1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রোহিঙ্গাদের ত্রাণ নিয়ে মালয়েশীয় জাহাজ চট্টগ্রামে ভিড়েছে

১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

মঙ্গলবার সকালে মালয়েশিয়া থেকে ত্রাণ নিয়ে আসা একটি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে৷ সেখান থেকে ট্রাকে করে ত্রাণগুলো রোহিঙ্গাদের ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হবে৷

https://p.dw.com/p/2XW9V
Malaysia Bangladesch - Schiff mit Hilfsgütern für Flüchtlinge in Bangladesch
ছবি: Reuters/M.P. H ossain

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব ওমর ফারুক বার্তা সংস্থা এএফপিকে চট্টগ্রামে জাহাজ ভেড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন৷ সেই সময় সেখানে বাংলাদেশ সরকার ও মালয়েশিয়ার দূতাবাসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন৷

জাহাজে করে প্রায় ১,৪৭২ টন ত্রাণ এসেছে৷ এর মধ্যে খাবার ছাড়াও আছে কাপড়চোপড় এবং ওষুধ৷

‘নটিক্যাল আলিয়া' নামের জাহাজটি প্রথমে টেকনাফে ভেড়ার চেষ্টা করে৷ পরে সোমবার কুতুবদিয়া দ্বীপের কাছেও একবার চেষ্টা করে৷ কিন্তু ‘প্রযুক্তিগত কারণে' শেষ পর্যন্ত চট্টগ্রামে জাহাজটি এসেছে বলে জানিয়েছেন ঊর্ধ্বতন এক সরকারি কর্মকর্তা৷

বিক্ষোভের মুখে জাহাজ

ত্রাণ নিয়ে জাহাজটি ফেব্রুয়ারির ৪ তারিখে মালয়েশিয়া থেকে রওয়ানা হয়৷ মাঝে এটি মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে থাকা রোহিঙ্গাদের ত্রাণ দিতে ঐ রাজ্যের রাজধানী সিটওয়ে'তে যাওয়ার চেষ্টা করে৷ কিন্তু মিয়ানমার সরকার সেখানে যাওয়ার অনুমতি দেয়নি৷ ফলে ইয়াঙ্গনে যায় জাহাজটি৷ সেখানে প্রায় ৫০০ টন ত্রাণ নামানো হয়৷ এই সময় বৌদ্ধ ভিক্ষু ও জাতীয়তাবাদীরা মিয়ানমারের পতাকা হাতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন৷ তাদের হাতে থাকা প্ল্যাকার্ডে ‘নো রোহিঙ্গা' লেখা ছিল৷

Malaysia Bangladesch - Schiff mit Hilfsgütern für Flüchtlinge in Bangladesch | Protest in Myanmar
ছবি: Reuters/S.Z. Tun

মৃত্যুদণ্ডের রায়

বর্তমান রোহিঙ্গা সংকটের শুরু গত বছরের অক্টোবরে৷ সেই সময় এক হামলায় মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষায় নিয়োজিত নয়জন পুলিশ সদস্য নিহত হন৷ এর প্রতিক্রিয়ায় রাখাইন রাজ্যে থাকা রোহিঙ্গাদের উপর নির্যাতন শুরু করে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী৷ সম্প্রতি ঐ হামলায় নেতৃত্ব দেয়ার অভিযোগে এক রোহিঙ্গার বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেয়া হয়েছে৷ সিটওয়ে পুলিশের প্রধান এএফপিকে জানান, গত শুক্রবার আদালত এই রায় দেন৷ অভিযানের সঙ্গে জড়িত আরও ১৩ জন এখনও আটক আছেন৷ তাদের বিরুদ্ধে এখনও রায় দেয়া হয়নি৷

চলতি মাসে জাতিসংঘ এক প্রতিবেদনে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে গণহত্যা, রোহিঙ্গা মুসলিমদের ধর্ষণ ও তাদের গ্রাম পুড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ তোলে৷

মিয়ানমার অবশ্য সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে৷

এদিকে, এই নিপীড়ন থেকে বাঁচতে প্রায় ৭০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করে৷

জেডএইচ/এসিবি (এএফপি, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান