সুস্থ মস্তিষ্ক, সুস্থ মানুষ!
‘কেমন আছেন’ জানতে চাওয়ার মধ্যে সাধারণত শরীরের ভালো-মন্দের কথাই বোঝানো হয়৷ মস্তিষ্ক শরীরেরই একটি অপরিহার্য অঙ্গ, যার সুস্থ থাকাও জরুরি ৷ মস্তিষ্ক এলো-মেলো হলে সবই গেল৷ জেনে নিন মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য নিয়ে গবেষকরা কী বলছেন৷
নতুন জায়গায় ঘুম না হওয়ার কারণ কী?
প্রায়ই শোনা যায় ‘নতুন জায়গা, তাই ভালো ঘুম হয়নি৷’ কিন্তু এর আসল কারণ কী? এ সম্পর্কে জাপানের নিউরোলজিস্টরা জানান, অপরিচিত জায়গা বা বিছানায় ঘুমালে মস্তিষ্কের এক পাশ, অন্যপাশের চেয়ে বেশি সতর্ক হয়ে থাকে যে কোনো শব্দের ক্ষেত্রেই৷প্রথমদিন অচেনা পরিবেশে মস্তিষ্ক পুরোপুরি বিশ্রাম নিতে পারে না৷ তবে পরের দিন দু’পাশই আবার একই রকম শান্ত হয়ে যায়৷ এই তথ্যটি জানা গেছে ‘কারেন্ট বায়োলজি’ নামের একটি ম্যাগাজিন থেকে৷
মস্তিষ্ককে সচল রাখতে টিভি কম দেখুন
আপনি কি সারাদিন সোফায় আরাম করে বসে টিভি দেখেন? বা হাঁচা-চলা করতে একেবারেই পছন্দ করেন না? তাহলে কিন্তু আপনাকে সত্যিই সাবধান হতে হবে৷ ৩,২৫০ জন মানুষকে নিয়ে করা একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে যাঁরা বসে বসে বেশিক্ষণ টিভি দেখেন, তাঁদের মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা অন্যদের তুলনায় অনেক দুর্বল৷ এই তথ্যটি জানা গেছে অ্যামেরিকার ‘জামা সাইকিয়াট্রি ম্যাগাজিন’ থেকে৷
খেলাধুলা মগজকে প্রসারিত করে
খেলাধুলা বা ফিটনেসের সাথে মস্তিষ্কের রয়েছে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক৷ খেলাধুলা বা হাঁটা-চলা কম হলে আপনার মস্তিষ্ক বা মগজ তাড়াতাড়ি সংকুচিত হয়ে যায়৷ এই সমীক্ষাটি করেছেন বস্টন ইউনিভার্সিটি স্কুল অফ মেডিসিনের গবেষকদল, যা প্রকাশ হয়েছে ‘নিউরোলজি’ ম্যাগাজিনে৷ সমীক্ষাটি করা হয়েছে মোট ১,৫৮৩ জন মানুষকে নিয়ে এবং একটি দীর্ঘ সময় ধরে৷ যখন তাঁদের ৪০ বছর বয়স ছিল তখন এবং পরে আবার নতুন করে ৬০ বছর বয়সে৷
ডিমেনশিয়া বা আলৎসহাইমার ঝুঁকি কমছে
শিল্পোন্নত দেশেগুলোতে মানুষের আয়ু যত বাড়ে, আলৎসহাইমা রোগের ঝুঁকিও ততটাই বাড়ে৷ বিশেষজ্ঞরা এতদিন বলতেন এমনটাই৷ কিন্তু সম্প্রতি ‘নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অফ মেডিসিন’-এ প্রকাশ করে যে, ৮-এর দশকে ডিমেনশিয়ার আক্রান্ত হয়েছেন বিশ্বের শতকরা ৩,৬ ভাগ মানুষ৷ আর ২০১০ সালের হিসেবে সংখ্যাটি হলো ২,২ ভাগ৷ এই সংখ্যা কমার পেছনে আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থারও একটা অবদান থাকতে পারে৷
সবচেয়ে কঠিন কাজটি সকালেই করুন
কর্মক্ষেত্রে বা স্কুলের সবচেয়ে কঠিন কাজটি সকালে করার পরামর্শ দিয়েছেন ডেনমার্কের এক গবেষকদল৷ তাঁরা মোট ৫৭০, ০০০ জন ছাত্র-ছাত্রীর মধ্যে একটি গবেষণা করে দেখিয়েছে যে, পরীক্ষা যত সকালে হয় তার ফলাফলও তত ইতিবাচক হয়৷ এমনকি পরীক্ষার আগে যারা আধঘণ্টার বিশ্রাম নেয়, তাদের মধ্যেও মনোযোগ বেশি হয়৷ অর্থাৎ সকালেই মানুষ থাকে তার সেরা ফর্মে৷