সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ম্যার্কেল-এর্দোয়ান
১২ ডিসেম্বর ২০১৬ম্যার্কেল তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইয়েপ এর্দোয়ানকে তাঁর পক্ষ থেকে শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন৷ যাঁরা নিহত হয়েছেন তাঁদের স্বজনদের প্রতি শোকবার্তা পৌঁছে দেয়ারও অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি৷ বলেছেন তিনি তাঁদের প্রতি সমব্যথী, কেননা তাঁরা আপনজন হারিয়েছেন৷ এছাড়া আহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন ম্যার্কেল৷ ম্যার্কেলের মুখপাত্র উলরিকে ডেমের গণমাধ্যমকে এ কথা জানান৷ তিনি আরো জানান, ম্যার্কেল বলেছেন, সন্ত্রাসবাদ রুখতে আরও শক্ত পদক্ষেপ নেয়া দরকার৷ ম্যার্কেল এবং এর্দোয়ান সন্ত্রাসবাদ দমনে একে অপরকে সহযোগিতা করার ব্যাপারেও একমত হয়েছেন বলে জানান ডেমের৷
জার্মান প্রেসিডেন্ট ইওয়াখিম গাউক তুরস্কের এই ঘটনায় ব্যথিত হয়েছেন এবং তিনিও নিহতদের স্বজনদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন৷ জার্মান পররাষ্ট্র মন্ত্রী ফ্রাংক ভাল্টার স্টাইনমায়ার বলেছেন, ‘‘আমরা এই সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি, এই ঘটনায় আমরা সমব্যথী৷''
এদিকে শনিবারের জোড়া বোমা হামলার দায় স্বীকার করেছে কুর্দি গেরিলা দল পিকেকে-র শাখা কুর্দিস্তান ফ্রিডম হাওকস বা টিএকে৷ ঐ হামলায় ৩৮ জন নিহত ও ১৫৫ জন আহত হয়েছে৷ পিকেকে-র সঙ্গে যোগসূত্র থাকার অভিযোগে কুর্দি সমর্থিত পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টি এইচডিপি-এর ১১৮ সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ৷ তুরস্কের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম সোমবার জানিয়েছে, দলটির সদস্যদের খোঁজে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে৷ তুরস্কের ৫টি প্রদেশে ভোরবেলা অভিযান চালিয়ে এই ব্যক্তিদের আটক করা হয়৷
জার্মানি ও তুরস্কে সন্ত্রাসবাদ
জার্মানি ও তুরস্ক দুই দেশেই ২০১৬ তে বেশ কয়েকটি সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে৷ তুরস্ক ইসলামি ও কুর্দি গেরিলাদের হামলার শিকার হয়েছে৷ অন্যদিকে, জুলাইতে জার্মানিতে দু'টি হামলার ঘটনা ঘটেছে৷ একটি সফল হলেও নিরাপত্তাবাহিনীর দক্ষতার কারণে অন্যটি ব্যর্থ হয়েছে৷ দু'টি হামলার দায় স্বীকার করেছে তথাকথিত ইসলামি জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট৷
এর্দোয়ান এবং ম্যার্কেল নিজেদের মাটি থেকে সন্ত্রাসবাদের মূল উৎপাটনের ব্যাপারে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ বলে জানিয়েছেন৷ শনিবারের বোমা হামলার পর এর্দোয়ান বলেছেন, ‘‘সন্ত্রাসবাদ নির্মূলে নিজেদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন তারা৷''
এপিবি/ডিজি (এপি, এএফপি, রয়টার্স)