1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সাঁতারের পোশাকে প্রযুক্তি!

সঞ্জীব বর্মন২৩ আগস্ট ২০০৮

আজকাল পারফর্মেন্সের পাশাপাশি বিচার করা হয়, খেলোয়াড়রা কতটা কেতাদুরস্ত৷ বিশেষ করে বিজ্ঞাপনদাতাদের পাল্লায় পড়ে তাদের পোশাক, জুতো, মেক-আপ ইত্যাদি সবকিছুর মধ্যেই পাওয়া যায় বাণিজ্যিক গন্ধ৷

https://p.dw.com/p/F3e6
স্পীডোর তৈরি বিশেষ পোশাকছবি: picture-alliance/dpa

কিন্তু শুধু ফ্যাশন নয় - আরও ভালো ফল করার জন্য পোশাকের বিশেষ গুরুত্ব আছে বৈকি৷ যেমন সাঁতারের কথাই ধরা যাক৷ সাঁতারে একগুচ্ছ নতুন বিশ্ব-রেকর্ডের পেছনে পোশাকের গুরুত্ব অনস্বীকার্য৷

অস্ট্রেলিয়ার সংস্থা Speedo এক বিশেষ ধরনের হাল্কা সাঁতারের পোশাক তৈরী করেছে, যার পোশাকী নাম Speedo LZR Racer৷ চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে মাত্র ২০০ গ্রাম ওজনের ঐ কস্টিউম চালু হওয়ার পর আন্তর্জাতিক স্তরে সাঁতারের চরিত্র একেবারে বদলে গেছে৷ ৪০টিরও বেশী বিশ্ব রেকর্ড করার সময়ে সাঁতারুরা Speedo পোশাক পরে ছিলেন৷ এমনকী মার্কিন কিংবদন্তি সাঁতারু মাইকেল ফেল্পসের পরণেও শোভা পায় ঐ পোষাক৷ Speedo সম্পর্কে উচ্ছ্বসিত ফেল্পস বলেন, ……আমি যখন জলে ঝাঁপ দিই, মনে হয় আমি যেন একটা রকেট৷––

Britta Steffen gewinnt Gold bei Olympia China 2008
স্পীডোর পোশাকে জার্মান সাতারু ব্রিটাছবি: AP

একটি পোশাকের পেছনে এমন গবেষণা ও উদ্যোগ সহজে দেখা যায় না৷ ৩টি মহাদেশে গবেষকদের প্রায় ৬টি গোষ্ঠী এই বিশাল প্রকল্পে কাজ করেছেন৷ Speedo সংস্থা প্রথমে বিশ্বের ৪০০ সেরা সাঁতারুর শরীরের ত্রি-মাত্রিক মাপ সংগ্রহ করেছে৷ এরপর অসংখ্য উপকরণ ও ডিজাইনের মধ্যে সমন্বয় ঘটিয়ে পরীক্ষা চালানো হয়েছে৷ কৃত্রিমভাবে স্রোত সৃষ্টি করে পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে, কোন্ উপকরণ সবচেয়ে কম বাধা সৃষ্টি করে৷ এমনকী মার্কিন মহাকাশ সংস্থা …নাসা–র সাহায্যে বাতাসের প্রবাহ সৃষ্টি করেও পরীক্ষা চালানো হয়েছে৷ কম্পিউটারের পর্দায় এই সব তথ্য ভরে গবেষকরা জানার চেষ্টা করেছেন, কীভাবে জল ও বাতাসের বাধা যতটা সম্ভব উপেক্ষা করা যায়৷

আপাতদৃষ্টিতে মনে হতে পারে, এত বড় কর্মযজ্ঞের প্রয়োজন ছিল কি? এর বদলে সাঁতারুরা নিজেদের দক্ষতা আরও বাড়ানোর চেষ্টা করলে ও নিয়মিত অনুশীলন করলেই তো সাফল্য আসতে পারে - পোশাকে কী এসে যায়? বাস্তবে কিন্তু সাঁতারের পোশাকের গুরুত্ব অপরিসীম - বিশেষ করে অলিম্পিকের মত আসরে যখন সেকেন্ডের ভগ্নাংশের ব্যবধান নির্ধারণ করে - কে প্রথম, দ্বিতীয় বা তৃতীয় স্থান পাচ্ছে৷

সাঁতারুদের গতিপথে বাধা যথাসম্ভব দূর করতে নব্বইয়ের দশকের মাঝামাঝি সময় থেকেই প্রায় গোটা শরীর ঢাকা পোশাক তৈরী শুরু হয়৷ এমনকী হাঙরের ত্বকের অনুকরণে সাঁতারের পোশাকও তৈরী করা হয়েছে৷ Speedo এই প্রবণতাকে আরও অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে গেছে৷ ঐ সংস্থার দাবি, বিশেষ ঐ পোষাক পরলে সাঁতারের সময় জল ও বাতাসের বাধার মাত্রা ৫ থেকে ১০ শতাংশ কমিয়ে আনা সম্ভব৷ তাছাড়া ঐ পোষাক পেশীকে আরও শক্ত ও স্থিতিশীল করে তোলে৷ এই বিশেষ পোষাক পরে আসরে নামলে সাফল্য ঠেকায় কে?