1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সিনেমার জগৎ আর ভিডিও গেমস’এর জগৎ ক্রমেই মিশে যাচ্ছে

২৭ জুন ২০১০

যেমন ধরুন ‘প্রিন্স অফ পার্সিয়া: দ্য ফরগটেন স্যান্ডস’৷ ওটা হল একটি গেম৷ কিন্তু তার সঙ্গে প্রায় একই সময়ে রিলিজ হয়েছিল একটি মুভি বা চলচ্চিত্র: ‘প্রিন্স অফ পার্সিয়া: দ্য স্যান্ডস অফ টাইম’৷ এটাই হল আজকালকার ট্রেন্ড৷

https://p.dw.com/p/O4E8
ছবি: AP

চিন্তার কিছু নেই: স্বয়ং হ্যারি পটার'এর পরবর্তী ছবি - ‘হ্যারি পটার এ্যান্ড দ্য ডেথলি হ্যালোস' - শেষ হবার আগেই একটি কোম্পানি সেই ছবিটির সঙ্গী হিসেবে দু'টি গেম সৃষ্টি করছে৷ এবং সেই গেমগুলি যে কোনো প্ল্যাটফর্ম থেকে শুরু করে মোবাইল ফোন অবধি সর্বত্র খেলা যাবে৷ ইলেকট্রনিক্স আর্ট নামধারী কোম্পানিটির মটো হল: ‘গেম টু ফিল্ম টু বুক', হ্যারি পটারের ক্ষেত্রে যা বস্তুত বই থেকে ফিল্ম থেকে গেম৷

আবার ভিডিও গেম থেকে মুভি, মানে সিনেমা সৃষ্টি হওয়ার ঘটনাও বিরল নয়৷ সুবিখ্যাত মর্টাল কমব্যাট ভিডিও গেমগুলি থেকে শেষমেষ ছবিটি তৈরী হয়৷ এবং ফিল্ম থেকে বই মার্কেন্ডাইজিং প্রথা তো আরো পুরনো৷ তা'হলে এই সব টাই-আপের নতুনত্বটা কোথায়?

Olympia / Kumaritaschwili / Unfall / Rodeln
ছবি: AP

নতুনত্বটা হল সম্ভাব্য হাইব্রিডে: এমন সব ভিডিও গেম তৈরী করা, যা'তে সিনেমার স্বাদ পাওয়া যাবে৷ ‘দ্য আনচার্টেড' গেমগুলির মেজাজ অনেকটা ‘ইন্ডিয়ানা জোন্স' ছবিগুলির মতো৷ সাম্প্রতিক একটি গেম - ‘রেড ডেড রিডেম্পশন' - দেখলে ইটালো-ওয়েস্টার্ন ছবিগুলোর কথা মনে পড়বে৷

এবং ভিডিও গেমসের আবহসঙ্গীতের দিকে আজকাল ঠিক ততোটাই মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে, যেমনটি দেওয়া হয় ফিল্ম মিউজিকের দিকে৷ ওদিকে মিউজিক ভিডিও তো একটা নিজস্ব কলা হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ যে প্রজন্ম টেলিফোনে টিভি দেখে, মেসেজ কি মেইল পাঠায়, ছবি তোলে, গান শোনে, তাদের কাছে গোটা জীবনটাই বস্তুত একটা টাই-আপ: বই থেকে ফিল্ম থেকে গেম থেকে গান থেকে রিংটোন - তাদের কাছে এই ধরণের অবিরত, ভালো কি মন্দ টাই-আপের পিছনে আদি ও অকৃত্রিম মুনাফা দেবীর ছবি ফুটে ওঠে কিনা, সেটাই জানার ইচ্ছে রইল৷

প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

সম্পাদনা: আরাফাতুল ইসলাম