সঙ্গীতের জগতে এক নজিরবিহীন তারকা ম্যাডোনা
১৯ আগস্ট ২০১০১৯৮৪ সালে ম্যাডোনার অ্যালবাম ‘লাইক আ ভার্জিন' রক্ষণশীল সমাজে সমালোচিত হলেও ডিস্কো নাচের তাল এবং তাঁর সুরেলা কণ্ঠ জয় করে নেয় লক্ষ মানুষের হৃদয়৷ এই অ্যালবাম তাঁকে এনে দেয় আন্তর্জাতিক খ্যাতি৷
‘লাইক আ ভার্জিন' এর পর থেকে সঙ্গীত জগতে তাঁর সাফল্য নজিরবিহীন৷ তিনি হয়ে উঠেন পপ সঙ্গীতের প্রতীক৷ এই তিন দশকে প্রায় ৩৮০ মিলিয়ন বা ৩৮ কোটি অ্যালবাম বিক্রি হয়েছে তাঁর৷ সঙ্গীত জগতে এ এক অসাধারণ রেকর্ড৷ বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রুপে শ্রোতাদের সামনে উপস্থিত হয়েছেন ম্যাডোনা৷ ‘লাইক আ ভার্জিন' এর অভিব্যক্তির ঠিক উল্টো ভাব প্রকাশ পেয়েছে তাঁর ‘লাইক আ প্রেয়ার' গানে৷ ভালবাসা, সঙ্গীত, ঈশ্বর, দেবদূত, একাকিত্ব, স্বর্গ আর স্বপ্ন নিয়েই এই গান৷
ম্যাডোনার জন্ম ১৯৫৮ সালে, অ্যামেরিকার মিশিগ্যান স্টেটের বে সিটি শহরে৷ ছোটবেলায় নাচ এবং পিয়ানোয় তলিম নেন তিনি৷ ১৯ বছর বয়সে নিউ ইয়র্কে নাচের বিদ্যালয়ে শিক্ষা শুরু করেন৷ পাশাপাশি ড্রাম ও গিটার বাজানোর প্রতি উৎসাহী হয়ে ওঠেন ম্যাডোনা৷ পরিচয় হয় বেশ কিছ সঙ্গীত শিল্পীর সাথে৷এবং এ সময়ই তিনি রচনা করেন বেশ কিছু সঙ্গীত৷ নৃত্যনাট্যের পাশপাশি ডিস্কোতে সঙ্গীত পরিবেশন শুরু করেন ম্যাডোনা৷ ১৯৮২ সালে চুক্তিবদ্ধ হোন একটি রেকর্ড কোম্পানির সাথে৷ ১৯৮৩ সালে বের হয় তাঁর প্রথম অ্যালবাম ‘ম্যাডোনা'৷ বিক্রি হয় প্রায় দু লক্ষ ৫০ হাজার কপি৷ তারপর থেকে পপ সঙ্গীত জগতে তাঁর সাফল্যের অগ্রযাত্রা আর থেমে থাকেনি৷ তাঁর সঙ্গীত-জীবনে বহু পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন তিনি৷ ন'বার পেয়েছেন গ্র্যামি৷
বেশ কিছু ছায়াছবিতে অভিনয় করেছেন ম্যাডোনা৷ কিন্তু আন্তর্জাতিক খ্যাতি ও স্বীকৃতি পেয়েছেন অ্যানড্রু লয়েড ওয়েবারের বিশ্বনন্দিত মিউজিক্যাল চলচ্চিত্র ‘এভিটা' র মধ্যে দিয়ে৷ ১৯৯৭ সালে এই ছবির প্রধান চরিত্রে অভিনয়ের জন্য ‘গোল্ডেন গ্লোব' পুরস্কারে ভূষিত হন ম্যাডোনা৷
প্রতিবেদন: মারুফ আহমদ
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ