1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সৌরজগতের বাইরে সন্ধান মিলল এক্সোপ্ল্যানেটের

১১ জানুয়ারি ২০১১

সৌরজগতের বাইরে ক্ষুদ্রতম গ্রহের সন্ধান পেয়ে গেল বিজ্ঞান৷ পাথুরে এই রহস্যময় গ্রহের নাম রাখা হয়েছে এক্সোপ্ল্যানেট৷ পৃথিবী থেকে ৫৬০ আলোকবর্ষ দূরে থাকা এই গ্রহ তার কক্ষপথে ঘুরে চলেছে৷

https://p.dw.com/p/zw4K
এক্সোপ্ল্যানেট, মহাশূণ্য, নাসা, গ্রহ, সৌরজগৎ, সূর্য, পৃথিবী, গবেষণা, আলোকবর্ষ
এক্সোপ্ল্যানেট তার নক্ষত্রের খুবই কাছাকাছি কক্ষপথে ঘুরছেছবি: picture-alliance/dpa/ESO/L. Calcada

নাসার এক মহাকাশযান কিছুদিন আগে প্রথম সন্ধান পায় এই এক্সোপ্ল্যানেটের৷ মহাকাশ বিজ্ঞানের পরিভাষায় তার নাম কেপলার টেন বি৷ গত ছয়মাস যাবৎ একাধিক ছবি তুলে, নানান গবেষণা চালিয়ে যে সব তথ্য পাওয়া গেছে তা বেশ বিস্ময়কর৷ বিস্ময়কর কারণ, আমাদের চেনা সূর্য এবং তার গ্রহ পরিবারের বাইরেও যে কোন দ্বিতীয় তারাকে ঘিরে গ্রহের অস্তিত্ব আছে, সেটা এই প্রথম জানা গেল৷ এই পৃথিবী থেকে সেই এক্সোপ্ল্যানেটের দূরত্বটাও কিন্তু কম নয়, ৫৬০ আলোকবর্ষ৷

কিন্তু দূরের এই গ্রহ, যার আয়তন পৃথিবীর থেকে ১.৪ ভাগ বেশি, তাতে পাথর তো আছে পৃথিবীর মতই৷ প্রাণ আছে কী? এ প্রশ্নের জবাবও দিয়েছে নাসা৷ বলছে, এই গ্রহটি যেহেতু তার সূর্য বা যে নক্ষত্রকে কেন্দ্র করে ঘুরছে, তার খুব কাছাকাছিই রয়েছে মহাশূণ্যে, অতএব প্রাণ সেখানে থাকার কোন সম্ভাবনাই নেই৷ কারণটাও ব্যাখ্যা করা হয়েছে৷ জানা গেছে, অতবড় একটা নক্ষত্রের কাছাকাছি থাকলে সেখানে প্রাণ থাকতে পারে না৷ প্রবল উত্তাপ আর তীব্র আকর্ষণের অভিঘাতে কোন প্রাণের সেখানে টিঁকে থাকা অসম্ভব৷ যেহেতু তার সূর্যের খুব কাছেই এই এক্সোপ্ল্যানেটের অবস্থান, অতএব বড় নক্ষত্রের ছায়ায় এক্সোপ্ল্যানেটের শরীরের ওপরের দিকটি প্রায় সব সময়েই আচ্ছন্ন৷ নাসার মহাকাশযানের তোলা ছবিতে তাই দেখা যাচ্ছে, এক্সোপ্ল্যানেটের ওপরের দিকটি প্রায় অন্ধকার আর নীচের দিকের রং ঘনলাল থেকে ক্রমশ উজ্জ্বল সোনালি আকার ধারণ করেছে৷ বিজ্ঞানীরা বলছেন, মহাজাগতিক রশ্মির পরিবর্তনের সঙ্গে তাল রেখে এই এক্সোপ্ল্যানেট নানান সময়ে তার রং বদলে ফেলে৷

Flash-Galerie Die Sombrero Gallaxy aufgenommen von dem Hubble Space Teleskop
অসীম মহাশূণ্যের বহু রহস্যই এখনও মানুষের আয়ত্ত্বের বাইরেছবি: NASA

অসীম মহাকাশে এ ধরণের এক্সোপ্ল্যানেটের সন্ধান আরও মিলবে অদূর ভবিষ্যতে৷ এ সবে শুরু৷ জানিয়েছেন নাসার বিজ্ঞানীরা৷ কারণ, যত সময় পেরোবে, উন্নত যন্ত্রপাতির কল্যাণে ক্রমশ এ ধরণের আরও গ্রহদের সন্ধানও পাওয়া যাবে৷

কে জানে, সেরকম কোন এক্সোপ্ল্যানেটে হয়তো বা প্রাণের সন্ধানও মিলবে৷ যে প্রাণ সেই ভিন গ্রহের জীবেরা৷ যাদের নিয়ে এই পৃথিবী গ্রহের কৌতূহল হাজার বছর ধরে বাড়ছে, বেড়েই চলেছে৷

প্রতিবেদন: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়

সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম