হুমকি সত্ত্বেও প্রস্তুতি সম্পন্ন কমনওয়েলথ গেমসের
২০ সেপ্টেম্বর ২০১০তাই অত্যাবশ্যকীয়ভাবে এখন আসরের নিরাপত্তার প্রশ্নটি সর্বাগ্রে চলে এসেছে৷ গত রবিবার রাজধানীর প্রধান মসজিদের বাইরে পর্যটকবাহী মিনিবাসে হামলা এবং এর ফলে তাইওয়ানের দুই টিভি ক্রু আহত হবার ঘটনার পর, নড়েচড়ে বসেছে দিল্লি পুলিশ৷ ইতিমধ্যে জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোর কাছ থেকে এসেছে আরও হামলার হুমকি, তাও আবার গেমস চলাকালে৷ তাই ভারত সরকার বড় বড় শহরগুলোতে রেড অ্যালার্ট জারি করলেও, বিষয়টি নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় পড়েছে অংশগ্রহণকারী দেশগুলো৷ ব্রিটেন এবং অস্ট্রেলিয়া ভারতে অবস্থানরত সে দেশের নাগরিকদেরকে সর্তক থাকার পরামর্শ দিয়েছে৷ নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, তাঁরা খেলোয়াড়দের পাঠাবেন কি না সে বিষয়ে আগামী সপ্তাহে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে৷
আগামী ৩ থেকে ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে ৫৩ জাতির এই গেমসটি৷ ভারত সরকারের ক্রীড়া বিভাগ জানিয়েছে, গেমসকে সফল করতে সকল প্রস্তুতি চূড়ান্ত৷ এখন কেবল চলছে ধোয়া-মোছার কাজ৷ কোন দল কোথায় থাকবে, কোথায় প্রাকটিস করবে, কি খাবে, কোথায় কোন খেলা অনুষ্ঠিত হবে - সব ঠিক করে ফেলা হয়েছে৷ এখন শুধু অপেক্ষা, দলগুলোকে স্বাগতম জানানোর৷
কিন্তু নিরাপত্তা? সে জন্য কি করেছে আয়োজক দেশ ভারত? বিশেষ করে দুই বিদেশি টিভি ক্রু আহত হবার পরিপ্রেক্ষিতে নিরাপত্তা কর্মীদের কাজ-কারবার নিয়ে এখন ভুগতে হচ্ছে সরকারকে৷ তবে ঐ দুই বিদেশি আহত হবার ঘটনাকে নিছক বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলেই মনে করে প্রশাসন৷
কমনওয়েলথ গেমস আয়োজক কমিটির প্রধান সুরেশ কালমাদি জানিয়েছেন, ‘‘আমরা অ্যাথলিট এবং অংশগ্রহণকারী সকলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি৷'' এছাড়া তিনি অভয় দিয়ে বলেন, নিরাপত্তার দায়িত্ব আমাদের৷ অবশ্য ইতিমধ্যেই এই হামলার দায়-দায়িত্ব স্বীকার করে জঙ্গিবাদী ইসলামি দল ‘ইন্ডিয়ান মুজাহিদীন' ইমেল মারফত হুমকি দিয়ে বলেছে, ‘‘পারলে গেমসের আয়োজন করো৷ তোমরাও প্রস্তুত হও৷ আমরাও প্রস্তুতি নিচ্ছি৷''
উল্লেখ্য, প্রায় সাত হাজার অ্যাথলিট যোগ দেবেন এই আসরে৷
প্রতিবেদন: সাগর সরওয়ার
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ