1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রেইনট্রি হোটেলে ‘ধর্ষণ' মামলায় সাফাতসহ সবাই খালাস

১১ নভেম্বর ২০২১

রেইনট্রি হোটেলে দুই তরুণীকে ধর্ষণের মামলার রায়ে আপন জুয়েলার্সের মালিকের ছেলে সাফাত আহমেদসহ পাঁচ আসামিকেই খালাস দিয়েছে আদালত৷

https://p.dw.com/p/42rfy
রেইনট্রি হোটেলে ধর্ষণ মামলায় সাফাতসহ সবাই খালাসছবি: MAHMUD ZAMAN OVI/bdnews24.com

এ রায় ঘোষণা করেন বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকার ৭ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক বেগম মোছা. কামরুন্নাহার৷ বিচারক রায়ের পর্যবেক্ষণে বলেন, ‘‘তদন্ত কর্মকর্তা প্রভাবিত হয়ে এ মামলায় অভিযোগপত্র দিয়েছেন৷ ভিকটিমদের ডাক্তারি রিপোর্টে কোনো সেক্সুয়াল ভায়োলেশনের বিবরণ নেই৷ ভিকটিমের পরীধেয়তে পাওয়া ডিএনএ নমুনা আসামিদের সঙ্গে মিললো না৷ … ৩৮ দিন পর এসে তারা বললো ‘রেপড হয়েছি' বিষয়টি তদন্ত কর্মকর্তার বিবেচনা করা উচিত ছিল ৷ তা না করে তদন্ত কর্মকর্তা আদালতের ‘পাবলিক টাইম নষ্ট' করেছেন, পুলিশ যেন ঘটনার ৭২ ঘণ্টা পরে কোনো ধর্ষণের মামলা না নেয়৷’’

মামলায় প্রধান আসামি আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদ৷ বাকি চারজন হলেন, সাফাতের বন্ধু সাদমান সাকিফ ও নাঈম আশরাফ ওরফে এইচএম হালিম, সাফাতের দেহরক্ষী রহমত আলী ও গাড়িচালক বিল্লাল৷ রায়ের সময় পাঁচ আসামি আাদলতে উপস্থিতি ছিলেন৷

২০১৭ সালের ২৮ মার্চ বনানীর রেইনট্রি হোটেলে সাফাতের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানিয়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ করে মামলা করা হয়৷ বনানী থানায় মামলাটি করেন ৬ মে এক তরুণী ঘটনার এক মাসের বেশি সময় পরে৷ মামলায় তরুণীর অভিয়োগ ছিলো, অন্য তিনজনের সহায়তায় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তাকেসহ তার বন্ধুকে রাতভর রেইনট্রি হোটেলে আটকে রেখে সাফাত ও নাঈম তাদের ধর্ষণ করেন৷

এই মামলাটি নিয়ে সারা দেশে ব্যাপক আলোচনা ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়৷ আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে রাজপথে মানববন্ধনের মত কর্মসূচিও পালন করে বিভিন্ন সংগঠন৷

এনএস/কেএম (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম) 

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান