1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মা-শিশুর মৃত্যু কমানোয় প্রশংসা

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬

বাংলাদেশ মা ও শিশুর মৃত্যুর হার কমিয়ে আনায় উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে৷ এর স্বীকৃতিও মিলেছে৷ মা ও নবজাতকের টিটেনাস সংক্রমণ নির্মূলে সাফল্যের জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মর্যাদাপূর্ণ স্বীকৃতি অর্জন করেছে বাংলাদেশ৷

https://p.dw.com/p/1JyVU
ছবি: picture-alliance/dpa

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডাব্লিউএইচও) মতে, প্রসবকালীন অপরিচ্ছন্নতা ও যত্নের অভাবে মেটারনাল অ্যান্ড নিওনেটাল টিটেনাস (এমএনটি) প্রাণঘাতি হয়ে দাঁড়ায়৷এতে মৃত্যুর হারও খুব বেশি৷ বিশেষ করে এ সময়ই টিটেনাসের বিস্তার ঘটে৷ তবে যথাযথ চিকিৎসা হলে টিটেনাসের ঝুঁকি থেকে দূরে থাকা যায়৷

স্বাস্থ্যকর পরিবেশে সন্তান প্রসব করলে, নাভির নাড়ির যত্ন নেয়া হলে এবং মায়েদের টিটেনাসের ভ্যাকসিন দেয়া হলে সহজেই এমএনটি প্রতিরোধ করা যায়৷ এটি সাশ্রয়ী এবং অত্যন্ত কার্যকর৷

এমএনটি প্রতিরোধে সাফল্যের জন্য ডাব্লিউএইচও-র সাটিফিকেট গ্রহণের পর স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘এমএনটি নির্মূল আমাদের জন্য একটি বিরাট সাফল্য৷''

আবদুল্লাহ শাহরিয়ার

শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোয় ডাব্লিউএইচও-র দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক অফিসে মঙ্গলবার এক অনুষ্ঠানে ডাব্লিউএইচও বাংলাদেশের প্রতিমন্ত্রীর কাছে এই সনদ হস্তান্তর করে৷

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া থেকে ডাব্লিউএইচও-র আঞ্চলিক কমিটির ৬৯তম অধিবেশনে যোগদানের জন্য জাহিদ মালেক ৫ সেপ্টেম্বর থেকে কলম্বো সফর করছেন৷

জনস্বাস্থ্য নিশ্চিত ও স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘‘সরকার অন্যান্য রোগের কারণে মা ও নবজাতকের মৃত্যু আরো কমিয়ে আনার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে৷''

প্রসঙ্গত, মাত্র এক দশক আগেও দক্ষিন-পূর্ব এশিয়ার ছয়টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশে শিশু মৃত্যুর হার ছিল দ্বিতীয় সর্বোচ্চ৷ আর ১৯৯০ সালের তুলনায় ২০১৫ সালে মাতৃমৃত্যু হার শতকরা ৬৯ ভাগ কমেছে, যা এই ছ’টি দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ অগ্রগতি৷ ১৯৯০ সালে প্রতি এক লাখে গড়ে যেখানে ৩৯৯ জন মায়ের মৃত্যু হয়েছিল সেখানে ২০১৫ সালে তা কমে ১৭৬ জনে দাঁড়িয়েছে৷

এই সময়ে পাঁচ বছরের নীচে শিশু মৃত্যু প্রতি হাজারে ৮৮ জন থেকে কমে ৩৮ জন হয়েছে৷ আর নবজাতকের মৃত্যু প্রতি হাজারে ৪২ থেকে কমে ২৩ হয়েছে৷

২০০৭ সালে যেখানে শতকরা ২৩ জন নবজাতকের জন্মের সময় প্রশিক্ষিত ধাত্রীর সহায়তা নিতেন, এখন তা হয়েছে শতকরা ৪২ ভাগ৷

এ নিয়ে সোহরাওয়ার্দি হাসপাতালে নারী ও শিশু বিষয়ক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক আব্দুল্লাহ শাহরিয়ার ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এই সাফল্যের পিছনে কাজ করেছে কমিটমেন্ট, কারণ, আর্থিক সামর্থ তেমন ছিল না৷ সরকারের সঙ্গে এনজিওগুলো সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছে, ফলে দ্রুত ফল পাওয়া গেছে৷''

তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশের কৌশল হলো প্রতিরোধ কার্যক্রম এবং সচেতনতা৷ যেহেতু ডাক্তার কম, তাই প্রশিক্ষিত ধাত্রীদের ওপর জোর দেয়া হয়েছে৷ স্বাস্থ্যকর্মীদের বাড়ি বাড়ি পঠানো হচ্ছে৷ এর সঙ্গে মা ও শিশুর জন্য প্রয়োজনীয় টিকাগুলো নিশ্চিত করা হয়েছে৷''

এমন একটি খবরে আপনাদের প্রতিক্রিয়া জানতে চাই৷ তাই লিখুন নীচের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান