‘সংখ্যালঘুদের উপর হামলার দায় সবার’
১৫ অক্টোবর ২০২১ডয়চে ভেলে বাংলার সাপ্তাহিক টক-শো ‘খালেদ মুহিউদ্দিন জানতে চায়’ অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করেন তিনি৷
তবে, গত দুই দিনে দেশের বিভিন্ন স্থানে মন্দির ও মণ্ডপে হামলার দায় সরকারের বলে মনে করছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী৷
বুধবার কুমিল্লার একটি মন্দিরে কোরান অবমাননার কথিত অভিযোগে হামলার ঘটনা ঘটে৷ এই বিষয়টি ছড়িয়ে পড়লে দেশের বেশ কয়েকটি জেলায় বিভিন্ন মণ্ডপে হামলার ঘটনা ঘটে৷
শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর ঢাকা, চট্টগ্রাম ও নোয়াখালীতে একদল ‘মুসল্লি' কথিত কোরান অবমাননার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেন৷ এসময় বেশ কিছু মন্দির ও মণ্ডপে হামলা হয়েছে বলেও খবর পাওয়া গেছে৷
শুক্রবার নোয়াখালীর চৌমুহনীতে ‘তৌহিদী জনতার’ ব্যানারে পূজামণ্ডপে হামলার ঘটনাটি স্থানীয় প্রশাসনের ত্রুটির কারণে হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম ইসলাম বলেন, ‘‘সেখানে আমি মনে করি, এটি ফেইলিউর অব দ্য কালেকটিভ রেসপনসিবিলিটি৷ এখানে সমাজপতিরা আছেন, বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গরা আছে, রাজনীতিক নেতৃবৃন্দরা আছে, এবং প্রশাসনের লোকেরা আছে৷ আমরা যদিও কোথাও, আমিতো এটাকে এই কথা বলি না... একটা মানুষের গায়েও যদি আঁচড় লাগে তাহলে আমি তো আমাকে অব্যাহতি দেই না৷’’
তবে দুর্গাপূজার সময়ে দেশের বিভিন্ন মন্দির ও পুজামণ্ডপে হামলার ঘটনার দায় সরকারের বলে মনে করেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, যিনি কুমিল্লার মন্দিরে হামলার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন৷
জাফরুল্লাহ মতে, এমন ঘটনা ‘সরকারের মদদেই ঘটেছে এবং দেশের আইন-শৃঙ্খলার উপর সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই৷ তিনি বলেন, ‘‘সরকারের মদদ না থাকলে এসকল ঘটনা ঘটা সম্ভব নয়৷’’
তাছাড়া গোয়েন্দা সংস্থাগুলো এত বড় ঘটনা আগে থেকে কেন ঠেকাতে পারেনি সে প্রশ্নও তুলেন তিনি৷
চলতি সপ্তাহের টক-শো শুরুর আগে হিন্দুধর্মাবলম্বীদের মন্দির ও মণ্ডপে হামলার বিষয়টিকে সামনে রেখে ‘রাজনৈতিক কারণে ধর্মের অবমাননা ঘটছে কিনা’ এ প্রশ্ন রেখে একটি জরিপ চালায় ডয়চে ভেলে বাংলা বিভাগ৷
মোট ৪১ হাজার দর্শক এ জরিপে অংশ নেয়৷ অংশগ্রহণকারীদের শতকরা ৯২ভাগের মতে রাজনৈতিক কারণে ধর্মের অবমাননা ঘটছে৷
আরআর/এআই