1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘হরতাল নয়, প্রয়োজন সংলাপ’

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা৩১ জানুয়ারি ২০১৩

বাংলাদেশে জমায়াতের ডাকা হরতালের সময় সংঘর্ষে দু’জন নিহত হয়েছেন বগুড়ায়৷ এছাড়া, সারাদেশে ভাঙচুর, গাড়িতে আগুন আর পুলিশের ওপর হামলার মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে জমায়াতের ডাকা হরতাল৷ কিন্তু এতে চরম দুর্ভোগের শিকার হন সাধারণ মানুষ৷

https://p.dw.com/p/17V8l
epa03562397 Policemen stand guard in the streets during the nationwide strike called by the Jamaat-e-Islami party demanding the release of their senior leaders behind bars and to seek a repeal of the war crimes trials on charges of crimes against humanity, at Paltan in Dhaka, Bangladesh 31 January 2013. Most of business establishments, school, colleges and shops remain closed as several home-made bombs have been exploded during the strike. EPA/ABIR ABDULLAH
হরতালে পুলিশের সতর্ক উপস্থিতিছবি: picture-alliance/dpa

ঢাকা এবং চট্টগ্রামে আধা বেলা আর সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা সহিংস হরতাল পালন করল জামায়াত-শিবির৷ এই হরতালকে সমর্থন করে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি৷ প্রসঙ্গত, আটক নেতা-কর্মীদের মুক্তি এবং বায়তুল মোকাররম মসজিদ এলাকায় জামায়াতকে সমাবেশ করতে না দেয়ার প্রতিবাদেই এই হরতাল৷

হরতালে ঢাকার মিরপুর, তালতলা, খিলগা, বাড্ডা, যাত্রাবাড়ি, ধানমন্ডি, ঢাকেশ্বরী মন্দির, মহাখালী এবং গুলশান এলাকায় মিছিল বের করেন জামায়াত শিবিরের নেতা-কর্মীরা৷ এ সময় তারা পুলিশ ও পুলিশের গাড়িতে হামলা, যানবাহন ভাঙচুর ও আগুন দেয়৷ আর পুলিশও পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে টিয়ার গ্যাস ও রাবার বুলেট ব্যবহার করে৷

Jamaat-e-Islami Partei ruft zu Nationalstreik auf
বৃহস্পতিবার হরতালের সময় ঢাকায় জামায়াত ইসলামীর সদস্য সন্দেহে এক ব্যক্তিকে পেটাচ্ছে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের কর্মীরাছবি: Reuters

পুলিশ কমিশনার বেনজীর আহমেদ বলেন, সাধারণ মানুষের জান-মালের নিরপত্তা দেয়ার দায়িত্ব তাদের৷

এদিকে, ঢাকায় আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠন হরতাল বিরোধী মিছিল ও সমাবেশ করে৷ সেই সমাবেশ থেকে জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবি জানান আওয়ামী লীগ নেতা মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া৷

অন্যদিকে, হরতালের কারণে ঢাকায় সাধারণ মানুষ পড়ে চরম বিপাকে৷ তাঁরা সংলাপের মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের আহ্বান জানান৷

এছাড়া, ঢাকার বাইরেও বিভিন্ন স্থানে হামলা এবং সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে৷ বগুড়ায় হরতাল চলাকালে বিকেলে ছাত্র শিবির এবং ছাত্র লীগের মধ্যে সংঘর্ষে দু’জন নিহত হয়েছেন৷ তাঁরা হলেন হ্যাচারি ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান এবং আবু রুহানী৷ বগুড়া জামায়াতের নেতারা নিহত দু’জনকে জামায়াত ও শিবিরের কর্মী দাবি করে হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে শনিবার বগুড়ায় সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছেন৷ পুলিশ জানায়, শহরের সাতমাথা এলাকায় সংঘর্ষের সময় তাঁরা ধারাল অস্ত্রের আঘাতে নিহত হন৷

ওদিকে, যশোরের মনিরামপুর বাজারে সকালবেলায় জামাত-শিবির কর্মীরা হেলমেট পড়ে লাঠিসোটা নিয়ে পুলিশের একটি টহল দলের ওপর হামলা চালায়৷ এতে ছয়জন পুলিশ সদস্য গুরুতরভাবে আহত হন৷ আঘাত না পেলেও টহল দলের সদস্য কনস্টেবল জহুরুল হক হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান বলে জানায় পুলিশ৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য