1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অভিবাসন প্রত্যাশীর লাশ

৫ অক্টোবর ২০১৩

আফ্রিকার অভিবাসন প্রত্যাশী শত মানুষের মৃত্যুর শোকে আচ্ছন্ন এখন ইটালি৷ দারিদ্র্যের কষাঘাত থেকে মুক্তি পেতে নৌকা চড়ে ইউরোপে এসেছিলেন তাঁরা৷ ইটালির দ্বীপ লাম্পেডুসায় ভূমধ্যসাগরে সলীল সমাধি হয়েছে তাঁদের৷

https://p.dw.com/p/19tpY
ছবি: picture-alliance/dpa

লাম্পেডুসার মর্গে আর লাশ রাখার জায়গা নেই৷ তাই অনেক লাশ রাখা হয়েছে বিমানবন্দরে৷ বার্তাসংস্থা এএফপির খবর অনুযায়ী, সোমালিয়া এবং ইরিত্রিয়ার ৪০০ থেকে ৫০০ অভিবাসন প্রত্যাশী মানুষ লিবিয়ার মিসরাতা থেকে পাড়ি জমিয়েছিলেন ইউরোপের উদ্দেশ্যে৷ লাম্পেডুসা দ্বীপের কাছে এলে নৌকাটিতে পানি উঠতে শুরু করে৷ আতঙ্কিত যাত্রীরা কোস্ট গার্ডদের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য একটি কম্বলে আগুন জ্বালালে সমস্ত নৌকায় আগুন ছড়িয়ে পড়ে৷ মর্মান্তিক এ ঘটনায় অন্তত ৩০০ মানুষ মারা গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে৷ ১৬৫ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করলেও তার আগেই লাশ হয়ে যান ১১১ জন মানুষ৷ তবে আরো অনেক লাশ ভূমধ্যসাগরের স্রোতে ভেসে যেতে দেখেছেন বলে দাবি করেছেন স্থানীয়রা৷ নৌকাটির নাবিক তিউনিশিয়ার নাগরিক৷ তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷

লাম্পোডুসার এক দোকানদার গভীর রাতে অভিবাসন প্রত্যাশীদের আর্তনাদ শুনেছেন, ঘর থেকে বেরিয়ে যা দেখেছেন, সেই দৃশ্য তাঁর ভাষায়, ‘‘এক কথায় দুঃস্বপ্নের মতো৷'' দুঃস্বপ্নের ঘোর এখনো কাটেনি৷ হোটেলকর্মী রোজেলা মানুচ্চি ছুটে গিয়েছিলেন মানুষ বাঁচাতে, তাঁর আফসোস, ‘‘অভাগা মানুষগুলোর জন্য ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছিল৷'' পিয়েত্রো বারতোলো মাত্র ৬ হাজার মানুষের দ্বীপ লাম্পেডুসার এক ডাক্তার৷ তিনি বলছিলেন,‘‘শিশুদের লাশ দেখাটা সবচেয়ে কষ্টের৷ ওঁদের বাঁচানোর কোনো উপায় ছিল না৷ আমার ২০ বছরের পেশাদার জীবনে এমন দৃশ্য কখনো দেখিনি৷''

এদিকে ঘটনার পর ইউরোপের অভিবাসন আইনের সমালোচনা করে এর পরিবর্তন দাবি করেছেন অনেকে৷ জাতিসংঘের মহাসচিব ঘটনায় শোক প্রকাশ করে বলেছেন, তিনি আশা করেন, অচিরেই আইনে পরিবর্তন আসবে, পরিবর্তিত আইনে অভিবাসনের অধিকারের প্রতি আরো সম্মান দেখানো হবে এবং আরো বেশি মানুষ ভাগ্যান্বেষণের জন্য ইউরোপে আসতে পারবেন৷ ইউরোপীয় ইউনিয়নের স্বরাষ্ট্র বিষয়ক কমিশনার সেসিলিয়া মামস্ট্রোয়েম এমন পরিবর্তনের জন্য ইউরোপ অঞ্চলের দেশগুলোকে উদ্যোগী হবার আহ্বান জানিয়েছেন৷ ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সদস্য মনিকা ফ্রাসোনি মনে করেন, ‘‘ইটালি অভিবাসীদের চাপ সামাল দেয়ার জন্য প্রস্তুত নয়৷ তাই ইইউকে অবশ্যই দায়িত্ব নিতে হবে৷''

এ বছর অভিবাসন প্রত্যাশী অন্তত ২৫ হাজার মানুষ ইটালিতে এসেছেন৷ মানবাধিকার সংস্থাগুলোর অনুমান, গত ২০ বছরে ভাগ্যান্বেষণের জন্য মাছ ধরা নৌকায় চড়ে ইটালিতে ঢুকতে গিয়ে ১৭ থেকে ২০ হাজার মানুষ মারা গেছেন৷

এসিবি/ডিজি (এএফপি, রয়টার্স,ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য