1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কর্নেল জিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা১৭ জুলাই ২০১৪

নারায়ণগঞ্জে সাত খুনের ঘটনায় র‌্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল জিয়াউল আহসানকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে তদন্ত কমিটি৷ গ্রেফতার হওয়া সাবেক তিন র‌্যাব কর্মকর্তা আদালতে জবানবন্দি দেয়ার পরই কর্নেল জিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের প্রশ্ন উঠেছিল৷

https://p.dw.com/p/1CeZL
Rapid Action Battalion RAB Spezialeinheit Militär Dhaka Bangladesh
ছবি: Getty Images/AFP

হাইকোর্টের নির্দেশে গঠিত জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি সচিবালয়ে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে বেলা দুইটা পর্যন্ত প্রায় চার ঘণ্টা কর্নেল জিয়াউল আহসানকে জিজ্ঞাসাবাদ করে৷ কমিটির প্রধান জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শাহজাহান আলী মোল্লার কক্ষে এই জিজ্ঞাসাবাদ চলে৷

জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তদন্ত কমিটির প্রধান শাহজাহান আলী মোল্লা সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘নারায়ণগঞ্জের ঘটনায় র‌্যাবের তিনজন কর্মকর্তা গ্রেপ্তার হয়েছেন৷ এ জন্য র‌্যাবের অপারেশনাল হেড হিসেবে কর্নেল জিয়াউল আহসানের বক্তব্য নেওয়া হয়েছে৷ তাঁর বক্তব্য রেকর্ড করা হয়েছে৷ পর্যালোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে৷'' তবে তিনি কী ধরনের বক্তব্য দিয়েছেন, সে ব্যাপারে কিছু জানাননি তদন্ত কমিটির প্রধান৷

পরে জিয়াউল আহসান সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘তদন্ত কমিটি যে সব বিষয় জানার প্রয়োজন মনে করেছে, সেগুলো জানিয়েছি৷'' তবে এর বেশি কিছু তিনি সাংবাদিকদের বলতে চাননি৷

এর আগে কর্নেল জিয়া সংবাদ মাধ্যমের কাছে স্বীকার করেছেন, ২৭শে এপ্রিল নারায়ণগঞ্জে সাতজন অপহরণের পর নারায়ণগঞ্জ র‌্যাব-১১-এর তখনকার প্রধান লেফটেন্যান্ট কর্নেল তারেক মোহাম্মদ সাঈদের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছিল৷ নারায়ণগঞ্জের সাংসদ শামীম ওসমান তাঁকে অপহরণের ঘটনা জানানোর পর তিনি লেফটেন্যান্ট কর্নেল তারেক মোহাম্মদ সাঈদের সঙ্গে কথা বলেন৷ এরপর ৩০শে এপ্রিল শীতলক্ষ্যা নদী থেকে লাশ উদ্ধারের পর কর্নেল জিয়া আগ বাড়িয়ে বলেন, যে প্রধান আসামি নূর হোসেন ভারতে পালিয়ে গেছে৷ পরে অবশ্য নূর হোসেন ভারতেই গ্রেফতার হন৷ নিহত ওয়ার্ড কাউন্সিলর নজরুলের শ্বশুর ৬ কোটি টাকার বিনিময়ে র‌্যাব সাতজনকে অপহরণ ও হত্যা করেছে বলে যে অভিযোগ করেন তাকে ‘আবোল-তাবোল কথা' বলেও অভিহিত করেন কর্নেল জিয়া৷

গত ২৭শে এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের ওয়ার্ড নজরুল ইসলামসহ সাতজনকে অপহরণ করা হয়৷ ৩০শে এপ্রিল তাদের লাশ পাওয়া য়ায় শীতলক্ষ্যা নদীতে৷ এরপর নিহত নজরুল ইসলামের শ্বশুর শহীদুল ইসলাম অভিযোগ করেন, আরেক কাউন্সিলর নূর হোসেনের কাছ থেকে ছয় কোটি টাকা নিয়ে র‌্যাবের তিন কর্মকর্তা সাতজনকে অপহরণ ও হত্যা করেছে৷ এরপর র‌্যাব বা পুলিশ ঐ তিন র‌্যাব কর্মকর্তাকে স্ব-উদ্যোগে গ্রেফতার না করলেও শেষ পর্যন্ত হাইকোর্টের নির্দেশে তাদের গ্রেফতারে বাধ্য হয়৷

Rapid Action Battalion RAB Spezialeinheit Militär Dhaka Bangladesh
নারায়নগঞ্জের সাত খুনের ঘটনায় তিন র‌্যাব কর্মকর্তাকে শেষ পর্যন্ত হাইকোর্টের নির্দেশে গ্রেফতারে বাধ্য হয়৷ছবি: Getty Images/AFP

গ্রেফতার হওয়ার পর র‌্যাব-১১-এর সাবেক তিন কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) তারেক মোহাম্মদ সাঈদ, মেজর (অব.) আরিফুর রহমান ও লেফটেন্যান্ট কমান্ডার এম এম রানা সাত খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে নারায়ণগঞ্জের আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন৷ তাঁরা এখন কারাগারে আছেন৷ তাদের জবানবন্দিতে তারা ছাড়াও র‌্যাবের আরো ১০ জন সদস্যের নাম এসেছে৷ তাঁদের মধ্যে র‌্যাব সদর দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নামও আছে৷ জানা গেছে, জবানবন্দি ধরে কর্নেল জিয়াকে দিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হল৷ র‌্যাবের আরো কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে৷

নারায়ণগঞ্জের ঘটনায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি এ পর্যন্ত ৩৫০ জন ব্যক্তির বক্তব্য নিয়েছে বলে জানিয়েছেন কমিটির প্রধান শাহজাহান আলী মোল্লা৷ কমিটি কয়েক দফায় নারায়ণগঞ্জ সার্কিট হাউসে ও সিদ্ধিরগঞ্জ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের রেস্ট হাউসে গণশুনানি করে৷ কমিটি ঐ সাতজনের লাশ উদ্ধারের স্থান, নারায়ণগঞ্জ র‌্যাব-১১-এর ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তর ও ক্যাম্প অফিসও পরিদর্শন করেছে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য