1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

লাফানো আরশোলা এবং জোঁকেদের টি-রেক্স

২৪ মে ২০১১

২০১০ সালে যে সেরা ১০টি নতুন প্রজাতি আবিষ্কৃত হয়েছে, তাদের মধ্যে আরো আছে এক আলো-ছড়ানো শ্যাওলা এবং এক মরচে-খেকো ব্যাকটিরিয়া৷ এছাড়া মাদাগাস্কারে এক মাকড়শা নদীর এপার থেকে ওপার অবধি জাল বোনে৷

https://p.dw.com/p/11MP7
টিরানোসরাস রেক্সের সর্বাধুনিক সংস্করণ হল একটি জোঁক!ছবি: picture-alliance/dpa

প্রতিবছরই বিশ্বের বিভিন্ন কোণ থেকে নতুন কোনো প্রাণী, গাছপালা, পোকামাকড়, এমনকি জীবাণু আবিষ্কৃত হবার খবর পাওয়া যায়৷ আবিষ্কার করেন পর্যটক, বিজ্ঞানী, গবেষকরা৷ বছরের শেষে সেই নতুন আবিষ্কারের তালিকা থেকে সেরা ১০টি নতুন প্রজাতি বেছে নেওয়ার কাজটি করেন আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা - এবং এই টপ টেনের নাম-ধাম-গোত্র প্রকাশিত হয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনা স্টেট ইউনিভার্সিটির আন্তর্জাতিক প্রজাতি অনুসন্ধান প্রতিষ্ঠান আইআইএসই'র তরফ থেকে৷ যার ভিত্তিতে ফরাসি এএফপি সংবাদ সংস্থার এই চমকপ্রদ বিবরণ৷

ধরুন দক্ষিণ অ্যামেরিকার পেরুতে খুঁজে পাওয়া গেল ইঞ্চি দুয়েক লম্বা এক বিভীষণ চেহারার জোঁক৷ তার শক্ত চোয়াল আর সুবিশাল দাঁত দেখলে যেন একটা খুদে টিরানোসরাস রেক্স'এর কথা মনে পড়ে৷ তাই বিজ্ঞানীরা জীবটির নাম রাখলেন টিরানোবডেলা রেক্স, অর্থাৎ ‘অত্যাচারি রাজা জোঁক'৷ আবার ক্যানাডা এবং স্পেনের বিজ্ঞানীরা ১৯১২ সালে অতলান্তিকে ডুবে যাওয়া সেই টাইট্যানিকের একটি অংশ পরীক্ষা করতে গিয়ে খোঁজ পেলেন এক ব্যাকটিরিয়ার, যে নাকি আইরন অক্সাইড, মানে মরচে ধরা লোহা চিবিয়ে খাবার শক্তি ধরে৷

ব্রাজিলের সাও পাওলো'র গভীর জঙ্গলে এক ধরণের ক্ষুদ্রতম শ্যাওলা খুঁজে পাওয়া গেল, যেগুলো থেকে একটানা হলদে-সবুজ আলো বের হয়, যেন জোনাকি৷ দক্ষিণ আফ্রিকায় পাওয়া গেছে এক ধরণের আরশোলা, যারা ফড়িং'এর মতো লাফিয়ে চলে৷ তবে মাদাগাস্কারে যে মাকড়শাটিকে খুঁজে পাওয়া গেছে, তার ক্ষমতা এক কথায় অবিশ্বাস্য৷ খোদ ডারউইনের বার্ক স্পাইডার নামে পরিচিত এই মাকড়শার জালটি কোনো কোনো ক্ষেত্রে নদীর এপার থেকে শুরু হয়ে ওপার অবধি যায় - অর্থাৎ ২৫ মিটার লম্বা হতে পারে৷ তাতে আবার গোটা ত্রিশেক পোকা লেগে ছিল, দেখেছেন বিজ্ঞানীরা৷

আসলে আইআইএসই'র পরিচালক কোয়েন্টিন হুইলার যেমন বলেছেন: ১৭৫৮ সাল যাবৎ আমরা যতো প্রজাতি আবিষ্কার করেছি, তা পৃথিবীর গাছপালা এবং জীবজন্তুর এক-পঞ্চমাংশও নয়৷ এখনও আমাদের ধরুন এক কোটি প্রজাতিকে চেনা, বর্ণনা করা, তাদের নাম দেওয়া এবং বিভাগে বিভাগে ভাগ করার কাজ বাকি আছে!

প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

সম্পাদনা: ফাহমিদা সুলতানা