1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সামরিক চুক্তি নবায়ন করলো ন্যাটো ও রাশিয়া

২৭ জানুয়ারি ২০১০

রাশিয়া এবং ন্যাটো তাদের মধ্যে স্থগিত হয়ে যাওয়া সামরিক চুক্তিটি নবায়ন করেছে৷ ব্রাসেলস-এ দুই পক্ষই সিদ্ধান্ত নিয়েছে আগামী বছর হবে যৌথ সামরিক মহড়া৷

https://p.dw.com/p/LhhT
ব্রাসেলস- এ ন্যাটো সদর দফতরছবি: NATO

জর্জিয়া নিয়ে বিরোধের সূত্রপাত ধরে ন্যাটোর সঙ্গে বেশ খারাপ সম্পর্কই চলছিল রাশিয়ার৷ ২০০৮ সালে রুশ সেনারা ঢুকে পড়ে জর্জিয়ায় বিরোধপূর্ণ দুইটি অঞ্চল আফখাজিয়া এবং দক্ষিণ ওসেটিয়ায়৷ ঐ দুই বিচ্ছিন্নতাবাদী অঞ্চলের স্বাধীনতাকামী গ্রুপগুলোকে সহায়তা করাই ছিল রাশিয়ার উদ্দেশ্য৷ এই বিরোধের সূত্র ধরেই সামনে চলে আসে ন্যাটো৷ ন্যাটোর জোর দাবি কোন স্বাধীন দেশের উপর হামলা চালানো যাবে না৷ রাশিয়ার সঙ্গে স্বল্পকালীন যুদ্ধও হয়েছিল ন্যাটো বাহিনীর৷ সম্পর্ক বেশ খারাপ পর্যায়ে চলে যায় তখন৷ অনেকদিন ধরে চলেছিল সেই বিরোধপূর্ণ সম্পর্ক৷ কিন্তু এর অবসান তো হওয়া প্রয়োজন৷ তাই গত বছরের মাঝামাঝি সময় থেকে রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার উদ্যোগ নেয় ন্যাটো৷ সেবছর আয়োজন করা হয়েছিল উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের বেশ কয়েকটি বৈঠক৷ ন্যাটো মহাসচিবও ঘুরে এসেছেন রাশিয়া৷ এই সব আলোচনা আর মতবিনিময়ে দুই পক্ষই অবশেষে একটি ফলাফল দেখালো মঙ্গলবার৷

ব্রাসেলসে ন্যাটো এবং রাশিয়ার মধ্যে যে সামরিক চুক্তি ছিল, যেটি ২০০৮ সালে রাশিয়া কর্তৃক জর্জিয়া আক্রমণের পর স্থগিত হয়ে গিয়েছিল, সেই চুক্তিটি নবায়ন করলো দুই পক্ষ৷ নবায়নকৃত এই চুক্তিতে অবশ্য বেশ কয়েকটি বিষয় সন্নিবেশিত করা হয়েছে৷ এর মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত ধারাটি হলো সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের আওতাভুক্ত কিন্তু এখন স্বাধীন, সেই সব দেশের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক কেমন হবে এবং এ নিয়ে ন্যাটোর কি দায়িত্ব থাকবে সেই ধারাটি৷ একই সঙ্গে এই চুক্তিতে সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় দুই পক্ষের মধ্যে আরো কত বেশি কাজ করা যায়, তাও উল্লেখ করা হয়েছে৷

ন্যাটোর সদর দফতরে সংস্থাটির সামরিক কমিটির প্রধান এডমিরাল গিয়ামপোলো ডি পাওলা এবং রাশিয়ার প্রধান সামরিক কর্মকর্তা জেনারেল নিকোলাই মাকারভ নিজ নিজ পক্ষে নবায়নকৃত চুক্তিতে সই করেন৷ নিজেদের মধ্যে বৈঠক শেষে দুইজন বৈঠকে বসেন ন্যাটো জোটের অপর অংশিদারদের সঙ্গে৷ এখানেই কথা হয় আগামী সামরিক সহযোগিতার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে৷ সিদ্ধান্ত হয়, আগামী বছর ন্যাটো এবং রাশিয়ার সেনারা যৌথ সামরিক মহড়ায় অংশ নেবে৷

সামরিক সহযোগিতাকে লক্ষ্য নির্ধারণ করে উত্তর আটলান্টিক মৈত্রী জোট বা ন্যাটো শীতল যুদ্ধের পটভূমিতে ১৯৪৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়৷ ন্যাটো জোটভুক্ত দেশগুলো পারস্পরিক সামরিক সহযোগিতা প্রদানে অঙ্গীকারাবদ্ধ৷ আটলান্টিক মহাসাগরের দুই পাড়ে অবস্থিত উত্তর অ্যামেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ক্যানাডা এবং ইউরোপের অধিকাংশ দেশ এই জোটের সদস্য৷

প্রতিবেদন: সাগর সরওয়ার

সম্পাদনা: আবদুস সাত্তার