1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

লিবিয়া পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার আহ্বান, সাহায্য পাঠালো ইটালি

৭ মার্চ ২০১১

লিবিয়ার পরিস্থিতি ক্রমশই খারাপের দিকে যাচ্ছে৷ সরকারি বাহিনী হামলা চালাচ্ছে বিদ্রোহীদের ওপর৷ জাতিসংঘ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষ থেকে ঘটনা পর্যবেক্ষণে দল পাঠানো হচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/10Uhv
ছবি: dapd

বেনগাজিতে বিদ্রোহীদের হাতে বন্দি ব্রিটিশ স্পেশাল ফোর্সকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে৷ সে প্রসঙ্গে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইলিয়াম হেগ বলেন, ‘‘আমি জানাচ্ছি, বেনগাজিতে একটি ছোট কূটনৈতিক দল অবস্থান করছে৷ আমরা তাদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছি৷ এই মুহূর্তে এর চেয়ে বেশি কিছু বলা সম্ভব নয়৷''

তিনি আরো জানান, লিবিয়ার বিদ্রোহীদের সঙ্গেও আমাদের যোগাযোগ হয়েছে৷ আমি কয়েকদিন আগেই কয়েকজন নেতার সঙ্গে কথা বলেছি৷ গাদ্দাফি সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে এখনো আমাদের যোগাযোগ রয়েছে৷ আমরা বেশ পরিস্কারভাবেই জানিয়েছি, লিবিয়াতে যা হচ্ছে তা নিয়ে আমরা চিন্তিত, উদ্বিগ্ন৷ এসব কারণে আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালতের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করতে বাধ্য হয়েছি৷

Flash-Galerie Rebellen in Libyen
বিদ্রোহীদের হাতেও এখন ভারী অস্ত্রছবি: dapd

লিবিয়ার তেল উত্তোলনকারী শহর রাস লানুফে সরকারি বাহিনী চেষ্টা করছে বিদ্রোহীদের ছত্রভঙ্গ করতে৷ ভীত হয়ে মানুষ সেখান থেকে পালিয়ে যাচ্ছে৷ জাতিসংঘ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষ থেকে ঘটনা পর্যবেক্ষণ করতে একটি দল পাঠাচ্ছে৷ বিশেষ করে সাধারণ মানুষদের ওপর হামলা এবং হতাহতদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলতে চায় এই বিশেষ দল৷ সাধারণ মানুষদের ওপর এ ধরণের অমানবিক হামলা গোটা বিশ্বকে নাড়া দিয়েছে৷

বিদ্রোহীরা জাতিসংঘের কাছে সাহায্য চেয়েছে৷ গাদ্দাফিকে সাহায্য করতে আফ্রিকার দেশ থেকে ভাড়া করা জঙ্গী প্রবেশ করেছে লিবিয়াতে৷ জানা গেছে, গাদ্দাফির অনুগত সেনারা বিন জাওয়াদ থেকে রাস লানুফের দিকে রওয়ানা দিয়েছে৷

বিদ্রোহীরা বিন জাওয়াদ দখলের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়, তারা সরে আসে৷ তারা যখন শহরটি আবারো দখলের প্রস্তুতি নিচ্ছে তখন লিবিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী আলোচনায় বসার আহ্বান জানাচ্ছে দেশের মানুষদের৷ তিনি জাদাল্লাহ আজুস আল-তালহি৷ আশির দশকে তিনি লিবিয়ার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন৷ টেলিভিশনে তিনি বেনগাজির বয়োজ্যেষ্ঠদের প্রতি বক্তব্য রাখেন৷ তিনি জানান, দু'পক্ষের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে যদি সমস্যার সমাধান সম্ভব হয় তাহলে সেই দিকে এগিয়ে যাওয়া উচিত৷ যদি তা না করা হয় তাহলে পশ্চিমি বিশ্ব থেকে বিদেশিরা এসে আবারো লিবিয়া দখল করে নিতে পারে৷

ইটালির সিসিলি থেকে একটি যুদ্ধ জাহাজ লিবিয়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়ে আজ বেনগাজি পৌঁছেছে৷ প্রায় ২৫ টন সাহায্য সামগ্রী বহন করছে জাহাজটি৷ এর মধ্যে জেনারেটর, তাঁবু, কম্বল, ওষুধ-পত্র, চাল, দুধ এবং খাবার পানি রয়েছে৷ সাহায্য সামগ্রী খালাস হলেই জাহাজটি ফিরে যাবে সিসিলিতে৷

প্রতিবেদন: মারিনা জোয়ারদার

সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান