রোহিঙ্গা শিবিরে কলেরার টিকাদান অভিযান
বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের ক্যাম্পে শুরু হয়েছে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম কলেরা নিরোধক টিকাদান অভিযান৷ বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা, ইউনিসেফ ও বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয় সম্মিলিতভাবে পরিচালনা করছে এই কর্মসূচি৷
টিকাদান কর্মসূচি
মিয়ানমার থেকে আসা হাজার হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থী দীর্ঘ সারিতে দাড়িয়ে অপেক্ষা করছে কলেরা ভ্যাকসিনের জন্য৷ সম্প্রতি আসা শরণার্থীদের মধ্যে দশ হাজারেরও বেশি মানুষ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত৷ ডায়রিয়া, কলেরার মতো রোগ মূলত পানীয় জল বা খাদ্যের মাধ্যমে সংক্রমিত হয়ে থাকে৷
সেবায় নিয়োজিত দুশ’ ভ্রাম্যমান দল
বাংলাদেশে আসা প্রায় ৯ লাখ রোহিঙ্গাকে কলেরার টিকা দেয়ার দায়িত্বে রয়েছে দু’শ’ ভ্রাম্যমান দল৷ ইউনিসেফ এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লিউএইচও)-র এক প্রতিবেদনে তা জানানো হয়৷
শিশুদের জন্য...
ডাব্লিউএইচও এবং বাংলাদেশ সরকারের লক্ষ্য, প্রথম ধাপে উখিয়া ও টোকনাফ শরণার্থী শিবিরের ৬ লাখ ৫০ হাজার মানুষকে টিকা দেয়া৷ অক্টোবরের শেষে শুরু হবে টিকা দানের দ্বিতীয় পর্ব৷ পাঁচ বছরের কম বয়সি আড়াই লাখ শিশুকে কলেরা থেকে বাঁচানোর উদ্যোগ নেয়া হবে তখন৷
কলেরা একটি বিপজ্জনক রোগ
বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রধান এডুয়ার্ড বাইগবেডার বলেন, ‘‘কলেরা একটি বিপজ্জনক রোগ, বিশেষ করে যারা ঘনবসতিপূর্ণ এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে জীবনযাপন করে, তাদের জন্য এটি আরো বেশি বিপজ্জনক৷’’
শুধু রোহিঙ্গা নয়
উখিয়া এবং টেকনাফে ৪০টি অস্থায়ী স্বাস্থ্য কেন্দ্রে কলেরার ভ্যাকসিন খাওয়ানোর কার্যক্রম চলবে একযোগে৷ স্থানীয়দের মধ্যেও পানিবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে এই টিকা কার্যক্রম শুরু করছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়৷
অন্য কোনো সংক্রামক রোগ
রোহিঙ্গাদের মধ্যে অন্য কোনো সংক্রামক রোগ রয়েছে কিনা, তা যাচাইয়ের জন্য একটি বিশেষ মেডিকেল টিম কাজ করছে ক্যাম্পগুলোতে৷ ইতিমধ্যে টেকনাফে কয়েকজন হামে আক্রান্ত রোহিঙ্গা শিশু ও হেপাটাইটিস-বি ও সি আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়েছে৷