1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রোবটকে মানুষের প্রকৃত সঙ্গী করে তোলা হচ্ছে

ক্রিস্টিনা লাউবে/এসবি৩১ মে ২০১৪

‘স্টার ওয়ার্স’ ও ‘আই রোবট’ সহ হলিউডের অনেক ছবির কল্যাণে রোবটের সঙ্গে আমাদের মোটামুটি পরিচয় ঘটেছে৷ কিন্তু বাসার কাজকর্মে তারা হাত না লাগালে আর কী লাভ? বিজ্ঞানীরা ঠিক সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছেন৷

https://p.dw.com/p/1C9Dw
৬০ সেন্টিমিটার লম্বা ফ্রান্সের ‘নাও' নামের এই রোবটটির দাম ৫,০০০ ইউরোছবি: Nao Next Gen/Aldebaran

ফ্রান্সের লিয়ঁ শহরে ‘ইনোরোবো' মেলায় মানুষের মতো দেখতে রোবটের ছড়াছড়ি৷ প্রায় ১৪০টি ছোট-বড় প্রতিষ্ঠান এ ক্ষেত্রে ভবিষ্যতের রূপরেখা তুলে ধরছে৷ মেলার প্রধান কাটরিন সিমঁ বলেন, ‘‘রোবট হলো মানুষ ও যন্ত্রের মধ্যে শেষ সীমারেখা৷ এখনো তারা গবেষণাগারের গণ্ডির মধ্যে রয়েছে বটে, কিন্তু শীঘ্রই তারা আমাদের সংসারে কাজ করবে৷ এটা অনেকটা গাড়ির ইতিহাসের মতো৷ প্রথমে সবাই গাড়ির মালিক হতে চাইতো৷ আজ তারা চায় এমন হিউমানয়েড রোবট৷ এই স্বপ্ন সবারই কিছুটা রয়েছে৷''

বাসার কাজে সহায়তা করবে রোবট!

স্পেনের এই রোবট সেই স্বপ্ন পূরণের কাছাকাছি এসে গেছে৷ প্রায় মানুষের মতো আকারের এই রোবট নিজে নিজে হাঁটতে পারে, প্রায় ১০ কিলো পর্যন্ত ওজনও বইতে পারে৷ তবে এখনো দৈনন্দিন ব্যবহারের উপযোগী হয়নি, শুধু গবেষণার কাজে লাগছে৷ দাম ৩ লক্ষ ইউরো৷

ইউরোপীয় প্রকল্প ‘আই-ক্লাব'-এর আওতায় তৈরি করা হয়েছে চার বছরের শিশুর আকারের এক রোবট৷ হাত বাড়িয়ে বিভিন্ন বস্তু ধরতে পারে৷ ৫ থেকে ১০ বছরের মধ্যে একে ঘরে-বাইরে অনেক কাজে লাগানো যাবে৷ তবে এক্ষেত্রে এগিয়ে রয়েছে ৬০ সেন্টিমিটার লম্বা ফ্রান্সের ‘নাও' নামের রোবট৷ ৫,০০০ ইউরো দিয়ে কেনা যায় একে৷ এরই মধ্যে সারা বিশ্বে ৬,০০০-এরও বেশি সংস্করণ বিক্রি হয়েছে৷ যেমন স্কুলে কচি-কাচাদের প্রযুক্তি সম্পর্কে আগ্রহ বাড়িয়ে তোলার কাজে৷

তবে রোবটকে ঘিরে এখনো কিছু প্রচলিত ধারণা রয়েছে৷ ‘নাও' রোবট কোম্পানির প্রধান ব্রুনো মেসোনিয়ে বলেন, ‘‘শিশুদের ও বাসায় সাহায্য করার রোবটের কথা বললেই অনেকেই বলেন, কি জানি এমন জিনিস সত্যি চাই কিনা! এটা আসলে মানসিকতার প্রশ্ন৷ কিন্তু ‘নাও'-কে একবার দেখলে তারাই আবার বলেন, বাঃ বেশ মিষ্টি দেখতে, এটা আমার চাই৷ আসলে সিনেমা দেখে মনে রোবটের ভয়াবহ একটা ছবি তৈরি হয়ে যায়৷''

মিউনিখ শহরের কাছে গারশিং প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষকরা কৃত্রিম মেধাযুক্ত রোবট নিয়ে কাজ করছেন৷ তাদের রোবটের নাম ‘রোবয়'৷ লম্বায় ১.৪০ মিটার৷ অন্য কোনো রোবটের সঙ্গে মানুষের এত মিল পাওয়া যাবে না৷ শুধু দেখতে-শুনতে নয়, মানুষের অ্যানাটমি-রও যথেষ্ট নকল করা হয়েছে এর মধ্যে৷ মোটরের বদলে পেশি ও শিরা রয়েছে ‘রোবয়'-এর৷ এমনকি আবেগ দেখাতে ও কথা বলতেও পারে৷

Roboy
আবেগ দেখাতে পারে ‘রোবয়’ নামের এই রোবটটি!ছবি: picture-alliance/dpa

সব সময় তার মুখে যেন হাসির একটা রেশ লেগে আছে৷ ‘রোবয়' প্রকল্পের প্রধান রাফায়েল হস্টেটলার বলেন, ‘‘আমরা ডিজাইনে বেশ কয়েকবার রদবদল করেছি, বিশেষ করে মাথার দিকটা৷ ফেসবুকে ভোট দিয়ে মানুষ সবচেয়ে মিষ্টি মুখটি বাছতে পেরেছিলেন৷ ‘রোবয়'-এর শরীরটা কঙ্কালের মতো হওয়ার ফলে আমাদের কাছে তার মুখচ্ছবি ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ৷ ‘রোবয়' এ ধরনের গবেষণার ইতিবাচক দূত হয়ে উঠুক, সেটাই তো উদ্দেশ্য!''

ভবিষ্যতে এই রোবট মানুষকে দৈনন্দিন কাজে সাহায্য করবে ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানে কাজ করবে৷ হস্টেটলার বলেন, ‘‘রান্নাবান্না, কাপড় কাচা, ইস্ত্রি করা – সংসারের এই সব কাজ করতে রোবোটের আরও কয়েক দশক লেগে যাবে বলে মনে হয়৷ আসলে আমাদের এলোমেলো পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া বেশ কঠিন কাজ৷ এটা বোঝার ক্ষমতা এখনো পূর্ণ মাত্রায় পৌঁছায়নি৷''

অর্থাৎ রোবট এখনো আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অংশ হয়ে উঠতে পারেনি৷ তবে কে জানে, সে হয়ত একদিন এই অনুষ্ঠানেরই রিপোর্টার হয়ে উঠবে!

বিশেষ ঘোষণা: এই সপ্তাহের অন্বেষণ কুইজে অংশ নিতে ক্লিক করুন এখানে

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য