1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শরণার্থী সেজে জার্মান সৈন্যের হামলার ষড়যন্ত্র

১ মে ২০১৭

এক উগ্র দক্ষিণপন্থি জার্মান সেনা অফিসার সিরীয় শরণার্থী সেজে সম্ভবত সন্ত্রাসী হামলার ষড়যন্ত্র করছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে৷ জার্মান প্রতিরক্ষামন্ত্রী সেনাবাহিনীর দুর্বলতার কথা স্বীকার করে কড়া সমালোচনা করেছেন৷

https://p.dw.com/p/2cAVn
Frankreich  Illkirch-Graffenstaden Bundeswehr Soldaten vom Jägerbataillon 291
ছবি: Getty Images/AFP/F. Florin

জার্মান সেনাবাহিনীর অফিসার ছিলেন ফ্রাংকো৷ চরম দক্ষিণপন্থি ভাবধারা ও বিদেশি বিদ্বেষের মনোভাব তাঁর সতীর্থ ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অজানা ছিল না বলে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে৷ এমনকি উচ্চশিক্ষার সময় তিনি এমনই একটি বিতর্কিত বিষয় বেছে নিয়েছিলেন৷ কিছুকাল আগেও জার্মানির সীমান্তে ফ্রান্সের অ্যালসেস অঞ্চলে ফরাসি-জার্মান যৌথ বাহিনীর লেফটেন্যান্ট হিসেবে কর্মরত ছিলেন তিনি৷

তারপরের ঘটনা সত্যি বিস্ময়কর৷ সমান্তরাল এক দ্বিতীয় জীবন শুরু করেন ২৮ বছর বয়স্ক ফ্রাংকো৷ ২০১৫ সালের শেষে নিজেকে সিরীয় খ্রীষ্টান শরণার্থী হিসেবে তুলে ধরে বাভেরিয়ায় নথিভুক্ত হন তিনি৷ তারপর জার্মানিতে রাজনৈতিক আশ্রয়ের দরখাস্তও করেন ফ্রাংকো৷ ভাঙা ভাঙা আরবি ভাষা বলে সে যাত্রায় তিনি নিজেকে বিদেশি হিসেবে সফলভাবে তুলে ধরতে পেরেছিলেন৷ মরক্কোর দোভাষী তাঁকে আরবি ভাষায় প্রশ্ন করার বদলে ফরাসিতে কথা বলেন৷ এমনকি জার্মান সেনাবাহিনীরই এক সদস্য তাঁকে জেরা করেছিলেন৷ তিনি ঘুনাক্ষরেও ভাবতে পারেননি, সামনের ব্যক্তিটি একজন জার্মান লেফটেন্যান্ট৷ মোটকথা গোটা প্রক্রিয়ায় অনেক দুর্বলতা ধরা পড়েছে৷ জার্মান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এই গাফিলতির পূর্ণাঙ্গ তদন্তের অঙ্গীকার করেছেন৷

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ধারণা, ফ্রাংকো বেশ কয়েকটি সন্ত্রাসী হামলার ষড়যন্ত্র করছিলেন৷ তাঁর কাছে লক্ষ্যবস্তুর একটা তালিকাও পাওয়া গেছে৷ চরম দক্ষিণপন্থি সন্ত্রাসবাদী হিসেবে তিনি বামপন্থি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলির উপর হামলা চালাতে চেয়েছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে৷ ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুতে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনার বিমানবন্দরের শৌচাগারে একটি পিস্তল লুকিয়ে রাখতে গিয়ে ধরা পড়েন ফ্রাংকো৷

বলা বাহুল্য, এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনার ফলে জার্মান সেনাবাহিনী বিশাল চাপের মুখে পড়েছে৷ জার্মান প্রতিরক্ষামন্ত্রী উরসুলা ফন ডেয়ার লাইয়েন চরম বিরক্তি প্রকাশ করেছেন৷ রবিবার তিনি এক টেলিভিশন অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনীর মধ্যে কাঠামোগত ত্রুটির কথা খোলাখুলি স্বীকার করেন৷ তাছাড়া ফ্রাংকোর মতো উচ্চপদস্থ অফিসারের উগ্র দক্ষিণপন্থি ভাবধারা সম্পর্কে জানা সত্ত্বেও বাহিনীর সতীর্থ ও কর্মকর্তারা হাত গুটিয়ে বসে থেকে যে ‘ভুল’ সংহতির পরিচয় দিয়েছেন, তা একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয় বলে মনে করেন জার্মান প্রতিরক্ষামন্ত্রী৷ সেনাবাহিনীর বিভিন্ন স্তরে নেতৃত্বের দুর্বলতার কড়া সমালোচনা করেন তিনি৷ এর সম্ভাব্য পরিণাম সম্পর্কে তিনি অবশ্য কোনো মন্তব্য করেননি৷ তবে এমন প্রবণতা বরদাস্ত করা হবে না বলে সাফ জানিয়ে দেন উরসুলা ফন ডেয়ার লাইয়েন৷

এসবি/এসিবি (ডিপিএ, এএফপি)