1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ল্যান্ডমাইন খুঁজে দিচ্ছে ধেড়ে ইঁদুর

গোবেল্ট/ভিনৎসেন/এসবি১০ আগস্ট ২০১৫

যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে মানুষের ক্ষতি করে চলে সর্বনাশা ল্যান্ডমাইন৷ অনেকে পঙ্গু হয়ে যায়, অনেকে প্রাণ হারায়৷ মাইন শনাক্ত করে সেগুলি দূর করা তাই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ৷ মোজাম্বিকে এই কাজে সাহায্য করছে পরিচিত এক প্রাণী৷

https://p.dw.com/p/1GCXx
Deutschland Bergbau Zeche Prosper-Haniel in Bottrop
ছবি: picture-alliance/dpa/J. Stratenschulte

১৯৯২ সালে মোজাম্বিকের গৃহযুদ্ধ শেষ হয়৷ কিন্তু আজও মানুষ ইচ্ছামতো সব জায়গায় যেতে পারেন না৷ কারণ মাটির নীচে লুকোনো ল্যান্ডমাইন৷ হাজার-হাজার মানুষ মাইন বিস্ফোরণের শিকার হয়েছেন৷ যেমন আরেন্টিন কোনিয়া৷

এখন এক স্পেশাল টিম মোজাম্বিকের মানুষের সাহায্যে এগিয়ে এসেছে৷ আফ্রিকায় ৭০ জন প্রশিক্ষকদের দলে রয়েছেন নিকো৷ তাঁরা ধেড়ে ইঁদুরদের মাইন খুঁজতে শেখান৷ আজ প্রশিক্ষণের দিন৷ নিকো প্রতিভাবান ইঁদুর ‘মিস মার্পেল'-কে শোঁকার ক্লাসে নিয়ে যাচ্ছেন৷ সে গত দুই বছরের প্রশিক্ষণে টিএনটি বিস্ফোরকের গন্ধ শনাক্ত করতে শিখেছে৷ সে জানে, গন্ধ শুঁকে মাটির নীচে লুকানো মাইন চিহ্নিত করতে পারলে সুস্বাদু পারিশ্রমিক পাওয়া যায়৷

ট্রেনিং সেশন-এর পর এবার সরকারি অভিযান৷ নিকো ও তাঁর সহকর্মীরা ধেড়ে ইঁদুরদের নিয়ে লুকোনো মাইন খুঁজতে বেরোতে চান৷ সুরক্ষার সরঞ্জাম সঙ্গে রাখতে হয়৷ সিসা দিয়ে তৈরি বর্ম মাইনের উড়ন্ত টুকরো ও পাথর থেকে রক্ষা করবে৷ টানটান উত্তেজনার পরিবেশ৷ আগেই প্রত্যেকটি পদক্ষেপের পরিকল্পনা করা হয়েছে এবং ধীরে ধীরে কাজ চলছে৷ এমনকি মিস মার্পেল-ও দুশ্চিন্তা টের পাচ্ছে৷ সে চিহ্নিত অংশে টহল দিচ্ছে৷ নিকো তার প্রতি কড়া নজর রাখছেন৷

Deutschland Förderturm Steinkohlebergbau
যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে মানুষের ক্ষতি করে চলে সর্বনাশা ল্যান্ডমাইনছবি: picture-alliance/dpa/R. Weihrauch

মনে হচ্ছে মিস মার্পেল কিছু শনাক্ত করেছে৷ সে তার প্রথম মাইন খুঁজে পেয়েছে৷ জায়গাটা প্রথমে চিহ্নিত করা হচ্ছে, পরে মাইন নিষ্ক্রিয় করা হবে৷ তারপর খোঁড়াখুঁড়ির কাজ শুরু হবে৷ মিস মার্পেল তার পারিশ্রমিক পেয়ে খুশি৷ মাইন চিহ্নিত করা হয়েছে৷ খেয়াল রাখতে হবে, ডিমাইনার যাতে মাইনের উপরের অংশ ছুঁতে না পারে৷ মাত্র ৬ কিলোগ্রাম ওজনই বিস্ফোরণ ঘটানোর ক্ষমতা রাখে৷ অর্থাৎ ধেড়ে ইঁদুরদের বিপদের কোনো কারণ নেই৷

একবার মাইনের উপরের মাটি সরানোর পর বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞরা কাজে নেমে পড়েন৷ বালুর বস্তা বসিয়ে বিস্ফোরণের জোর কমানো হয়৷ ১০০ গ্রাম বিস্ফোরকই এই মাইন ধ্বংসের জন্য যথেষ্ট৷

অভিযান সফল হয়েছে৷ মিস মার্পেল-এর শনাক্ত করা মাইন দূর করা গেছে৷ আগামী ৪ মাস ধরে নিকো ও তাঁর সহকর্মীরা ধেড়ে ইঁদুরদের সাহায্যে চিরুনি তল্লাশি চালাবেন৷ তারপর মানুষ শান্তিতে বসবাস করতে পারবে৷ মোজাম্বিকের মানুষ এই সাহায্যের যথেষ্ট কদর করেন৷ অবশেষে স্থানীয় মানুষের জীবনযাত্রা কিছুটা স্বাভাবিক হতে পারবে৷

আর মিস মার্পেল? সে ভালই কাজ করেছে৷ গ্রামের মানুষ তাকে নিজেদের ছোট্ট হিরো হিসেবে আদর-যত্ন করছে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য