1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শুশুকরা শাঁখ দিয়ে মাছ ধরে!

৩ সেপ্টেম্বর ২০১১

শুশুক, অর্থাৎ ডলফিনদের কেরামতির কথা তো সকলেই জানে৷ কিন্তু শাক দিয়ে মাছ ঢাকা না গেলেও, শাঁখ দিয়ে যে মাছ ধরা যায়, এ’ শিক্ষা ডলফিনরা পেল কোথায়?

https://p.dw.com/p/12STq
ডলফিনছবি: AP

পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার উপকূল৷ শার্ক বে'র পূর্বাঞ্চল৷ পার্থ'এর মার্ডক ইউনিভার্সিটির গবেষকরা যখন ২০০৭ সালে  প্রথম ডলফিনদের এই অদ্ভূত কার্যকলাপের ছবি তোলেন, তখন তারা জানতেনও না ডলফিনরা কি করছে৷ শুধু দেখেন, ডলফিনরা যেন সাগরের জলের উপর ভেসে উঠে শাঁখ নাড়ছে৷ বড় বড় সামুদ্রিক শাঁখ৷ দেশে শাঁখ বাজানোর জন্য যেরকম ফাঁকা শাঁখের খোল ব্যবহার করা হয়, সেই রকম৷

ছবিগুলো ভালো করে দেখে তারা বোঝেন, ডলফিনরা শাঁখ থেকে জল বার করে, শাঁখের ভিতরে লুকনো মাছ ধরে খাচ্ছে৷ শুধু তাই নয়, শার্ক বে'র ডলফিনদের উপর বিজ্ঞানীরা নজর রাখছেন গত ত্রিশ বছর ধরে৷ এই তিন দশকের শেষ বিশ বছরে অন্তত বার ছয়েক ডলফিনদের এ'ভাবে সাগরের ওপর শাঁখ নাড়তে দেখা গেছে৷ কিন্তু ২০১১ সালের মে মাস যাবৎ, অর্থাৎ বিগত চার মাসে বিজ্ঞানীরা ডলফিনদের শাঁখ নেড়ে মাছ ধরতে দেখেছেন অন্তত সাতবার৷

শার্ক বে'র ডলফিনরা এর আগেও চমক দেখিয়েছে নতুন নতুন মাছ ধরার পদ্ধতি আবিষ্কার করে৷ সাগরের বালুতটে ঝাঁপ দিয়ে বালির উপর স্লিপ খেয়ে তাড়িয়ে আনা মাছেদের ধরতে শিখেছে তারা৷ আবার মাথায় টুপির মতো এক টুকরো ভাঙা স্পঞ্জ লাগিয়ে সাগরের নীচে মাছ ধারার সময় মাথা বাঁচানোর পদ্ধতিটাও তাদের আবিষ্কার৷ এ'পর্যন্ত এ'সব কায়দা মোটামুটি সর্বক্ষেত্রেই মেয়ে ডলফিনরা তাদের মা ডলফিনদের কাছ থেকে শিখতো৷ কিন্তু শাঁখ দিয়ে মাছ ধরার কায়দাটা যেন এবার শার্ক বে'র ডলফিনরা পরষ্পরকে দেখেই শিখতে শুরু করেছে৷

বিজ্ঞানীরা এবার চান, জলের তলায় একসারি শাঁখ উল্টে রেখে, ডলফিনরা সেগুলো সোজা করে নিয়ে মাছেদের বাসা বাঁধার উপযোগী করে তোলে কিনা, সেটা দেখতে৷ তাহলে প্রমাণ হবে যে, তারা ফন্দি এঁটেও কাজ করতে জানে৷

প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

সম্পাদনা: আবদুল্লাহ আল-ফারূক