সংস্কার নাকি কেবলই রাজনীতির খেলা?
দুর্নীতির দায়ে সম্প্রতি এক ডজনেরও বেশি সৌদি বাদশাহ ও সাবেক মন্ত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷ প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান কি পারবেন সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বীকে ঠেকিয়ে মুকুট নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখতে?
দুর্নীতি বিরোধী কমিটি গঠন
দুর্নীতি বিরোধী ক্যাম্পেইনের অংশ হিসেবে কমপক্ষে ১১ জন বাদশাহ, ৩৮ জন সাবেক মন্ত্রী ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী রাজধানী রিয়াদে আটক হয়েছেন৷ শনিবার বাদশাহ সালমান এই দুর্নীতি বিরোধী কমিশন গঠনের নির্দেশ দেওয়ার পরই গ্রেপ্তারের এই ঘটনা ঘটে৷ কমিশনের নেতৃত্বে আছেন সালমানপুত্র প্রিন্স মোহাম্মদ৷
দেশ সংস্কার নাকি সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বী ঠেকানো?
নবনির্মিত এই কমিটির গ্রেপ্তার পরোয়ানা জারি, সম্পদ জব্দ এবং ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের ক্ষমতাসহ ব্যাপক ক্ষমতা রয়েছে৷ সম্প্রতি বিশ্বের শীর্ষ তেল রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের পক্ষে মত দেয় সৌদি আরব৷ ৩২ বছর বয়সি প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান আল-সৌদকে এই কমিটির চালিকাশক্তি হিসেবে ধরা হচ্ছে৷
মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে ধনী এখন বিপদে
গ্রেপ্তারকৃতদের একজন প্রিন্স আলওয়ালিদ বিন তালাল মূলত একজন বিলিয়নিয়ার৷ পশ্চিমা বিভিন্ন কোম্পানী যেমন টুইটার, অ্যাপল, রুপার্ট মারডক’স নিউজ কর্পোরেশন, সিটিগ্রুপ, দ্য ফোর সিজনস হোটেল চেইন এবং রাইড শেয়ারিং সার্ভিস লিফট এ ব্যাপক বিনিয়োগ করেছেন৷ মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে ধনী এই প্রিন্স আলওয়ালিদ স্পষ্টভাষী হিসেবেও পরিচিত৷
অফিসিয়ালি নিশ্চিত নয় এখনও
বন্দিদের মধ্যে সাবেক অর্থমন্ত্রী ইব্রাহিম আল-আসাফ এবং রয়োল কোর্ট-এর সাবেক প্রথান খালেদ আল-তুওয়াইজরি আছেন৷ আগেই বরখাস্ত তিন সরকারি কর্মকর্তাও শনিবার আটক হয়েছেন৷ রিয়াদ সরকার এ পর্যন্ত শুধু ঘোষণা করেছে যে দুর্নীতি বিরোধী একটি কমিটি হচ্ছে, মিডিয়াতে এ বিষয়ে রিপোর্ট হয়েছে কিন্তু দাপ্তরিকভাবে এখনও তদন্ত চালুর ব্যাপারে কিছু বলা হয়নি৷
দ্রুত ঘটছে অনেক কিছু
নতুন আরেক খবর হলো, সৌদি বাদশাহ ন্যাশনাল গার্ডের ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপালকে সরিয়েছেন৷ ঘনিষ্ঠ মিত্র লেবাননের প্রধানমন্ত্রী সাদ হারিরির পদত্যাগের ঘটনাও নতুন সংযোজন৷ সাম্প্রতিক এই ঘটনাগুলো ভবিষ্যত সৌদি এবং বৃহত্তর মধ্যপ্রাচ্য সম্পর্কের ওপর প্রভাব ফেলবে নিঃসন্দেহে৷