1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

হরতাল ডেকেও দলের অন্তর্কলহ সামলাতে ব্যস্ত বিএনপি

২৩ নভেম্বর ২০১০

সরকারের বিরুদ্ধে হরতাল ও অন্যান্য কর্মসূচির ঘোষণা সত্ত্বেও দলের মধ্যে সংকট সামলাতে ব্যস্ত বিএনপি৷ শীর্ষ আইনজীবীদের ‘ভুল' নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে, অন্যদিকে সদ্য বহিষ্কৃত নেতা ব্যারিস্টার নাজমুল হুদাও তোপ দাগছেন৷

https://p.dw.com/p/QFgA
আইনজীবীদের ‘সামান্য ভুলে' খালেদা জিয়ার ‘অসামান্য ক্ষতি' হয়েছেছবি: Mustafiz Mamun

দৈনিক সমকাল বিএনপি'র মধ্যে একটি সংকটের কথা তুলে ধরেছে৷ প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, ঘরে-বাইরে তোপের মুখে পড়েছেন বিএনপির শীর্ষ আইনজীবীরা৷ মামলা পরিচালনায় তাঁদের ‘ভুলের' জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে সেনানিবাসের বাড়ি ছাড়তে হয়েছে বলে অনেকের ধারণা বদ্ধমূল হতে চলেছে৷ আইনজীবীদের ‘ভূমিকা' নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমের পাশাপাশি এখন প্রশ্ন তুলছেন খোদ বিএনপি নেতাকর্মীরাও৷ ৩০ দিনের মধ্যে বাড়ি ছাড়তে হাইকোর্টের রায় থাকা সত্ত্বেও সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ না চাওয়াকে বিশেষ ‘তাৎপর্যপূর্ণ' বলে মনে করেন অনেকে৷ এমনকি স্বয়ং খালেদা জিয়াও নাকি মনে করছেন, আইনজীবীদের ‘সামান্য ভুলে' তাঁর ‘অসামান্য ক্ষতি' হয়েছে৷ দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ‘উত্তপ্ত' করে ফায়দা লুটতে রায়টি স্থগিত চেয়ে আবেদন করা হয়নি বলেও কিছু লোক মনে করেন৷

বিএনপি থেকে সদ্য বহিষ্কৃত সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার বক্তব্য বেশ বিস্তারিতভাবে প্রকাশ করেছে দৈনিক ইত্তেফাক, সমকাল ইত্যাদি সংবাদপত্র৷ তাতে নাজমুল হুদা ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদের বিরুদ্ধে বক্তব্য রেখে বলেছেন, ‘‘নোয়াখালীর চ্যাম্পিয়নরা বিএনপিকে নোয়াখালী সমিতি বানাতে চায়৷ তাদের বিরুদ্ধে আমার লড়াই অব্যাহত থাকবে৷ ম্যাডাম (বেগম খালেদা জিয়া) এই নাজমুল হুদাকে কোনোদিন ভুলতে পারবেন না৷'' বহিষ্কারের একদিনের মাথায় তিনি তাঁর নিজের বাড়িতে এক সাংবাদিক সম্মেলনে দলের প্রতি তাঁর অবদানের বেশ কিছু দৃষ্টান্ত তুলে ধরেন৷

সরকারের বেহিসাবী ব্যয়

দেশে এতরকম সমস্যা সত্ত্বেও সরকার এক বিলাসী প্রকল্প শুরু করছে বলে শিরোনামে লিখেছে দৈনিক কালের কণ্ঠ৷ এই প্রকল্পের আওতায় সফরকারী ভিআইপিদের প্রোটোকল দেওয়ার নামে প্রতিটি জেলায় একটি করে ‘প্রোটোকল কার' কেনা হচ্ছে৷ স্বাধীনতার পর এই প্রথম প্রোটোকলের জন্য আলাদা গাড়ি কেনার উদ্যোগ নেওয়া হলো৷ বিলাসবহুল এসব গাড়ি কেনার জন্য সরকারের ব্যয় হবে প্রায় ৩০ কোটি টাকা৷ কোন ভিআইপি কবে কখন কোথায় সফরে যাবেন, তার ঠিক না থাকলেও এসব গাড়ি অপেক্ষায় থাকবে তাঁদের প্রোটোকল দেওয়ার জন্য৷ কালের কণ্ঠ সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)-এর সভাপতি অধ্যাপক মোজাফ্ফর আহমদকে উদ্ধৃত করে লিখেছে, প্রোটোকলের জন্য গাড়ি কেনা একটা বাহানা মাত্র৷ কোনো কিছু করতে হলে তো একটা নাম লাগে৷ সে জন্য নামটি দেওয়া হয়েছে৷ আসল কথা হচ্ছে টাকা কামানো৷ নানা পক্ষ এই প্রক্রিয়া থেকে লাভবান হবে৷ পরিত্যক্ত ঘোষণার আগ পর্যন্ত গাড়িটি দুর্নীতির কাজে ব্যবহার করা হবে৷

প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন
সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়