রেইনট্রি হোটেলে ‘ধর্ষণ' মামলায় সাফাতসহ সবাই খালাস
১১ নভেম্বর ২০২১এ রায় ঘোষণা করেন বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকার ৭ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক বেগম মোছা. কামরুন্নাহার৷ বিচারক রায়ের পর্যবেক্ষণে বলেন, ‘‘তদন্ত কর্মকর্তা প্রভাবিত হয়ে এ মামলায় অভিযোগপত্র দিয়েছেন৷ ভিকটিমদের ডাক্তারি রিপোর্টে কোনো সেক্সুয়াল ভায়োলেশনের বিবরণ নেই৷ ভিকটিমের পরীধেয়তে পাওয়া ডিএনএ নমুনা আসামিদের সঙ্গে মিললো না৷ … ৩৮ দিন পর এসে তারা বললো ‘রেপড হয়েছি' বিষয়টি তদন্ত কর্মকর্তার বিবেচনা করা উচিত ছিল ৷ তা না করে তদন্ত কর্মকর্তা আদালতের ‘পাবলিক টাইম নষ্ট' করেছেন, পুলিশ যেন ঘটনার ৭২ ঘণ্টা পরে কোনো ধর্ষণের মামলা না নেয়৷’’
মামলায় প্রধান আসামি আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদ৷ বাকি চারজন হলেন, সাফাতের বন্ধু সাদমান সাকিফ ও নাঈম আশরাফ ওরফে এইচএম হালিম, সাফাতের দেহরক্ষী রহমত আলী ও গাড়িচালক বিল্লাল৷ রায়ের সময় পাঁচ আসামি আাদলতে উপস্থিতি ছিলেন৷
২০১৭ সালের ২৮ মার্চ বনানীর রেইনট্রি হোটেলে সাফাতের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানিয়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ করে মামলা করা হয়৷ বনানী থানায় মামলাটি করেন ৬ মে এক তরুণী ঘটনার এক মাসের বেশি সময় পরে৷ মামলায় তরুণীর অভিয়োগ ছিলো, অন্য তিনজনের সহায়তায় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তাকেসহ তার বন্ধুকে রাতভর রেইনট্রি হোটেলে আটকে রেখে সাফাত ও নাঈম তাদের ধর্ষণ করেন৷
এই মামলাটি নিয়ে সারা দেশে ব্যাপক আলোচনা ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়৷ আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে রাজপথে মানববন্ধনের মত কর্মসূচিও পালন করে বিভিন্ন সংগঠন৷
এনএস/কেএম (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)