1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সাংবাদিকতার স্বীকৃতি

শামিল শামস / জেডএইচ৩০ অক্টোবর ২০১২

সাহসিকতার সঙ্গে কাজ করার জন্য পাকিস্তানের উত্তর পশ্চিমাঞ্চলের একটি সাংবাদিক ইউনিয়নকে পুরস্কৃত করছে জার্মানির ফ্রিডরিশ-এবার্ট-স্টিফটুং বা এফইএস ফাউন্ডেশন৷

https://p.dw.com/p/16ZID
ছবি: TUJ

ইউনেস্কোর এ বছরের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী সাংবাদিকদের জন্য পাকিস্তান বিশ্বের দ্বিতীয় বিপজ্জনক দেশ৷ আর সাউথ এশিয়া ফ্রি মিডিয়া অ্যাসোসিয়েশন বা সাফমা'র হিসেবে, গত বছর দক্ষিণ এশিয়ায় মোট ১৭ জন সাংবাদিককে হত্যা করা হয়েছে৷ এর মধ্যে ১২ জনই পাকিস্তানের৷

এই দুটি তথ্যই বলে দিচ্ছে সাংবাদিকদের জন্য পাকিস্তান কতটা বিপজ্জনক৷ তার উপর এলাকাটা যদি হয় পাকিস্তানের উত্তর পশ্চিমাঞ্চল তাহলে তো কথাই নেই৷ কেননা তালেবান আর আল কায়দার ঘাঁটি হচ্ছে এই এলাকা৷ তাই যুক্তরাষ্ট্রের চোখে আফগানিস্তান সীমান্ত সংলগ্ন ঐ এলাকাটি হচ্ছে বিশ্বের অন্যতম বিপজ্জনক অঞ্চল৷ সেখান থেকেই জঙ্গিরা আফগানিস্তানে থাকা ন্যাটো বাহিনীর সদস্যদের উপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ যুক্তরাষ্ট্রের৷

এই পরিস্থিতিতে কাজ করে চলেছেন ঐ এলাকার প্রায় আড়াইশো সাংবাদিক৷ তাদেরই সংগঠনের নাম ‘দ্য ট্রাইবাল ইউনিয়ন অফ জার্নালিস্ট' বা টিইউজে৷ দেশি, বিদেশি সব গণমাধ্যম এই সাংবাদিকদের দেয়া তথ্যই প্রচার করে থাকে৷

Menschenrechtspreis der Friedrich Ebert Stiftung 2012
পেশোয়ার প্রেস ক্লাবের সামনে সাংবাদিকদের প্রতিবাদছবি: TUJ

জার্মানির সামাজিক গণতন্ত্রী দল এসপিডি'র রাজনৈতিক ফাউন্ডেশন এফইএস এ বছর টিইউজে'কে পুরস্কৃত করার ঘোষণা দিয়েছে৷ মানবাধিকার রক্ষায় কাজ করার জন্য প্রতি বছর এই পুরস্কার দিয়ে থাকে এফইএস৷ বুধবার বার্লিনে এক অনুষ্ঠানে টিইউজে'র প্রতিনিধির হাতে এই পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে৷

সংস্থার এক কর্মকর্তা ডিডাব্লিউকে জানিয়েছেন, নিজেদের জীবন বিপন্ন করে ঐ এলাকার সাংবাদিকরা কাজ করে থাকেন৷

টিইউজে'র প্রেসিডেন্ট সফদার দাওয়ার বলেছেন, ‘‘আমরা আমাদের কাজের জন্য পাকিস্তান সরকারের পক্ষ থেকে তেমন কোনো উৎসাহ পাইনা৷ তাই আন্তর্জাতিকভাবে আমাদের এই স্বীকৃতি দেয়ার জন্য এফইএস'কে ধন্যবাদ৷

দাওয়ার বলেন, ‘‘কাজ করার জন্য উন্নত সুযোগ সুবিধা আর জীবন বিমা'র জন্য আমরা অনেকদিন ধরেই দাবি করে আসছি৷ কিন্তু এখনো আমরা সেটা পাইনি''৷

পেশোয়ারে ডিডাব্লিউ'র প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেন ফরিদুল্লাহ খান৷ তিনি বলছেন, ‘‘সেখানকার সাংবাদিকরা কম বেতনে কাজ করেন৷ তাদের জীবনের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা নেই৷ তারপরও তাঁরা সত্য ঘটনা বিশ্বকে জানিয়ে যাচ্ছেন৷''

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য