1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সিরিয়াল কিলারের খবরে শঙ্কিত বাংলাদেশ

১২ অক্টোবর ২০০৯

সিরিয়াল কিলার রসু খাঁ’র জবানবন্দিতে হতবাক অপরাধ বিশ্লেষকরা৷ আধুনিক বিশ্বের বিকৃত খুনীর বাংলাদেশে আত্মপ্রকাশে তারা শঙ্কিত৷ পুলিশের সাবেক আইজি এএসম শাহজাহান বলেছেন, আরো সিরিয়াল কিলারের অস্তিত্ব থাকতে পারে বাংলাদেশে৷

https://p.dw.com/p/K4iY
রসু খাঁছবি: DW

এধরনের অপরাধী সনাক্ত করার ব্যাপারে পুলিশের দক্ষতা না থাকায় তারা ধরা পড়ছে না৷

১৮৮৮ সাল৷ লন্ডনের হোয়াইট চ্যাপেল এলাকায় একের পর এক খুনের ঘটনা ঘটছিল৷ আর খুনের শিকার সবাই নারী৷ কিন্তু খুনী একজনই৷ পুলিশ কোন কিনারাই করতে পরছিলনা কে হত্যাকারী৷ অতঃপর লন্ডনের সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সিতে চিঠি পাঠিয়ে সেই সিরিয়াল কিলার তার তার নাম জানাল ‘জ্যাক দ্য রিপার'৷ সারা দুনিয়া আঁতকে উঠল৷ এখন ইংল্যান্ডের পুলিশ ট্রেনিং কলেজে তার এই বীভৎস খুনের কাহিনী অবশ্য পাঠ্য – জানালেন সাবেক আইজিপি এ এস এম শাহজাহান৷

এর পর বিশ্বের অনেক দেশে এরকম সিরিয়াল কিলার ধরা পড়লেও লন্ডনের একশ' একুশ বছর পর বাংলাদেশে একজন সিরিয়াল কিলারের খোঁজ পাওয়া গেল৷ চাঁদপুরের রসু খাঁ ১১ জন নারীকে খুনের পর ধরা পড়লেও তার লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১০১৷ সিরিয়াল কিলারদের সব বৈশিষ্ট্য রয়েছে তা ভিতর৷

প্রতিশোধের নেশায় সে একর পর এক নারীকে খুন করেছে অবলীলায়, ঠাণ্ডা মাথায় এবং খুনের সময় সে ছিল কৌশলী৷ পুলিশ লাশ পেলেও খুনীর হদিস করতে পারছিলনা৷ শেষ পর্যন্ত টঙ্গীতে একটি ফ্যান চুরির ঘটনায় আটক হওয়ার পর সব প্রকাশ করে৷

সাবেক আইজিপির মতে, বাংলাদেশে হয়ত আরো সিরিয়াল কিলারের অস্তিত্ব আছে৷ পুলিশ বুঝতে পারছেনা৷

সারা বিশ্বে এপর্যন্ত শ'খানেক সিরিয়াল কিলারের কথা জানা গেছে৷ ৪৪টি দেশে সিরিয়াল কিলাররা ধরা পড়েছে এবং শাস্তি পেয়েছে৷ বাংলাদেশে ৪৫তম দেশ যেখানে সর্বশেষ সিরিয়াল কিলার ধরা পড়ল৷

প্রতিবেদক: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন