1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

হলিউডের জার্মান ভাষী তারকা

মারুফ আহমেদ৩ এপ্রিল ২০১৩

স্বপ্নরাজ্য হলিউডে প্রতিষ্ঠা পেতে কে না চায়! সে আশায় বহু দেশের বহু চলচ্চিত্র নির্মাতা ও তারকাই পাড়ি জমান চলচ্চিত্রের এই মহানগরীতে৷ জার্মানরাও ব্যতিক্রম নয়৷ তবে খুব কম জার্মানই পেরেছেন স্থায়ী আসন গড়তে৷

https://p.dw.com/p/188ob
ছবি: Getty Images

৮৫ বছরের অস্কারের ইতিহাসে জার্মান ভাষীরা অনেকবার মনোনয়ন পেলেও সফল হয়েছেন মাত্র তিনজন৷ ক্রিস্টফ ভালৎস সেই তালিকায় সর্বশেষ সংযোজন৷ এ বছর দ্বিতীয়বারের মতো অস্কার জয় করলেন তিনি৷

অস্কারে জার্মান ভাষীদের সাফল্য

চলচ্চিত্রের সবচেয়ে বড় পুরষ্কার অস্কার৷ সেখানে ১৯২৯ সালের প্রথম আসরের বিজয়ী কিন্তু জার্মান অভিনেতা এমিল ইয়েনিংস৷ সেবার নির্বাক ‘দ্য ওয়ে অফ অল ফ্লেশ অ্যান্ড দ্য লাস্ট কমান্ড' ছবিতে অভিনয় করে এ স্বীকৃতি পেয়েছিলেন তিনি৷ সবাক ছবির যুগ শুরুর পর ইংরেজিতে খুব দক্ষ ছিলেন না বলে ফিরে এসেছিলেন জার্মানিতে৷ ইয়েনিংসের পরও অনেক জার্মানভাষী প্রতিভা দেখেছে অস্কার৷ মূখ্য এবং পার্শ্ব অভিনেতা-অভিনেত্রীর ক্যাটাগরি মিলিয়ে এ পর্যন্ত অনেক জার্মান ভাষীই মনোনয়ন পেয়েছেন অস্কারে৷ অভিনয়ের বাইরের ক্যাটাগরিগুলোও হিসেবে ধরলে তালিকাটা আরো দীর্ঘ হবে৷ তবে অনেকে মনোনীত হলেও ক্রিস্টফ ভালৎসের আগে ইয়েনিংস ছাড়া অভিনেতা হিসেবে মাত্র একজনই পেয়েছেন অস্কারে চূড়ান্ত সাফল্য৷ সেটা ১৯৬১ সালের ঘটনা৷ সেবার ‘জাজমেন্ট অ্যাট নুরেমবার্গ' ছবির জন্য সেরা অভিনেতা হয়েছিলেন মেক্সিমিলিয়ান শেল৷ এ বছর এক হিসেবে ইয়েনিংস এবং মেক্সিমিলিয়ানকেও ছাড়িয়ে গেলেন ক্রিস্টফ ভালৎস৷

Filmszene Django Unchained
‘জাঙ্গো আনচেইন্ড' ছবিতে ভালৎসছবি: picture-alliance/Sony Pictures Releasing GmbH

বর্ণময় কেরিয়ার

জার্মান বাবা ও অস্ট্রিয়ান মায়ের সন্তান ক্রিস্টফ ভালৎসের জন্ম ভিয়েনায়, ১৯৫৬ সালের ৪ঠা অক্টোবর৷ থিয়েটার ও ফিল্ম নিয়ে পড়াশোনা করেছেন ভিয়েনা ও নিউ ইয়র্কে৷ জার্মান, ফরাসী ও ইংরেজি জানেন দারুণ৷ প্রায় ত্রিশ বছরের অভিনয় জীবনে হলিউডে সাফল্য পাবার বাসনা তাঁর মনে উঁকি দিতো প্রায়ই৷ এবার হলিউড উষ্ণ আলিঙ্গনে বরণ করলো তাঁকে৷

২০০৯ সালের ‘ইনগ্লোরিয়াস বাস্টার্ডস' ছায়াছবিতে জার্মান নাৎসি সরকারের অফিসার ‘ইহুদি শিকারী ' হান্স লাণ্ডা'র চরিত্রে রুপ দিয়েছেন ক্রিস্টফ ভালৎস৷ হান্স লাণ্ডা,একদিকে চতুর, বিনয়ী এবং একাধিক ভাষায় পারদর্শী, অন্যদিকে ধূর্ত, কৃপাহীন ও নিষ্ঠুর৷ ছবির পরিচালক ও চিত্রনাট্যকার কুয়েন্টিন টারান্টিনো বলেছিলেন ‘ভেবেছিলাম আমি হয়তো এমনই একটা চরিত্র রচনা করেছি যার রুপায়ণ সম্ভবই হবেনা৷' ক্রিস্টফ ভালৎস নিখুঁতভাবে সেই অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন৷ কান চলচ্চিত্র উৎসবে শ্রেষ্ঠ অভিনেতার পুরস্কার, পেলেন গোল্ডেন গ্লোব ও আরো কত স্বীকৃতি৷ ২০১০ সালে শ্রেষ্ঠ সহঅভিনেতা হিসেবে জয় করেন অস্কার৷ এ বছর আবার শ্রেষ্ঠ সহঅভিনেতা হিসেবে অস্কার জিতেছেন ওয়েস্টার্ণ ছবি ‘জাঙ্গো আনচেইন্ড'-এ অসাধারণ অভিনয়ের জন্য৷ তুখোড় চলচ্চিত্র তারকা রবার্ট ডি নিরো,অ্যালান আর্কিন, টোমি লি জোনস আর ফিলিপ সেমর হফমানও মনোনয়ন পেয়েছিলেন ওই ক্যাটাগরিতে৷ তাঁদের পেছনে ফেলে এমন স্বীকৃতি, ক্রিস্টফ ভালৎসের অভিনয় দক্ষতা বুঝতে পারছেন তো!

আরো সাফল্য

এই দুটি ছবি ছাড়াও গত কয়েক বছরে হলিউডের একাধিক বক্স-অফিস হিট ছবিতে অভিনয় প্রতিভার পরিচয় রেখেছেন ক্রিস্টফ ভালৎস৷ পেয়েছেন অনেক সাফল্য৷ তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য রোমান পোলানস্কি'র ‘কার্ণেগ'৷ পরবর্তী ছবি ‘রেইকিয়েভিক'৷ ১৯৮৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও সাবেক সোভিয়েট ইউনিয়নের শান্তি আলোচনার উপর ভিত্তি করে এই ছায়াছবি৷ রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট মিখায়েল গর্বাচেভের ভুমিকায় অভিনয়ের জন্য বেছে নেয়া হয়েছে ক্রিস্টফ ভালৎসকেই৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য