সু চিকে নভেম্বরে মুক্তি দেয়া হতে পারে
২৬ জানুয়ারি ২০১০বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, গত চারদিন আগে এক বৈঠকে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মং ও সু চি-কে নভেম্বরে মুক্তি দেয়ার কথা বলেন৷
বৈঠকটি যেখানে অনুষ্ঠিত হয়েছে সেখানকার এক বাসিন্দাও বলেছেন যে তিনিও এ ধরণের একটি তারিখের কথা শুনতে পেয়েছেন৷
সু চির আইনজীবি ও তাঁর দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসির মুখপাত্র নাইয়ান উইনও এ ধরণের বক্তব্য শোনার কথা স্বীকার করেছেন৷
তিনি অবশ্য বলছেন, এ বক্তব্যের সত্যতা যাচাই করা খুব কঠিন৷ তবে উইন জানিয়েছেন, খবরটিতে আশ্চর্য হবার তেমন কিছু নেই কারণ, হিসেব অনুযায়ীই সু চির গৃহবন্দিত্ব শেষ হবার কথা নভেম্বরে৷
উল্লেখ্য, গত ২০ বছরের মধ্যে ১৪ বছরই সু চিকে গৃহবন্দি থাকতে হয়েছে৷ শেষবার গত বছরের আগষ্টে তাঁর বাড়িতে এক মার্কিন নাগরিক বিনা আমন্ত্রণে ঢুকে পড়ার অভিযোগে সু চির বিরুদ্ধে ১৮ মাসের গৃহবন্দিত্বের আদেশ দেয়া হয়৷
সেসময় এই রায় নিয়ে মিয়ানমার আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক সমালোচনার শিকার হয়৷ কারণ বিশ্বনেতারা মনে করেন, মিয়ানমারে এ বছরে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচন থেকে সু চিকে বিরত রাখার জন্যই তার বিরুদ্ধে এই রায় দেয়া হয়েছিল৷
১৯৯০ সালে অনুষ্ঠিত শেষ গণতান্ত্রিক নির্বাচনে সু চির দল বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে৷ তবে ১৯৬২ সাল থেকে মিয়ানমারে শাসন ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত সামরিক জান্তার দল কখনোই সু চিকে ক্ষমতায় আরোহন করতে দেয়নি৷
মিয়ানমারে সু চির বন্দিত্বের বিষয়টি খুবই স্পর্শকাতর হওয়ায় মন্ত্রীর এই বক্তব্য সম্পর্কে কোনো কর্মকর্তাই মন্তব্য করতে রাজি হননি৷
সু চির প্রতি সামরিক জান্তার এধরণের মনোভাবের কারণে ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ যুক্তরাষ্ট্র মিয়ানমারের উপর বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরণের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল৷
কিন্তু তা থেকে তেমন কোনো ভাল ফল না পাওয়ায় সাম্প্রতিক সময়ে ইইউ ও যুক্তরাষ্ট্র মিয়ানমারের সঙ্গে আরো বেশি করে সংশ্লিষ্ট হবার নীতির দিকে এগোতে চাইছে৷
প্রতিবেদক: জাহিদুল হক
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক