1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সন্ত্রাসবাদে জড়াচ্ছে গুয়ানতানামোর সাবেক বন্দিরা

৭ জানুয়ারি ২০১০

গুয়ানতানামো কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়া সাবেক বন্দিদের একটা বড় অংশই সন্ত্রাসবাদী নেটওয়ার্কগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলছে৷ যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বাস, সাবেক বন্দিদের প্রতি পাঁচজনে একজনই নিজেকে আবার সন্ত্রাসে জড়াচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/LO9I
গুয়ানতানামোর বন্দি শিবিরছবি: AP

পেন্টাগনের গণমাধ্যম সচিব জিওফ মোরেল বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে সাবেক গুয়ানতানামো বন্দিদের সন্ত্রাসে জড়ানোর বিষয়ে কথা বললেও কোনো সঠিক সংখ্যা জানাতে পারেননি৷

মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তরের গত বছরের এপ্রিল মাসের প্রতিবেদন অনুসারে সাবেক গুয়ানতানামো বন্দিদের মধ্যে সন্ত্রাসী নেটওয়ার্কে যুক্ত হওয়ার হার ছিল প্রায় ১৪ শতাংশ৷ ওই প্রতিবেদনের দিকে ইঙ্গিত করে মোরেল বলেছেন, ‘‘আমি আপনাদের কোনো সংখ্যা জানাতে পারবো না৷ তবে এটা বলতে পারি আমি বিশ্বাস করি না যে ওই হার কমেছে৷''

Guantanamo Flash-Galerie
গুয়ানতানামোর এক বন্দিছবি: AP

অবশ্য, মানবাধিকার গ্রুপগুলো পেন্টাগনের এসব পরিসংখ্যানকে প্রপাগান্ডা হিসেবে নাকচ করে দিয়েছে৷ তারা বলছে পেন্টাগনের কথাবার্তা অনেক বেশি অসাড় এবং দাবি অনুসারে পুনরায় সন্ত্রাসে জড়িয়ে পড়া সাবেক বন্দিদের আসলে চিহ্নিত করতে পারেনি পেন্টাগন৷

যুক্তরাষ্ট্রগামী বিমানে বোমা হামলার ব্যর্থচেষ্টাকারী নাইজেরীয় তরুণ উমর ফারুক আব্দুলমুত্তালাব ইয়েমেনে প্রশিক্ষিত হয়েছিলেন বলে খবর ছড়িয়ে পড়ার পর গুয়ানতানামোর সাবেক বন্দিদের ইস্যুটি নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়৷ ধারণা করা হয় সাঈদ আলি আল-শিহরিসহ গুয়ানতানামোর দুই সাবেক বন্দি ইয়েমেনে আল-কায়েদার আঞ্চলিক নেটওয়ার্কের গুরুত্বপূর্ণ নেতা হিসেবে কাজ করছেন৷

বড়দিনের উৎসবের সময়ে ওই হামলাচেষ্টার জের ধরে মঙ্গলবার গুয়ানতানামো কারাগার থেকে বাকি বন্দিদের স্থানান্তর স্থগিত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা৷ওই হামলার মাত্র কয়েকদিন আগেই গুয়ানতানামো থেকে ছয় বন্দিকে ইয়েমেনে ফেরৎ পাঠানো হয়৷ কারাগারটিতে একসময় প্রায় ৭৫০জন বন্দি থাকলেও স্থানান্তর কিংবা মুক্তির ফলে এখন বন্দি সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ১৯৮ জনে৷ কর্মকর্তারা বলছেন অবশিষ্ট এই বন্দিদের ৯১ জনই ইয়েমেনি বংশোদ্ভূত৷

Guantanamo Häftling Symbolbild
ছাড়া পাওয়া এই হাত কী আবারো স্বক্রিয় ?ছবি: AP

২০০২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ কিউবার গুয়ানতানামো উপসাগরে এই সামরিক কারাগারটি প্রতিষ্ঠা করেন৷ নাইন ইলেভেন হামলার জের ধরে বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসবিরোধি যুদ্ধের অংশ হিসেবে আটক করা সন্দেহভাজন জঙ্গিদের জড়ো করা হয় সেখানে৷ অবশ্য মুক্তিপ্রাপ্ত ৫৬০ বন্দির বেশিরভাগই বুশের আমলেই সেখান থেকে ছাড়া পান৷

নির্যাতন এবং জাতিসংঘের জেনেভা সনদ লঙ্ঘনের অভিযোগে প্রতিষ্ঠার পর থেকেই গুয়ানতানামো কারাগার বন্ধের দাবি জানিয়ে আসছিল মানবাধিকার সংগঠনগুলো৷ এ বছরের জানুয়ারিতে ক্ষমতা গ্রহণের পরপরই প্রেসিডেন্ট ওবামা কারাগারটি বন্ধের নির্দেশ দেন৷

পেন্টাগনের কর্মকর্তারা বলছেন, গুয়ানতানামো কারাগারের অবশিষ্ট ১৯৮ জন বন্দির মধ্য থেকে কাদের অন্য দেশে স্থানান্তর করা যাবে সেটা নির্ধারণ করাটাই এখনও একটা বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়ে গেছে৷

প্রতিবেদন: মুনীর উদ্দিন আহমেদ

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক