1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রাসায়নিক হামলা

১৭ এপ্রিল ২০১৮

রাসায়নিক হামলার অভিযোগ খতিয়ে দেখতে ডুমা শহরে এখনো পৌঁছতে পারেনি আন্তর্জাতিক তদন্তকারী দল৷ এদিকে রাশিয়া ও পশ্চিমা বিশ্ব পরস্পরকে দোষারোপ করে চলেছে৷ সোমবারও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার খবর পাওয়া গেছে৷

https://p.dw.com/p/2wAN2
সিরিয়ার দুমা শহরে রাসায়নিক হামলার অভিযোগকে ঘিরে বিভ্রান্তি কাটছে না
ছবি: Reuters/White Helmets

সিরিয়ার দুমা শহরে রাসায়নিক অস্ত্র প্রয়োগ করা হয়েছিলো কিনা, সে বিষয়ে অকাট্য তথ্যপ্রমাণ পাওয়ার আগেই শনিবার সে দেশের উপর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছিল অ্যামেরিকা, ফ্রান্স ও ব্রিটেন৷ ৯ সদস্যের আন্তর্জাতিক তদন্তকারী দল গত সপ্তাহে সিরিয়ায় পৌঁছলেও এখনো ঘটনাস্থলে যাবার সুযোগ পায়নি৷ এই বিলম্বকে কেন্দ্র করে অ্যামেরিকা ও রাশিয়া পরস্পরকে দোষারোপ করছে৷ উল্লেখ্য, রাসায়নিক অস্ত্র নিরোধের আন্তর্জাতিক সংস্থা ওপিসিডাব্লিউ'র ইনস্পেক্টররা ডুমা শহরে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ, সাক্ষীদের জেরা ও তথ্যপ্রমাণ নথিভুক্ত করতে চান৷ রবিবার তাঁরা সিরিয়ার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন৷

অ্যামেরিকা ও ব্রিটেনের অভিযোগ, রাশিয়া অথবা সিরিয়া তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করতে সম্ভবত ঘটনাস্থলে তথ্যপ্রমাণ বিকৃত করছে৷ সোমবারও দুমা শহরে সিরিয়ার সেনাবাহিনী ও রুশ সামরিক পুলিশকে টহল দিয়েছে এবং ত্রাণ বিতরণ করেছে৷ অন্যদিকে রাশিয়া এই অভিযোগ অস্বীকার করে এই বিলম্বের জন্য শনিবারের হামলাকে দায়ী করেছে৷ ইনস্পেকটররা পৌঁছানোর ঠিক আগে হামলা চালানোর যুক্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে মস্কো৷ রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ গ্যারেন্টি দিয়ে বলেছেন, রাশিয়া ঘটনাস্থলে কোনোরকম রদবদল করেনি৷ রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেছেন, আন্তর্জাতিক তদন্তকারী দল সম্ভবত বুধবার ঘটনাস্থলে যেতে পারবেন৷ তাঁদের নিরাপত্তার খাতিরে তার আগে সেখানে পৌঁছানোর রাস্তা মাইনমুক্ত করতে হবে৷ জাতিসংঘের নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা মঙ্গলবার সেই যাত্রাপথ পরীক্ষা করবেন৷

এদিকে সোমবারও সিরিয়ার উপর সম্ভবত ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে৷ সিরিয়ার সেনাবাহিনীর দাবি, তারা হোমস প্রদেশ ও দামেস্কের কাছে প্রতিরোধ ব্যবস্থা কাজে লাগিয়ে ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করেছে৷ তবে মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সে সময়ে ওই এলাকায় কোনো মার্কিন সামরিক কার্যকলাপ চলছিল না৷ ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, ইসরায়েল এমন রিপোর্টের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করে না৷

সোমবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা লুক্সেমবুর্গে এক বৈঠকে সিরিয়ার উপর ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন৷ বাশার আল আসাদ প্রশাসনকে আরও একঘরে করার লক্ষ্যে আরও পদক্ষেপ নিয়েও আলোচনা করেছেন তাঁরা৷

এদিকে মার্কিন নেতৃত্বে শনিবারের হামলার কার্যকারিতা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছে৷ সমালোচকদের মতে, পূর্বঘোষিত এই হামলার মাধ্যমে আসাদ প্রশাসনের কৌশলগত ভারসাম্যে কোনো পরিবর্তন ঘটে নি৷ এর মাধ্যমে ভবিষ্যতে রাসায়নিক হামলা প্রতিরোধ করাও সম্ভব হবে না৷ এসবি/এসিবি (রয়টার্স, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য