1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘রুশিদের মতো ফুর্তি করো'

৯ অক্টোবর ২০১৬

ব্রিটিশ পপ গায়ক রবি উইলিয়ামস-এর সর্বাধুনিক গানটির শীর্ষক হলো ‘পার্টি লাইক এ রাশিয়ান'৷ গানটিতে রাজনৈতিক সমালোচনার আভাস পাচ্ছেন অনেকে৷

https://p.dw.com/p/2R01Z
রুশ প্রেসিডেন্ট পুটিনের বিলাসবহুল ইয়ট
ছবি: picture-alliance/dpa/M.Brandt

রাশিয়ার জনগণের মাত্র তিন শতাংশ ইংরেজি বলতে পারেন, নয়ত রবি উইলিয়ামস-এর গান শুনে তাদের প্রতিক্রিয়া যে কি হতো, তা বলা শক্ত৷ তাও তো আবার উইলিয়ামস সাংবাদিকদের বলেছেন যে, রুশ জনগণ যাতে গোঁসা না করেন, সেজন্য তিনি গানটির আদত লিরিক বা কথা অনেকটা নরম করে এনেছেন৷ তা সত্ত্বেও, যা বেঁচেছে, তাতে রাশিয়ান নেতৃত্ব ও তার পারিষদবর্গকে বেশ ভালোমতো এক হাত নেওয়া হয়ে গিয়েছে৷ গানের কথা অনুবাদ করলে দাঁড়ায়...

‘‘শুধু এক ধরনের বিশেষ নামডাকওয়ালা মানুষই পারে

একটা গোটা জাতির ট্যাঁক খালি করতে

আমার খুচরো পয়সা দিয়ে আমি পারি আমার নিজের মহাকাশকেন্দ্র গড়তে

(যেহেতু তুমি তা করতে পারো)

আপত্তি বা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই যে, আমিই হালের রাসপুটিন...''

রবি উইলিয়ামস যে কার দিকে ইঙ্গিত করছেন, তা নিয়ে কোনো বিতর্ক থাকতে পারে না৷

 

এ তো গেল গানের কথা৷ পটভূমিতে রয়েছে বিংশ শতাব্দীর প্রখ্যাত রুশ সুরকার সের্গেই প্রোকোফিয়েফ-এর সৃষ্ট সংগীতের কিছু অংশ: গত শতাব্দীর ত্রিশের দশকে রোমিও অ্যান্ড জুলিয়েট ব্যালে'র জন্য ‘‘ড্যান্স অফ দ্য নাইটস'' শীর্ষকের যে সংগীত রচনা করেছিলেন প্রোকোফিয়েফ, তারই টুকরো৷ রুশ পত্রপত্রিকায় রবি উইলিয়ামসের ভিডিও বাজারে আসা নিয়ে রিপোর্ট ছাপা হয়েছে, সেই রিপোর্টে প্রোকোফিয়েফের নামও করা হয়েছে, কিন্তু উইলিয়ামসের গানের কথা সম্পর্কে কোনো উচ্চবাচ্য করা হয়নি৷ গানের কথায় রয়েছে...

‘‘গাড়ির ভেতর আমার ব্যাংক, প্লেনের ভেতর, বোটের ভেতর

আমার জাহাজ ভাসিয়ে রাখতে আদ্ধেক পশ্চিমি দুনিয়া কাবার

কিছু প্রোমোট না করার থাকলে আমার মুখে কেউ হাসি দেখে না

দেখে না ভাবলেশ...''

কার টাকা, কোথায় টাকা

গত কয়েক বছরে রাশিয়া থেকে কী পরিমাণ টাকা পাচার হয়েছে, তা বলার উপায় নেই, তবে ডয়চে ব্যাংক ২০১৫ সালে জানিয়েছিল যে, প্রতি মাসে প্রায় ১৫০ কোটি ডলার যুক্তরাজ্যে গিয়ে জমা হচ্ছে, যদিও কোনো ব্যাংক বা কোনো সরকারি পরিসংখ্যানে তার হদিশ থাকছে না৷ তার মধ্যে প্রায় ৭৫ কোটি ডলার আসছে রাশিয়া থেকে, জানিয়েছে ডয়চে ব্যাংক৷

রাশিয়াতেও টাকা খরচ করা যায়, ও দরাজ হাতে৷ এক রুশি সরকারবিরোধী তথা আইনজীবী রুশ প্রধানমন্ত্রী দিমিত্রি মেদভেদেভ-এর ডাচা, অর্থাৎ গাঁয়ের বাড়ির ছ'মিটার উঁচু বেড়ার ওপর দিয়ে ড্রোন পাঠিয়ে দেখেছিলেন, কেমন থাকেন মেদভেদেভ, তাঁর পরিবার ও তাঁর সাঙ্গপাঙ্গরা৷ ভল্গা নদীর তীরে ৮০ হেক্টার জমি নিয়ে তৈরি সেই ডাচায় স্কি লিফ্ট পর্যন্ত আছে, আছে ইনডোর সুইমিং পুল, দু'টি হেলিপ্যাড, কর্মচারীদের জন্য একটি হোটেল ও প্রায় ৫০ কোটি ডলার মূল্যে মেরামত করা, তিনশ' বছরের পুরনো একটি প্রাসাদ৷ ডাচার মালিক কিন্তু মেদভেদেভ নন; মালিক হলো ‘দার' নামের একটি নিধি, মেদভেদেভের স্ত্রী যার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত৷

রাশিয়ায় বিত্ত ও বিত্তশালীদের জাঁকজমক সর্বত্র৷ বিশ্বের ২৫টি সবচেয়ে দামি ইয়ট বা প্রমোদতরীর মধ্যে ছ'টির মালিক হলেন রাশিয়ান বিলিওনেয়াররা৷ রবি উইলিয়ামস স্বয়ং সম্প্রতি এক রুশ কোটিপতির মেয়ের বিয়েতে গান গেয়ে পেয়েছেন ১৮ লাখ ইউরো৷

ফিওনা ক্লার্ক/এসি

দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য