1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ছিটকে গেছে মহাকাশ যান

১৯ আগস্ট ২০১৩

মানুষের তৈরি প্রথম মহাকাশযান, যা দীর্ঘদিন ধরে মহাকাশে ঘুরছিল, সেই ভয়েজার গত বছর তারকামণ্ডলের বাইরে চলে গেছে৷ নতুন গবেষণায় জানা গেছে এটি সৌরজগত ছেড়ে পুরোপুরি চলে গেছে৷

https://p.dw.com/p/19Ry6
ARCHIV - Eine Illustration zur amerikanischen Raumsonde «Voyager 1» (undatiert). Die US-Raumsonde Voyager 1 nähert sich 33 Jahre nach ihrem Start dem Rand unseres Sonnensystems. Nie zuvor ist ein von Menschen erbautes Objekt so weit geflogen, teilte die US- Raumfahrtbehörde Nasa am Montag mit. Seit ihrem Start am 5. September 1977 hat die Sonde bereits 17,4 Milliarden Kilometer zurückgelegt. Derzeit befinde sie sich in einem Bereich, in dem der Partikelstrom des Sonnenwinds nachlasse, was darauf hindeute, dass Voyager 1 das Sonnensystem bald ganz verlasse, erklärten Raumfahrtexperten. Foto: NASA (zu dpa 0022 vom 14.12.2010) +++(c) dpa - Bildfunk+++
ছবি: picture-alliance/dpa

ভয়েজার মহাকাশযানটি কখন সৌরজগতের চৌম্বক ক্ষেত্রের ঠিক ভিন্ন দিক দিয়ে একটি চৌম্বক ক্ষেত্র নির্ধারণ করে তা দেখার অপেক্ষায় ছিলেন বিজ্ঞানীরা৷ কিন্তু দেখতে পেলেন এর ভিন্ন চিত্র৷

বৃহস্পতিবার মেরিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ মার্ক সুইসড্যাক রয়টার্সকে জানান, তাঁরা ভেবেছিলেন, সৌরজগত এবং তারকামণ্ডলের চৌম্বকক্ষেত্র প্রায় একই রকম৷ তাই কোনো মহাকাশযানের ক্ষেত্র পরিবর্তন হওয়ার সময় তার নিজের কোনো পরিবর্তন হওয়ার কথা নয়৷

কিন্তু গত বছর গ্রীষ্মে হঠাৎ করেই সূর্য থেকে বেশি কিছু কণা এবং তারকামণ্ডল থেকে মহাজাগতিক রশ্মি নিঃসরণের পরিমাণ বেড়ে গিয়েছিল৷ অর্থাৎ সে সময় ভয়েজার তারকামণ্ডল অতিক্রম করছিল৷

তবে, মার্কের এ মতের সাথে অনেকের অমিলও রয়েছে৷

নাসার সাবেক কর্মকর্তা এবং ভয়েজার প্রকল্পের প্রধান বিজ্ঞানী এডওয়ার্ড স্টোন বলছেন, সুইসড্যাকের গবেষণাটা অদ্ভূত৷ কেননা ভয়েজারের তথ্যের বিষয়ে বিভিন্ন কম্পিউটার নানা তথ্য দিতে পারে৷

স্টোনের মত অনেক বিজ্ঞানীদের বিশ্বাস, ভয়েজার তার আগের অজানা অবস্থানেই আছে, সেটা কোন ম্যাগনেটিক হাইওয়ে হতে পারে, যা হেলিওস্ফেয়ার এবং তারকামণ্ডলের মধ্যকার কোনো স্থান৷

সৌরজগতের গ্রহগুলোর চারপাশের অবস্থান জানার জন্য ১৯৭৭ সালে ভয়েজার ১ ও এর সহযোগী যান ভয়েজার ২ মহাকাশে পাঠানো হয়েছিল৷ বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি থেকে ভয়েজার ১ যে শক্তি সংগ্রহ করে, তা শেষ হবে ২০২০ সালের মধ্যে৷ আর ২০২৫ সালের মধ্যে এটির শক্তি পুরোপুরি শেষ হয়ে যাওয়ার কথা৷ তবে বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, ভয়েজার ২ যদি সৌরজগতের বাইরে চলে যায়, তখন আরো নির্ভুল তথ্য পাওয়া যেতে পারে৷ ভয়েজার ১ এখন সূর্য ও পৃথিবীর মধ্যকার দূরত্বের ১২০ গুন দূরে অবস্থান করছে৷

এপিবি / এসবি (রয়টার্স)