1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সিরিয়ায় যুদ্ধবিরতি চলছে, প্রক্রিয়া থেকে বাদ যুক্তরাষ্ট্র

৩০ ডিসেম্বর ২০১৬

বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে সিরিয়া জুড়ে আবারও যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে৷ রাশিয়া ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় সিরিয়ার সরকারি বাহিনী ও সাত বিদ্রোহী গোষ্ঠী এ সংক্রান্ত একটি চুক্তিতে সই করেছে৷

https://p.dw.com/p/2V3AL
Syrien Aleppo  Waffenstillstand beschlossen
ছবি: picture-alliance/dpa

এর আগে ফেব্রুয়ারি ও সেপ্টেম্বরে সিরিয়ায় যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছিল৷ কিন্তু কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সেগুলো ভেস্তে যায়৷ সিরীয় বাহিনী ও বিদ্রোহীরা পরস্পরের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতির শর্ত ভঙ্গের অভিযোগ এনেছিল৷ ঐ দুইবারের উদ্যোগের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র জড়িত থাকলেও এবার নেই৷ ফলে রাশিয়া এবার তুরস্কের সঙ্গে মিলে এই উদ্যোগ নিয়েছে৷ রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিন স্বয়ং বৃহস্পতিবার যুদ্ধবিরতি চুক্তি সই হওয়ার ঘোষণা দেন৷ রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ বলেছেন, ২০ জানুয়ারি মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প দায়িত্ব গ্রহণের পর যুক্তরাষ্ট্র শান্তি প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত হতে পারে৷

এদিকে, বার্তা সংস্থাগুলো বলছে, যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার সময়, অর্থাৎ মধ্যরাতের দিকে বিচ্ছিন্নভাবে দুয়েকটি সংঘাতের খবর পাওয়া গেলেও সার্বিকভাবে এখনও যুদ্ধবিরতি ঠিকঠাকভাবেই চলছে৷

‘ঐতিহাসিক সুযোগ’

নতুন করে শুরু হওয়া এই যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্র এর সফলতা কামনা করেছে৷ সিরিয়া মনে করছে, দেশটিতে যুদ্ধ বন্ধে এটি একটি ‘আসল সুযোগ’ হতে পারে৷ তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইয়্যেপ এর্দোয়ানও মনে করছেন সিরিয়ায় যুদ্ধ বন্ধের ক্ষেত্রে এটি একটি ‘ঐতিহাসিক সুযোগ’৷ এবারের চুক্তি নিয়ে আশাবাদী স্বাক্ষরকারী অন্যতম বিদ্রোহী গোষ্ঠী ‘ফ্রি সিরিয়ান আর্মি'৷ তাদের একজন কমান্ডার বলেছেন, ‘‘এবার সকলের (চুক্তি বাস্তবায়নে) সদিচ্ছার প্রতি আমার বিশ্বাস হচ্ছে৷’’

আলোচনা শুরু শিগগিরই

সিরিয়ায় কয়েক বছর ধরে চলা যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটানোর উদ্দেশ্যে এই যুদ্ধবিরতির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে৷ স্বাক্ষরিত চুক্তিতে এ লক্ষ্যে আলোচনা শুরুর কথা বলা হয়েছে৷ রুশ প্রেসিডেন্ট পুটিন বলেছেন, কাজাখস্তানের রাজধানী আস্তানায় ঐ আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে৷ সিরিয়ার সরকারি গণমাধ্যম বলছে, ‘শিগগিরই’ এই আলোচনা শুরু হবে৷

অনেকদিন পর প্রথম

সিরিয়া নিয়ে নতুন উদ্যোগের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের না থাকা প্রসঙ্গে বার্তা সংস্থা রয়টার্স লিখেছে, মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ে গত কয়েক দশকে নেয়া আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক উদ্যোগের ক্ষেত্রে এবারই প্রথম যুক্তরাষ্ট্রের কোনো অংশগ্রহণ নেই৷ তবে এর ফলে এ অঞ্চলে দেশটির গুরুত্ব কমবে না বলে মনে করেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ঊর্ধ্বতন কূটনীতিক জেমস ডবিনস৷

জেডএইচ/এসিবি (রয়টার্স, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য