মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের সচিবের গলা ধাক্কায় একজন মুক্তিযোদ্ধা বিষ পান করে আত্মহত্যা করেছেন৷ মুক্তিযোদ্ধার এমন মৃত্যু সম্পর্কে ডিডাব্লিউ-র ফেসবুক পাঠকদের কেউ কেউ ঐ সচিবকে চাকরি থেকে বহিষ্কার করে তাঁর শাস্তির দাবি করেছেন৷
মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের সচিবের হাতে নিজ বাড়ি থেকে বহিষ্কার হওয়ার পর, সেই অপমান সইতে না পেরে একটি হোটেলে বিষ পান করে আত্মহত্যা করেছেন এক মুক্তিযোদ্ধা৷ এ সম্পর্কে ডয়চে ভেলের ফেসবুক পাঠক আরমান রুবেলের মন্তব্য, ‘‘যাঁরা যুদ্ধ করে দেশ গড়লো, আজ তাঁদেরই ঘাড় ধাক্কা! এর চেয়ে খারাপ কী হতে পারে?'' তাই পাঠক আরমান মনে করেন, সচিবের উপযুক্ত শাস্তি পাওয়া দরকার৷ তা না হলে এরকম অপরাধ দিন দিন আরো বেড়ে যাবে৷
ফেসবুক বন্ধু ফারুক আহমেদও সচিবের শাস্তির ব্যাপারে একই মত পোষণ করেন৷
আলমগীর কবির সরকারও জানিয়েছেন, ‘‘দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি চাই''৷
একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান দিগন্ত শাকিলের প্রশ্ন: মুক্তিযোদ্ধারা নাকি ক্ষমতাবান৷ তবে কেন আজ এক বীর মুক্তিযোদ্ধা আত্মহত্যার পথ বেছে নেন? শাকিল দুঃখ করে লিখেছেন, ‘‘সত্যিই এক দুর্ভাগা জাতি আমরা!'' শুধু তাই নয়, একজন মুক্তিযোদ্ধা এভাবে আত্মহত্যা করায়, তিনি খানিকটা ভীত৷ তাঁর ভাষায়, ‘‘আমার বাবাও মুক্তিযোদ্ধা, ওনাকে বলবো এ পরিচয়টি গোপন রাখতে...৷''
বাংলাদেশের মতো দেশেই হয়ত মুক্তিযোদ্ধার ক্ষেত্রেও ‘কে আসল আর কে নকল' – এ নিয়ে প্রশ্ন আসে৷ আর সে কারণেই হয়ত পাঠক মাজহারুল ইসলামের প্রশ্ন, ‘‘ঐ মুক্তিযোদ্ধা কি আসল মুক্তিযোদ্ধা?''
‘‘নির্বোধ সচিব, নির্বোধ মুক্তিযোদ্ধা'' – রাশেদুল হক রাশেদের এই মন্তব্য থেকে বোঝা গেল না তিনি ঠিক কী বোঝাতে চেয়েছেন৷
মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন ঘটনাটির ব্যাপারে পুরোপুরি নিশ্চিত নন৷ তাই তিনি বলছেন, ‘‘ঘটনাটা যদি সত্যি হয়, তাহলে ওই সচিবকে চাকরি থেকে বহিষ্কার করে তার শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক৷''
ফেসবুক বন্ধু আনোয়ারের পাল্টা মন্তব্য, ‘‘ঘটনাটা আমি সত্য বলে মনে করি৷ তাই এ ধরণের ঘটনার বিচার হওয়া উচিত৷''
সেলিম সরকারেরও ঐ একই মত৷ অধরা চৌধুরীও এই অন্যায়ের বিচার চান৷ আর আনোয়ার হোসেনের প্রশ্ন: আওয়ামী লীগ আর হায়েনার মধ্যে পার্থক্য কোথায়?
ওদিকে সচিব সাহেবকে ট্রাইব্যুনালের আওতায় এনে শাস্তি দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন ডয়চে ভেলের ফেসবুকে বন্ধু শিমুল মাসুদ৷
এছাড়া মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের সচিব এক মুক্তিযোদ্ধাকে তাঁর বাসা থেকে গলা ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়ার পর, মানুষটা সেই অপমান সইতে না পেরে একটি হোটেলে বিষ পান করে আত্মহত্যা করেন৷ এই বিষয়টি বাংলাদেশের সরকার কীভাবে দেখছেন – তা জানার ইচ্ছা আমাদের পাঠক দিপ্তা আরশালের৷
সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ