লিবিয়ায় বিরোধীদের হঠাতে বিমান হামলা
৩ মার্চ ২০১১ব্রেগায় বিমান হামলা
লিবিয়ার তেল টার্মিনাল খ্যাত ব্রেগা শহরে বৃহস্পতিবার বিমান হামলা চালিয়েছে গাদ্দাফিপন্থীরা৷ এই শহরটি বুধবার সকালে দখল করে নিয়েছিল গাদ্দাফি বাহিনী৷ কিন্তু পরবর্তীতে সেটি আবারো সরকার বিরোধীদের দখলে চলে যায়৷ বুধবার সংঘর্ষে ব্রেগায় প্রাণ হারায় কমপক্ষে ১৪ জন৷ এছাড়া লিবিয়ায় দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে চলা সরকার বিরোধী আন্দোলনে সহস্রাধিক মানুষ নিহত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে৷
বিমান হামলাহতাহত
ব্রেগার ঠিক কোথায় বিমান হামলা চালানো হয়েছে, সে সম্পর্কে নিশ্চিত কিছু এখনো জানা যায়নি৷ তবে, সেখানকার হাসপাতালের কর্মকর্তা ফাত্তাহ আল-মোগরাবি জানিয়েছেন, তেল কোম্পানি এবং আবাসিক এলাকার মাঝামাঝি কোন জায়গায় বোমা ফেলা হয়েছে৷ এতে প্রাণহানির কোন খবর জানাতে পারেননি ফাত্তাহ৷ এছাড়া, ব্রেগা দখলে রাখা বিরোধী পক্ষও জানিয়েছে, একটি বিমান বার তিনেক চক্কর দেওয়ার পর বোমা বর্ষণ করে৷
জাতিসংঘ ছাড়া নড়বে না ন্যাটো
লিবিয়ার উপর বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলেও বিমান চলাচলের বিষয়ে কোন ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারেনি আন্তর্জাতিক সমাজ৷ ন্যাটো মহাসচিব আন্দ্রেস ফগ রাসমুসেন বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, জাতিসংঘের সমর্থন ছাড়া লিবিয়ায় কোন ধরণের হস্তক্ষেপ করবে না ন্যাটো৷ তবে, জাতিসংঘের তরফ থেকে কোন প্রস্তাব আসলে তা বাস্তবায়নের পরিকল্পনা ন্যাটোর রয়েছে বলে জানান তিনি৷ এদিকে জার্মান বার্তা সংস্থা ডিপিএ জানিয়েছে, লিবিয়ায় সামরিক হস্তক্ষেপ বিশেষ করে সেদেশে বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপের ব্যাপারে আপাতত কোন দৃশ্যমান উদ্যোগ জাতিসংঘ নিচ্ছে না৷
সরে যাচ্ছে বিদেশিরা
ইতিমধ্যে লিবিয়া থেকে টিউনিশিয়ায় পাড়ি জমিয়েছেন আশি থেকে নব্বই হাজার বিদেশি৷ বুধবার পাঁচ হাজার বাংলাদেশিও এই পথে লিবিয়া ত্যাগ করেন৷ তবে এখনো বেশ কয়েক হাজার বিদেশি লিবিয়া-টিউনিশিয়া সীমান্তে আটকে আছেন৷ এদের মধ্যে পূর্ব এশিয়ার নাগরিকও আছেন৷ লিবিয়ায় সংকটে ক্ষতিগ্রস্ত সাতাশ লাখ মানুষের জন্য তিন কোটি সাতাশি লক্ষ মার্কিন ডলারের সহায়তার ঘোষণা করেছে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি৷
প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক