1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শরিয়া আইন শিথিল করেছে গ্রিস

১০ জানুয়ারি ২০১৮

ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে একমাত্র গ্রিসেই সংখ্যালঘু মুসলিমদের জন্য শরিয়া আদালত আছে৷ তবে এখন থেকে সেই আদালত পারিবারিক বিষয়ে আর অগ্রাধিকার পাবে না, যা আগে পেতো৷ পশ্চিম থ্রেস অঞ্চলের জন্য এমন আইন পাশ করেছে গ্রিক সংসদ৷

https://p.dw.com/p/2qe3K
Griechenland Parlament in Athen
ছবি: picture-alliance/ZUMA Wire/Pacific Press/D. Karvountzis

এ অঞ্চলে প্রায় এক লাখ বিশ হাজার মুসলিমের বাস৷  মঙ্গলবার এ আইন পাশ হয় সংসদে৷

আইন অনুযায়ী, সব পক্ষ রাজি থাকলে শরিয়া আদালতগুলো বিবাহ বিচ্ছেদ, শিশুর জিম্মা এবং উত্তরাধিকার বিষয়ে রায় দিতে পারবে৷ কিন্তু কোনো বিষয়ে কোনো পক্ষ যদি বেঁকে বসেন, তাহলে সাধারণ গ্রিক আইন প্রযোজ্য হবে৷

শতবর্ষ পুরোনো এই আইন সংস্কার হওয়ায় গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী অ্যালেক্সিস সিপ্রাস একে ‘ঐতিহাসিক পদক্ষেপ' বলে অভিহিত করেছেন৷ বলেছেন, এতে ‘‘সব গ্রিকদের জন্য আইনের সমান অধিকার নিশ্চিত হলো'' এবং একইসঙ্গে গ্রিস সংখ্যালঘু মুসলিমদের ‘‘বিশেষ আইনি ব্যবস্থার প্রতিও শ্রদ্ধাশীল'' থাকলো৷

ইউরোপে একমাত্র গ্রিসেই মুসলিমদের শরিয়া আদালত আছে৷ রাষ্ট্র কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত মুফতিরা শরিয়া আইন অনুযায়ী পারিবারিক বিষয়গুলোর নিষ্পত্তি করেন৷

অটোমান সাম্রাজ্যের পতনের পর ১৯২৩ সালে তুরস্ক ও গ্রিসের মধ্যকার লৌজান চুক্তি অনুযায়ী শরিয়া আইন চালু হয়৷

চুক্তি অনুযায়ী, এছাড়াও প্রায় ২০ লাখ অধিবাসী বিনিময় করে তুরস্ক ও গ্রিস, যাতে বাদ পড়েন এবং এই পশ্চিম থ্রেস অঞ্চলের তুর্কি ভাষাভাষী মুসলিমরা৷

তুরস্ক সনাতনী গ্রিকদের এবং গ্রিস তুর্কি মুসলিমদের ভাষা, সংস্কৃতি ও ধর্মচর্চার অধিকার দেয়, যা ঐ চুক্তিতে ছিল৷

মজার ব্যাপার হলো, গ্রিসের মুসলিমরা এখনো শরিয়া আইন মোতাবেক চলে, যেখানে তুরস্কে পরবর্তীতে অসাম্প্রদায়িক আইনি ব্যবস্থা চালু হয়৷ তুরস্ক সীমন্তবর্তী এই অঞ্চলে তুর্কি জাতির পাশাপাশি এখানে বুলগেরীয় ভাষাভাষি পোমাক সম্প্রদায়ও আছে৷

তবে এই আইনের পরিবর্তন করা নিয়ে কিছুটা শঙ্কায় ছিল গ্রিস৷ তাদের অনেকেরই ধারণা যে, এ ধরনের পরিবর্তন করা হলে তুরস্ক লৌজান চুক্তিতেও পরিবর্তন চাইতে পারে৷

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এর্দোয়ান তো গেল মাসে গ্রিস সফরে অভিযোগই করে বসেছিলেন যে, এথেন্স মুসলিমদের প্রতি চুক্তি মোতাবেক আচরণ করছে না৷

আর এমন একটি সময়ে গ্রিস আইনটি পাস করলো যখন মানবাধিকার বিষয়ক ইউরোপীয় আদালত, ইসিএইচআর-এ এক মুসলিম নারীর নালিশের রায় ঝুলছে৷

পশ্চিম থ্রেসের ৬৭ বছর বয়সি সেই বিধবা নারীর অভিযোগ গ্রিসের বিরুদ্ধে৷ মৃত স্বামীর বোনদের সঙ্গে সম্পত্তি ভাগাভাগি নিয়ে গ্রিসের সাধারণ আদালত প্রথমে ঐ নারীর পক্ষে রায় দিলেও পরে সুপ্রিম কোর্ট রায় দেন যে, মুসলিম সম্পত্তি কোন্দলের নিষ্পত্তি করার এখতিয়ার কেবল মুফতিদেরই আছে৷ এরপর ঐ নারী ইউরোপীয় আদালতে নালিশ করেন৷

জেডএ/ এসিবি (এএফপি, এপি, ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য