1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

লিবিয়ায় বাংলাদেশি জিম্মি, আইএস-এ ‘হালাল স্বামী'

৯ মার্চ ২০১৫

লিবিয়ায় এক বাংলাদেশিকে জিম্মি করেছে জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট বা আইএস৷ এছাড়াও বিভিন্ন দেশ থেকে যোদ্ধা সংগ্রহ করছে তারা৷ আর নারীদের দলে টানতে দেয়া হচ্ছে স্বচ্ছল জীবন এবং ‘হালাল স্বামী'-র নিশ্চয়তা!

https://p.dw.com/p/1EnbO
Deutschland Bundeswehr Manöver
ছবি: picture-alliance/W. Minich

লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলিতে দশজন বিদেশিকে জিম্মি করেছে আইএস৷ বাংলাদেশ দূতাবাসের পক্ষ থেকে জানানো হয়, দশজনের মধ্যে একজন বাংলাদেশিও আছেন৷ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দূতাবাসের পক্ষ থেকে বলা হয়, আইএস-এর হাতে আটক বাংলাদেশিকে উদ্ধারের সব রকমের চেষ্টা করা হচ্ছে৷ বাংলাদেশি জিম্মির নাম হেলাল এবং তিনি জামালপুরের বাসিন্দা বলে জানা গেছে৷

এদিকে রোববার জার্মানির সামরিক গোয়েন্দা বিভাগ এমএডি-র প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টফ গ্রাম বলেছেন, জার্মানিতে সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণে কারা যোগ দিচ্ছে সেদিকে এখন থেকে কড়া নজর রাখা উচিত৷ জার্মানির ‘ডি ভেল্ট' পত্রিকার অনলাইন সংস্করণকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন৷ সাক্ষাৎকারে তিনি দাবি করেন, জার্মান নাগরিকদের কেউ কেউ সেনাবাহিনীতে প্রশিক্ষন নিয়ে ইসলামি জঙ্গী সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস)-এ যোগ দিয়েছেন এবং ভবিষ্যতেও দিতে পারেন – এমনটি মনে করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে৷

এ প্রসঙ্গে প্যারিসে শার্লি এব্দোর সাংবাদিকদের যারা হত্যা করেছে, তাদের কথা মনে করিয়ে ক্রিস্টফ গ্রাম৷ তিনি বলেন, প্যারিসের হত্যাকারীদের দেখে মনে হয়েছে তারা সামরিক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত৷ তাই ক্রিস্টফ গ্রাম মনে করেন, জার্মানি থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে কেউ যাতে আইএস-এ যোগ দিতে না পারে, সে বিষয়ে এখনই সতর্ক হওয়া উচিত৷

আইএস-এর বিষয়ে সতর্কতা সব দেশেই দিন দিন বাড়ছে৷ আইএস-এ যোগ দিতে ইচ্ছুকদের ঠেকানোর ব্যবস্থা হিসেবে এ সপ্তাহেই বিমানে ভ্রমণ সংক্রান্ত আইন কঠোর করতে যাচ্ছে ব্রিটেন৷ ব্রিটেনের সানডে টাইমস পত্রিকার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়৷ তিন স্কুলছাত্রীর আইএস-এ যোগ দিতে ব্রিটেন ত্যাগের খবর নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে ব্রিটেনে তোলপাড় চলছে৷ উধাও হয়ে যাওয়া কিশোরীদের পরিবার এ ঘটনায় পুলিশের ভূমিকার সমালোচনা করেছেন৷ তাঁরা বলছেন, তাঁদের মেয়েরা আইএস-এর সঙ্গে যুক্ত হতে পারে এ বিষয়টি অনুমান করে তদন্ত শুরু করলেও, পুলিশ এ বিষয়ে তাঁদের কিছু জানায়নি৷

ব্রিটেনের ওই তিন কিশোরীকে আইএস-এ যোগ দেয়ানোর কাজে আকসা মাহমুদ নামের এক নারী বিশেষ ভূমিকা রেখেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে৷ স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোর অধিবাসী এই মুসলিম নারী গত বছর সিরিয়ায় গিয়েছিলেন৷ এক আইএস যোদ্ধাকে বিয়ে করার জন্যই তিনি সেখানে গিয়েছিলেন বলে অনুমান করা হচ্ছে৷ আকসা মাহমুদ একজন ব্লগার৷ ‘ডায়েরি অফ আ ট্র্যাভেলর' – নামে একটি ব্লগসাইটও রয়েছে তাঁর৷ ইংরেজি ভাষার ব্লগ সাইটে তিনি আইএস-এর প্রতি মেয়েদের আকৃষ্ট করার জন্য নিয়মিত ব্লগ লিখছেন৷

আইএস-এর সঙ্গে জীবনযাপন সম্পর্কে নিজের ব্লগে আকসা মাহমুদ লিখেছেন, ‘‘এখানে আমাদের কোনো ভাড়া দিতে হয় না৷ বিনা ভাড়ায় বাড়িতে থাকতে দেয়া হয়৷ এছাড়া স্প্যাগেটি, পাস্তা, টিনজাত খাবার, ভাত, ডিম-এর মতো দৈনন্দ্যিন প্রয়োজনীয় জিনিসও দেয়া হয় আমাদের৷ চাইলে কাজও করা যায়৷ কাজ আছে৷ মেয়েরা শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য খাতে কাজ করতে পারে৷ ''

নিজের লেখায় ইসলামসম্মত, সুখী দাম্পত্য জীবনের প্রলোভনও দেখিয়েছেন আকসা৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘এখানে বিয়ে করলে নবদম্পতিকে উপহার হিসেবে ৭০০ ডলার দেয়া হয়৷ বিয়ে উদযাপন করতে আইএস যোদ্ধাকে সাত দিনের ছুটি দেয়া হয়৷ কনে নিজে দেনমোহরের অঙ্ক ঠিক করতে পারেন৷ তবে বিয়েতে মেয়েরা গয়নাগাঁটির বদলে কালাশনিকভ রাইফেল চায়৷''

বিয়েতে উপহার হিসেবে কেন অস্ত্র চায় মেয়েরা? বিয়ের আনন্দও নাকি অস্ত্র দিয়েই উদযাপন করে আইএস৷ আকসা মাহমুদের ভাষায়, ‘‘বিয়ের সময় এখানে আতশবাজি হয় না৷ তার পরিবর্তে আমরা গুলির শব্দ করি আর বহুবার তকবির করি৷''

ব্রিটেনের তিন কিশোরীকে আকসা মাহমুদ এ সব বলেই আকৃষ্ট করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে৷ তিন কিশোরীর একজনের সঙ্গে অন্তত তাঁর যোগাযোগ ছিল বলে জানা গেছে৷

এসিবি/ডিজি (এপি, এএফপি, রয়টার্স, ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য