রোহিঙ্গাদের খবরের কারণে কারাগারে, অতঃপর মুক্তি
মিয়ানমারের রাখাইনে ১০ মুসলিম রোহিঙ্গার হত্যা নিয়ে প্রতিবেদনের জন্য তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে আটক হয়েছিলেন ওয়া লন ও কিঁয় সোয়ে৷ ৫১১ দিন বন্দি থাকার পর প্রেসিডেন্টের ক্ষমা পেয়ে মঙ্গলবার তাঁরা ছাড়া পেয়েছেন৷
হাসিমুখ
৫১১ দিন পর কারাগারের বাইরে মুক্ত মানুষ হিসেবে হাঁটা৷ রোহিঙ্গা হত্যা নিয়ে প্রতিবেদন করতে গিয়ে ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে আটক হয়েছিলেন তাঁরা৷ এরপর তাঁদের সাত বছরের জেলও হয়েছিল৷ অবশেষে প্রেসিডেন্টের সাধারণ ক্ষমতার আওতায় তাঁরা মঙ্গলবার মুক্তি পান৷
যে অভিযোগ আনা হয়েছিল
২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে ১০ মুসলিম রোহিঙ্গা পুরুষ ও ছেলেকে হত্যা করা হয়৷ সেই হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করতে হিয়ে ঐ বছরের ডিসেম্বরে রয়টার্সের হয়ে কাজ করা মিয়ানমারের ঐ সাংবাদিককে আটক করা হয়েছিল৷ তাঁদের বিরুদ্ধে ‘অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট’ ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়েছিল৷
সমালোচনা
দুই সাংবাদিক আটকের ঘটনায় নোবেলজয়ী অং সান সুচির আমলের মিয়ানমারে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছিল৷ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনসহ বিভিন্ন দেশ সাংবাদিকদের মুক্তি দেয়ার আহ্বান জানিয়েছিল৷ হিউম্যান রাইটস ওয়াচ সেই সময় বলেছিল, রোহিঙ্গাদের জাতিগতভাবে নির্মূলের ঘটনা যাতে কেউ জানতে না পারে সে জন্য এই সাংবাদিকদের আটক করা হয়েছে৷
নির্ভীক সাংবাদিক
পুলিশি প্রহরাতেও সাংবাদিক ওয়া লনের মুখে হাসি ছিল অবিরাম৷ মিয়ানমারের তথ্য মন্ত্রণালয় সেই সময় জানিয়েছিল, বিদেশি গণমাধ্যমে প্রচারের জন্য তাঁরা অবৈধভাবে তথ্য সংগ্রহ করছিলেন৷
সহচর
ছবিতে দুই সাংবাদিকের একজন কিঁয় সোয়েকে দেখতে পাচ্ছেন৷ গতবছরের এপ্রিলে আদালতে শুনানির পর পুলিশি ভ্যানে তাঁদের কারাগারে পাঠানোর সময় এই ছবিটি তোলা৷
পাশে ছিলেন স্ত্রী
গতবছরের ফেব্রুয়ারিতে তোলা এই ছবিতে স্ত্রী ও সন্তানের সঙ্গে কিঁয় সোয়েকে দেখতে পাচ্ছেন৷ আদালতে শুনানির পর চোখের জল ফেলেছিলেন সোয়ের স্ত্রী৷