1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সিরিয়ার আলেপ্পোতে বিষাক্ত গ্যাস হামলা

২ আগস্ট ২০১৬

সিরিয়ার ইদলিব প্রদেশে একটি রুশ হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হওয়ার পর ঐ এলাকায় রাতভর বিষাক্ত গ্যাস হামলা হয়েছে বলে জানা গেছে৷ এতে নারী ও শিশুসহ ৩৩ জন আক্রান্ত হয়েছে৷

https://p.dw.com/p/1JaAv
Syrien - Zerstörtes Aleppo 2012
ছবি: picture-alliance/AP-Photo/M. Brabo

উদ্ধার তৎপরতা চালায় এমন এক সংস্থা ‘সিরিয়া সিভিল ডিফেন্স' এর এক মুখপাত্র মঙ্গলবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, গতরাতে একটি হেলিকপ্টার থেকে কয়েক কন্টেইনার বিষাক্ত গ্যাস ছোড়া হয়েছে৷ সোমবার যে স্থানে একটি রুশ হেলিকপ্টার ভূপতিত হয়েছিল গ্যাস হামলার স্থানটি তার নিকটেই বলে জানিয়েছেন তিনি৷

এদিকে, রাশিয়ার হেলিকপ্টার গুলি করে ভূপতিত করার কয়েক ঘণ্টা পর রাশিয়ার বিমান হামলায় ১২ জন নিহত হয়েছে৷ ইদলিব প্রদেশের আবু ধুহুর এলাকার কাছে ঐ বিমান হামলায় নিহতদের মধ্যে দুইজন শিশু৷ এ তথ্য জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্থা ‘সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস' বা এসওএইচআর৷ রাশিয়ার এমআই-৮ পরিবহণ হেলিকপ্টারটি ইদলিব প্রদেশে ভূপতিত হয়৷ এতে তিন ক্রু এবং দুই কর্মকর্তা নিহত হন৷ হেলিকপ্টারটি আলেপ্পোতে মানবিক ত্রাণ সরবরাহ করে ফিরছিল৷ তবে কোনো গোষ্ঠী এখনো এ ঘটনার দায় স্বীকার করেনি৷

হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হওয়ার পর ঐ এলাকায় ৩৩টি বিমান হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে সিরিয়ার বিদ্রোহী গোষ্ঠী৷ অন্যদিকে, এসওএইচআর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় আলেপ্পোতে সিরিয়ার বিদ্রোহী গোষ্ঠীদের গোলা হামলায় ৮ নারী ও ৬ শিশুসহ ২৮ জন বেসারমিক মানুষ নিহত হয়েছে৷

সির্তে যুক্তরাষ্ট্রের হামলা

লিবিয়ায় তথাকথিত জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস) এর অবস্থানের ওপর বিমান হামলা শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র৷ তবে স্থলপথে নয়, কেবল আকাশপথে এই হামলা চালানো হচ্ছে৷ লিবিয়ার জাতিসংঘ-সমর্থিত সরকারের অনুরোধে যুক্তরাষ্ট্র এ পদক্ষেপ নিয়েছে বলে জানিয়েছে পেন্টাগন৷ সোমবার সির্তের জঙ্গি অবস্থানগুলো লক্ষ্য করে হামলাগুলো চালানো হয়৷ হামলার প্রধান লক্ষ্য হলো আইএস এর ট্যাঙ্ক এবং যানবাহন৷ এসব হামলায় আইএসের ‘ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি' হয়েছে বলে জানিয়েছেন লিবিয়ার প্রেসিডেন্সি কাউন্সিলের প্রধান ফায়েজ সাররাজ৷ তিনি জানান, প্রেসিডেন্সি কাউন্সিলের অনুরোধে সরাসরি এ ধরনের বিমান হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র৷ প্রথম হামলাতেই আইএস এর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে৷

সম্প্রতি ইউরোপে কয়েকটি হামলার পর আইএসের ক্রমাগত শক্তি বৃদ্ধিতে উদ্বিগ্ন হয়ে উঠছে পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলো৷ এক বিবৃতিতে হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার অনুমোদন নিয়ে আইএসের সঙ্গে লড়াইরত লিবীয় সরকারি বাহিনীকে সহায়তা করতে হামলাগুলো চালানো হয়৷

পেন্টাগনের মুখপাত্র পিটার কুক বলেছেন, ‘‘গত কিছুদিন ধরে লিবীয় প্রশাসনের জানানো অনুরোধে সাড়া দিয়ে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে এসব হামলা চালানো হয়েছে৷''

মার্কিন কর্মকর্তারা এ বছরের শুরুতে জানান, লিবিয়ায় ইসলামিক স্টেটের ৬ হাজার সদস্য রয়েছে৷ তবে সম্প্রতি কয়েক মাসে লিবিয়ায় এদের সংখ্যা কমেছে এবং আইএস দুর্বল হয়ে পড়েছে৷ দুই সপ্তাহ আগে জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন বলেছেন, লিবিয়ায় আইএস তাদের শক্ত ঘাঁটিগুলোর নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে৷

এপিবি/জেডএইচ (এপি, এএফপি, ডিপিএ, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য