1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ডাইনোসরের নতুন প্রজাতি!

১৮ মে ২০১৪

যে প্রাণীর দেহ ৩০ ফুট দীর্ঘ, তাকে মোটেই ছোটখাট বলা চলে না৷ তবে আর্জেন্টিনায় সম্প্রতি ওই আকৃতির যে জীবাশ্মটি পাওয়া গেছে, তাকে ডাইনোসরের মাপে ছোটই বলতে হচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/1C1hw
Dinosaurier Fund Argentinien Leinkupal laticauda Fund Illustration
ছবি: Reuters/Jorge Antonio Gonzalez

বিজ্ঞানীরা বলছেন, জীবাশ্মে পরিণত হওয়া ওই দেহাবশেষ লম্বা গলার জন্য বিখ্যাত তৃণভোজী সাওরাপোডা গোত্রের এক ডাইনোসর পরিবারের সদস্যের, ১৪ কোটি বছর আগে যারা ছিল পৃথিবীর সবচেয়ে বড় স্থলচর প্রাণী৷

সাওরাপোডা গোত্রের ডিপ্লোডোসিড্স পরিবারের ডাইনোসরদের মধ্যে এ জাতের সদস্যরাই আকৃতিতে সবচেয়ে ছোট৷ বিজ্ঞানীরা এর নাম দিয়েছেন লাইংকুপাল লাৎসিকুডা৷

মূলত উত্তর অ্যামেরিকায় এদের বিচরণ থাকলেও এই প্রথম দক্ষিণে এ ধরনের ডাইনোসরের ফসিল পাওয়া গেল৷ সে সময় উত্তর অ্যামেরিকায় যে প্রজাতির ডাইনোসরের রাজত্ব ছিল, আজকের মানুষ তাদের চেনে টিরেনোসরাস রেক্স নামে৷

আর্জেন্টিনার এই গবেষক দলের অন্যতম সদস্য পাবলো গাইনা বলেন, ‘‘আর্জেন্টিনায় ডিপ্লোডোসিডসের ফসিল পেয়ে যাওয়াটা একেবারেই অভাবনীয়৷ এটা অসাধারণ এক আবিষ্কার৷''

Dinosaurier Fund Argentinien Fund Skelett Präsentation
সাওরাপোডা গোত্রের ডিপ্লোডোসিড্স পরিবারের ডাইনোসরছবি: Reuters

এই দলের আরেক গবেষক সেবাস্টিয়ান আপেস্টেগুইয়া বলেন, এক দানব বংশের বামন সদস্যের ফসিল তাঁরা আর্জন্টিনায় খুঁজে পেয়েছেন৷

‘‘এ ধরনের ডাইনোসরের ওজন কত ছিল তা আমাদের জানা নেই৷ তবে যেসব হাড়গোড় আমরা পেয়েছি তা থেকে অনুমান করার চেষ্টা করা যায়৷ এদের দেহের মূল কাঠামোর একটি বড় অংশই হলো লেজ আর গলা, হাড়গুলোও হালকা৷ সব মিলিয়ে এদের ওজন একটা হাতির চেয়ে বেশি হওয়ার কথা না৷''

লম্বা গলা আর লেজ, বিরাট শরীর আর থামের মতো পায়ের এই ডাইনোসর পরিবারের অন্য কয়েকটি প্রজাতি দক্ষিণ অ্যামেরিকায় বিচরণ করতো আরো প্রায় ৫ কোটি বছর পর৷ ১০০ ফুট দৈর্ঘের এসব ডাইনোসরের ওজন হতো ৯০ টন পর্যন্ত৷ সাড়ে ছয় কোটি বছর আগে অন্যান্য ডাইনোসরের সঙ্গে এ সব প্রজাতিও বিলুপ্ত হয়৷

বিজ্ঞানীরা বলছেন, সাওরাপোডা গোত্রের বিভিন্ন পরিবারের মধ্যে ডিপ্লোডোসিডসরাই ছিল সবচেয়ে ক্ষীণ দেহের অধিকারী৷ এদের পেছনের পা ছিল সামনের চেয়ে কিছুটা দীর্ঘ৷ গলা ছিল শরীরের তুলনায় দীর্ঘ এবং লেজ ছিল চাবুকের মতো, যা লড়াইয়ের সময অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করতো তারা৷

ওই সময়টায় উত্তর অ্যামেরিকা ভৌগলিকভাবে ছিল দক্ষিণ থেকে পুরোপুরি আলাদা৷ আর দক্ষিণ অ্যামেরিকাকে আফ্রিকা থেকে আলাদা করে রেখেছিল অ্যাটলান্টিক মহাসাগর৷

আর্জেন্টিনার নিউকোয়েন প্রদেশের পাতাগোনিয়া এলাকায় যেখানে লাইংকুপাল ডাইনোসরের ফসিল পাওয়া গেছে, সেই এলাকায় ২০১০ ও ১০১২ সালেও বিভিন্ন ডাইনোসর প্রজাতির দেহাবশেষ খুঁজে পান গবেষকরা৷

এই ডাইনোসরের গণ নাম লাইংকুপাল-এর অর্থ হলো ‘বিলীয়মান পরিবার'৷ আর প্রজাতি নাম লাৎসিকুডার অর্থ হলো ‘লম্বা লেজের অধিকারী'৷ অর্থাৎ, এ জাতের ডাইনোসরের যে নাম বিজ্ঞানীরা দিয়েছেন, তার মানে দাঁড়ায় ‘লম্বা লেজের বিলীয়মান পরিবার'৷

জেকে/ডিজি (রয়টার্স, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য