1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সু চিকে নভেম্বরে মুক্তি দেয়া হতে পারে

২৬ জানুয়ারি ২০১০

মিয়ানমারের গৃহবন্দি নেত্রী অং সান সু চিকে এই বছরের নভেম্বরে মুক্তি দেয়া হতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে৷ নোবেল জয়ী এই নেত্রীর দলের নেতারা এ ধরণের খবর শুনতে পেয়েছেন বলে সোমবার জানিয়েছেন দলটির একজন মুখপাত্র৷

https://p.dw.com/p/LgUn
ছবি: AP

বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, গত চারদিন আগে এক বৈঠকে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মং ও সু চি-কে নভেম্বরে মুক্তি দেয়ার কথা বলেন৷

বৈঠকটি যেখানে অনুষ্ঠিত হয়েছে সেখানকার এক বাসিন্দাও বলেছেন যে তিনিও এ ধরণের একটি তারিখের কথা শুনতে পেয়েছেন৷

সু চির আইনজীবি ও তাঁর দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসির মুখপাত্র নাইয়ান উইনও এ ধরণের বক্তব্য শোনার কথা স্বীকার করেছেন৷

তিনি অবশ্য বলছেন, এ বক্তব্যের সত্যতা যাচাই করা খুব কঠিন৷ তবে উইন জানিয়েছেন, খবরটিতে আশ্চর্য হবার তেমন কিছু নেই কারণ, হিসেব অনুযায়ীই সু চির গৃহবন্দিত্ব শেষ হবার কথা নভেম্বরে৷

উল্লেখ্য, গত ২০ বছরের মধ্যে ১৪ বছরই সু চিকে গৃহবন্দি থাকতে হয়েছে৷ শেষবার গত বছরের আগষ্টে তাঁর বাড়িতে এক মার্কিন নাগরিক বিনা আমন্ত্রণে ঢুকে পড়ার অভিযোগে সু চির বিরুদ্ধে ১৮ মাসের গৃহবন্দিত্বের আদেশ দেয়া হয়৷

সেসময় এই রায় নিয়ে মিয়ানমার আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক সমালোচনার শিকার হয়৷ কারণ বিশ্বনেতারা মনে করেন, মিয়ানমারে এ বছরে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচন থেকে সু চিকে বিরত রাখার জন্যই তার বিরুদ্ধে এই রায় দেয়া হয়েছিল৷

১৯৯০ সালে অনুষ্ঠিত শেষ গণতান্ত্রিক নির্বাচনে সু চির দল বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে৷ তবে ১৯৬২ সাল থেকে মিয়ানমারে শাসন ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত সামরিক জান্তার দল কখনোই সু চিকে ক্ষমতায় আরোহন করতে দেয়নি৷

মিয়ানমারে সু চির বন্দিত্বের বিষয়টি খুবই স্পর্শকাতর হওয়ায় মন্ত্রীর এই বক্তব্য সম্পর্কে কোনো কর্মকর্তাই মন্তব্য করতে রাজি হননি৷

সু চির প্রতি সামরিক জান্তার এধরণের মনোভাবের কারণে ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ যুক্তরাষ্ট্র মিয়ানমারের উপর বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরণের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল৷

কিন্তু তা থেকে তেমন কোনো ভাল ফল না পাওয়ায় সাম্প্রতিক সময়ে ইইউ ও যুক্তরাষ্ট্র মিয়ানমারের সঙ্গে আরো বেশি করে সংশ্লিষ্ট হবার নীতির দিকে এগোতে চাইছে৷

প্রতিবেদক: জাহিদুল হক

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক