1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সময়কে কাজে লাগাতে হবে

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা৩০ জুন ২০১৩

যুক্তরাষ্ট্র জিএসপি স্থগিতের যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাকে শাস্তি হিসেবে বিবেচনা না করে বরং সুযোগ হিসেবে কাজে লাগাতে হবে৷ সঠিক সময়ে যদি তৈরি পোশাক শিল্পের শ্রমিকদের নিরাপত্তা এবং অধিকার নিশ্চিত করা যায় তাহলে জিএসপি ফিরে আসবে৷

https://p.dw.com/p/18yY9
epa03674800 Rescue workers recover a body during a rescue operation after the eight-storey Rana Plaza building collapsed at Savar in Dhaka, Bangladesh, 24 April 2013. At least 20 people died including garment workers and many more were critically injured, reports said. EPA/ABIR ABDULLAH
ছবি: picture-alliance/dpa

শাস্তি নয়, জিএসপি সুবিধা স্থগিত করে বাংলাদেশকে শ্রম পরিবেশ উন্নয়নে একটি সুযোগ দেয়া হয়েছে বলে জিএসপি স্থগিতের একদিন পর জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র৷ শুক্রবার মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র প্যাট্রিক ভেনট্রেল এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা জানান৷ সেই সঙ্গে শ্রম পরিবেশ ও কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা উন্নয়নে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে একযোগে কাজ করবে বলেও জানান তিনি৷

বাংলাদেশের উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান বিআইডিএস-এর অর্থনীতিবিদ ড. নাজনীন আহমেদও মনে করেন তাই৷ তাঁর মতে, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের মালিক এবং সরকারে উচিত এখন সময়কে কাজে লাগান৷ যে প্রক্রিয়া সরকার এবং গার্মেন্টস মালিকরা শুরু করেছেন, তা অব্যাহত থাকলে শ্রমিকদের কাজের পরিবেশ, নিরাপত্তা এবং অধিকার নিশ্চিত হবে৷

তিনি মনে করেন, আর তা নিশ্চিত করা গেলে যুক্তরাষ্ট্র জিএসপি স্থগিতের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করবে৷ তখন বাংলাদেশের পোশাক শিল্প আরো এক ধাপ এগিয়ে যাবে৷

নাজনীন বলেন, ক্রেতাদের সঙ্গেও কথা বলতে হবে বাংলাদেশের পোশাক মালিকদের৷ কারণ যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্তের কারণে ইউরোপ এবং অন্যান্য যে সব দেশ বাংলাদেশকে তৈরি পোশাকে জিএসপি সুবিধা দেয় তারা তা বাতিল করলে সেখানে পোশাকের দাম বেড়ে যাবে৷ সেখানকার ভোক্তারা বাড়তি দামে পোশাক কিনতে পারবেন কিনা সেটা তখন বড় প্রশ্ন হয়ে দেখা দেবে৷ তাই ক্রেতাদের সহায়তা নিয়ে বাংলাদেশের পোশাক কারখানার অবস্থার উন্নতি করতে হবে৷ সেখানে মুনাফা ছাড় দেয়ার প্রশ্নও উঠবে৷ এই ছাড় শুধু বাংলাদেশের গার্মেন্টস মালিকরা নয় বিদেশি ক্রেতাদেরও দিতে হবে৷ কম দামে পোশাক চাইলে লাভও কম করতে হবে৷

বাংলাদেশে মোট রপ্তানি আয়ের প্রায় ৮০ ভাগ আসে তৈরি পোশাক রপ্তানি করে৷ বছরে গড়ে বাংলাদেশ পোশাক রপ্তানির মাধ্যমে আয় করে ২২ থেকে ২৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার৷ জিডিপিতে তৈরি পোশাকের অবদান শতকরা ১০ ভাগ৷ আর গবেষণায় দেখা গেছে পোশাক খাতে কাজের পরিবেশ, নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বছরে খরচ হয় ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার৷

ড. নাজনীন আহমেদ বলেন, ‘‘পোশাক কারখানার মালিকরা মাত্র এক বছর তাদের মুনাফা আংশিক ছাড় দিলেই পোশাক কারখানার চোহারা বদলে যাবে৷''

তিনি জানান, বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক মান সম্পন্ন অনেক পোশাক কারাখানা আছে৷ আর সেই কারখানাগুলো ব্যবসাও ভাল করে৷ মালিকরা এই বিষয়টি মাথায় রাখলেই বুঝতে পারবেন যে শেষ পর্যন্ত ভাল কারখানাই টিকে থাকে৷ এর জন্য প্রয়োজন মুনাফা কম করে শ্রমিকদের নিয়মিত বেতন বোনাস দেয়া৷ তাদের সঙ্গে ভাল আচরণ করা৷

ড. নাজনীন মনে করেন, বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত পোশাক শিল্পের এই সংকট কাটিয়ে উঠতে পারবে৷ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক রপ্তানিকারক বাংলাদেশ সব শর্ত পূরণ করেই সবচেয়ে কমদামে পোশাক সরবরাহ করতে পারবে৷ আর কারুর পক্ষে তা সম্ভব হবেনা৷ তবে সময়ের কাজ সময়ে করতে হবে৷ আর এখনই সময় পোশাক শিল্পের কর্ম পরিবেশ উন্নয়নের৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য