন সেই পরিস্থিতি বিরাজ করছে৷ ৮০ শতাংশ সংকটের জন্য মানুষের কারণে সৃষ্ট বিভিন্ন সংঘাত দায়ী বলে মন্তব্য করেন তিনি৷ এছাড়া জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা দিতে পারে৷
আগের কথা
১৯৯২ সাল থেকে জাতিসংঘ পরের বছরের জন্য সম্ভাব্য অর্থ সহায়তা চেয়ে আসছে৷ ঐ বছর ২.৭ বিলিয়ন ডলার চাওয়া হয়েছিল৷ আর গত বছর প্রথমে চাওয়া হয়েছিল ২০.১ বিলিয়ন ডলার৷ পরে সেটি বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ২২.১ বিলিয়ন ডলারে৷ তবে দাতাদের কাছ থেকে পাওয়া গিয়েছিল মাত্র ১১.৪ বিলিয়ন ডলার৷
২০১১ সাল থেকে শুরু হওয়া গৃহযুদ্ধের কারণে সিরিয়ায় তিন লক্ষেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে৷ আর ঘর ছাড়া হয়েছে দেশটির মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক৷ ২০১৭ সালে সিরিয়ার মানুষের জন্যই সবচেয়ে বেশি অর্থ সহায়তা চেয়েছে জাতিসংঘ৷ এর পরেই আছে দক্ষিণ সুদান, যেখানে ২০১৩ সাল থেকে গৃহযুদ্ধ চলছে৷ তিন নম্বরে আছে ইয়েমেন৷
জেডএইচ/ডিজি (এএফপি, রয়টার্স)